আলিপুরদুয়ার, 13 সেপ্টেম্বর : দলীয় যুবনেতাকে গুলি করে খুনে অভিযুক্ত তৃণমূলের উপপ্রধান এবং এক পঞ্চায়েত সদস্য ৷ কিন্তু তাঁদের নাম এখনও জ্বলজ্বল করছে পঞ্চায়েত অফিসে । ঘটনাটি আলিপুরদুয়ার 1 নম্বর ব্লকের পরোরপার গ্রাম পঞ্চায়েতের ।
দলীয় যুব নেতাকে খুনের অভিযোগে অনেক আগেই তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছিল উপপ্রধান শম্ভু রায় এবং পঞ্চায়েত সদস্য বাপ্পা রায়কে । বর্তমানে দল থেকে বহিষ্কৃত অভিযুক্ত উপপ্রধান শম্ভু রায় জেল হেপাজতে রয়েছেন । অপর অভিযুক্ত পঞ্চায়েত কর্মী বাপ্পা ( সোনা) রায় হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন ।
খুনে অভিযুক্ত বিচারাধীন বন্দীর নাম গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের তালিকা থেকে এখনও বাদ পড়েনি? প্রশ্ন করতেই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রুমা লাকরা আমতা আমতা করে বললেন, ''এক কর্মীকে উপপ্রধানের নাম কাটতে বলেছিলাম । তিনি কেন কাটেননি বলতে পারছি না ৷'' গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের বড়বাবু বলেন, ''এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না । তবে তুষার বর্মণ খুনে বর্তমানে জেলে আছেন উপপ্রধান শম্ভু ।''
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে 1 নম্বর ব্লকের তপসিখাতা বাজারে রাত 10টা নাগাদ যুব তৃণমূল নেতা তুষার বর্মণকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের উপপ্রধান শম্ভু রায় এবং পঞ্চায়েত সদস্য বাপ্পা (সোনা) রায় এবং তাঁদের দুই সাগরেদের বিরুদ্ধে । ঘটনায় টানা দশদিন অগ্নিগর্ভ ছিল আলিপুরদুয়ার এক নম্বর ব্লক ৷ পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করলে পরিস্থিতি শান্ত হয় খানিকটা । এরপর অভিযুক্তদের আলিপুরদুয়ার সংশোধনাগারে পাঠানো হয় । তুষার খুনে চার অভিযুক্তের মধ্যে তিন জন হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছাড়া পেলেও এক মাত্র উপপ্রধান শম্ভুর জামিন নাকচ করে দেয় উচ্চ আদালত । সেই অভিযুক্ত উপপ্রধানের নাম আজও জ্বলজ্বল করছে পরোরপার গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে।
আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ''অভিযুক্ত শম্ভু রায় এবং বাপ্পা (সোনা) রায়কে দল থেকে ফেব্রুয়ারি মাসেই বহিষ্কার করা হয়েছে । তাঁদের সমস্ত পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে । কেন পঞ্চায়েত অফিসে তাঁদের নামের তালিকা এখনও রয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখছি ।''
গোটা ঘটনা নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা BJP-র সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত রায় বলেন, "ওদের তো এটাই কাজ । আসলে, চোর-চিটিংবাজ-খুনিদের নিয়ে সংসার । তাই, নাম মোছেনি । যেন-তেন প্রকারে ফের উপপ্রধান করাতে চাইছে ।"