আলিপুরদুয়ার, 16 মার্চ : আলিপুরদুয়ারে কোরোনা সন্দেহে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে থাকা দুই ব্যক্তি দেশের সুনাগরিক ৷ বৃহত্তর স্বার্থে তারা নিজেরাই কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভরতি হন ৷ আজ একথা জানালেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা ৷
তিনি আরও জানান, ওই দুই ব্যক্তি ভুটানে বেড়াতে যাওয়া কোরোনা আক্রন্ত অ্যামেরিকান নাগরিকের সংস্পর্শে এসেছিলেন ৷ আলিপুরদুয়ারে ফিরে তাঁরা নিজেরাই এসে সে কথা তাঁদের জানান ৷ এরপর তাঁদের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি রাখা হয় । দেশ ও দেশবাসীর স্বার্থে তাঁরা 14 দিন চার দেওয়ালের মধ্যে আটকে থেকে দায়িত্ববান নাগরিকের পরিচয় দিয়েছেন ।
পূরণবাবু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "দুই নাগরিককে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে ধন্যবাদ । ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কোরোনা সন্দেহে ভরতি থাকা রাজ্যের দুই নাগরিককে আজ ছেড়ে দেওয়া হলো ৷ 2 মার্চ ভুটানে কোরোনায় আক্রান্ত অ্যামেরিকান নাগরিকের সহযাত্রী হিসেবে গুয়াহাটি থেকে পারো পর্যন্ত সফর করার দরুণ আলিপুরদুয়ার জেলার এক ব্যক্তি নিজে কোরোনায় আক্রান্ত সন্দেহে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করেন । প্রথমে সেই ব্যক্তিকে ফালাকাটায় ভরতি করানো হয় । পরে সেই ব্যাক্তির সঙ্গে একই হোটেলের এক রুমে তিনদিন থাকা অপর ব্যক্তিও কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে থাকেন । টানা 14 দিন পর্যবেক্ষণে থাকার পর ওই দুই ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ সুস্থ বলে ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা । ফলে আজ তাঁদের বাড়িতে ফেরার ছাড়পত্র দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ।"
অন্যদিকে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে ওই দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় সন্তুষ্ট ৷ বলেন,"সরকারি হাসপাতালের থেকে মানুষের ভরসা উঠে গেছে । তবে এখানে এসে সেই ভুল ভাঙল । প্রথম দিকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে খুব ভয় পেয়েছিলাম । "