আলিপুরদুয়ার, 18 ফেব্রুয়ারি : জঙ্গলে পড়েছিল কাঠ মাফিয়াদের ফেলে যাওয়া বিড়ির প্যাকেট ৷ আর সেটাই কাল হল ৷ ওই বিড়ির প্যাকেটের গন্ধ শুঁকেই কাঠ মাফিয়াদের ডেরায় পৌঁছে গেল গোয়েন্দা কুকুর করিম ৷ উদ্ধার হল চুরি যাওয়া সেগুন কাঠ ৷ যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় 10 লাখ টাকা ৷ যদিও অধরা পাঁচ কাঠ মাফিয়া ৷
গত মাসের 30 তারিখ বক্সার রাজাভাতখাওয়া জঙ্গল থেকে 11 টি পূর্ণবয়স্ক সেগুন গাছ চুরি যায় ৷ পরের দিন জঙ্গলে টহল দেওয়ার সময় বনকর্মীদের নজরে আসে বিষয়টি । এরপর রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জ অফিস থেকে আনা হয় জার্মান শেফার্ড করিমকে । জঙ্গলে কাঠমাফিয়াদের ফেলে যাওয়া কয়েকটি নমুনা খুঁজে পায় করিম ৷ তারমধ্যে ছিল মাফিয়াদের ফেলে যাওয়া একটি বিড়ির প্যাকেট । বনকর্মীরা করিমকে সেই বিড়ির প্যাকেটের গন্ধ শোঁকায় ৷ এরপরই করিম দৌড়াতে শুরু করে । জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে প্রায় 10 কিলোমিটার দূরে গরমবস্তি এলাকায় পৌঁছে যায় ৷ সেখানে সরাসরি কাঠ মাফিয়াদের ডেরায় পৌঁছে যায় সে । সেখান থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া সেগুন গাছের কাঠ ৷ তবে বনকর্মীরা পৌঁছানোর আগেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় কাঠমাফিয়ারা ।
2017 সালে বক্সার জঙ্গলে ট্র্যাকার ডগ হিসেবে করিমকে নিয়ে আসা হয় । ইতিমধ্যেই প্রায় 50 টি ঘটনার কিনারা করতে পেরেছে সে । এর মধ্যে খোকন চৌধুরি নামে এক যুবকের খুনের কিনার করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে করিম । বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দিন কয়েক আগে করিম যেভাবে গরমবস্তি থেকে কাঠ উদ্ধার করেছে সেটা ছিল 100 শতাংশ নির্ভুল ট্র্যাকিং ৷ বক্সার উপক্ষেত্র অধিকর্তা কল্যাণ রাই বলেন, "করিম বক্সা টাইগার রিজার্ভের গর্ব । করিম নির্ভুল ভাবে যে কোনও অপরাধের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করতে পারে ।