আলিপুরদুয়ার, 27 মে : নিজের বিধায়ক ভাতায় চার বছরের জমানো টাকা দিয়ে 20 হাজার দুস্থ মানুষকে ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী । আজ সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান তিনি । বলেন, গত দু'মাস ধরে লকডাউনের মধ্যে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের 20 হাজার দুস্থ মানুষকে ত্রাণ বিলি করেছেন । এই ত্রাণের জন্য সমস্ত টাকা তিনি নিজের চার বছরের বিধায়ক ভাতা থেকে নিয়েছেন । এছাড়া, আমফান-বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে 17 লাখ টাকা দান করেছেন তিনি ।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, আলিপুরদুয়ার শহরের চিকিৎসক, মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক, স্কুল শিক্ষক, আইনজীবীদের থেকে সাহায্য নিয়ে ও নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে মোট 17 লাখ টাকা একত্রিত করেছেন । আজ তা মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করেন । এই 17 লাখ টাকার চেক জলপাইগুড়ি ডিভিশনাল কমিশনার অজিত বর্ধনের হাতে তুলে দেন ।
বৈঠকে আলিপুরদুয়ারের সাংসদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি । বলেন, "কোরোনা আবহে আলিপুরদুয়ারের সাংসদকে জেলার কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি । তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে এক টাকাও জেলার মানুষদের জন্য খরচ করেননি তিনি । ভোটে জেতার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ । আলিপুরদুয়ারের মানুষ সাংসদের মুখ পর্যন্ত দেখেননি । জেলার মানুষের জন্য কাজ করতে রাজি না থাকলে তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা করুন ।"
এ বিষয়ে সাংসদ জন বারলা জানান, "বিধায়ক নিজের প্রচারেই ব্যস্ত থাকেন । তার দলের খোঁজই তিনি ঠিক মতো রাখেন না । আমাদের খোঁজ কীভাবে রাখবেন । লকডাউনের শুরুতেই জেলাশাসকের কাছে সাংসদ তহবিল থেকে 50 লাখ টাকা প্রদান করেছি । জেলার প্রতিটি চা বাগানে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে । কেন্দ্রের কাছে চা বলয়ের জন্য আরও আর্থিক সাহায্যও চাওয়া হয়েছে ।"