আলিপুরদুয়ার, 27 মে :মহারাষ্ট্র থেকে আসা 11 জন পরিযায়ী শ্রমিককে 13 কিলোমিটার রাস্তা হাঁটিয়ে কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠাল শামুকতলা থানার পুলিশ। পুলিশ এই দীর্ঘ রাস্তায় গাড়িতে গেলেও হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো শ্রমিকদের। যদিও জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ও প্রশাসনের কাছে এই 11 জন পরিযায়ী শ্রমিককে কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠানোর জন্য পুলিশ গাড়ির ব্যবস্থা করে দিতে বললে গাড়ি জোটেনি পরিযায়ী শ্রমিকদের। অগত্যা 13 কিলোমিটার পথ হেঁটেই তাঁরা পৌঁছালেন কোয়ারানটিন সেন্টারে।
13 কিলোমিটার পথে হেটে যাওয়ার সময় শামুকতলার বেশ কিছু লোকালয় এবং বাজারে খাওয়া-দাওয়া করেন শ্রমিকরা। তাতে কোরোনার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আলিপুরদুয়ার দুই নম্বর ব্লকে।শামুকতলার যশোডাঙ্গা, কয়েরকাতা,চেপানিহল্ট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা তপন দাস, সুকুমার আইচ, রবি সাহাদের অভিযোগ, “বহিরাগত এই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি। তাঁদের কোরোনা আছে কিনা জানা নেই। অথচ তাঁদের এই দীর্ঘ পথ হাটিয়ে নিয়ে যাওয়া হল। তাঁরা বাজারে গেলেন। বিভিন্ন দোকানে কেনাকাটা করলেন। খাওয়া দাওয়া করলেন। যদি এঁদের কারও দেহে কোরোনা সংক্রমণ পাওয়া যায় তখন কী করবে স্বাস্থ্যদপ্তর ও প্রশাসন ।”
বুধবার সকাল আটটায় বিহারের একটি লরিতে চেপে 31/C জাতীয় সড়কের শামুকতলা রোডের মহাকাল চৌপথি এসে পৌছায় ওই 11 জন পরিযায়ী শ্রমিক। সকলের বাড়ি শামুকতলা এলাকায়। এদিন এই শ্রমিকরা পৌঁছানোর আগে শামুকতলা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেই অনুযায়ী সকাল আটটা নাগাদ শামুকতলা থানার পুলিশ মহাকাল চৌপথি এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকে। তবে সকাল 10 টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যদপ্তর কিংবা প্রশাসনের তরফে কোন গাড়ি না পাঠানোয় 11 জনকে হাঁটিয়ে কোয়ারানটিন সেন্টারে নিয়ে যায় পুলিশ।শামুকতলা থানার OC বিরাজ ভট্টাচার্য জানান, স্বাস্থ্যদপ্তর ও প্রশাসনকে গাড়ির কথা বলেছিলাম।।গাড়ি না পেয়ে তাদের হাঁটিয়ে নিয়ে যাই। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের উপ মুখ্যস্বাস্থ্য অধিকর্তা সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, কেউ গাড়ি চাননি। কেন ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের হাঁটিয়ে কোয়ারানটিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হল, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।