আলিপুরদুয়ার, 18 জুলাই: ভুটানের বন্যার হাত থেকে ডুয়ার্সের মানুষকে বাঁচাতে হাত জোড় করে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলার কাছে আবেদন করলেন সেচমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আলোচনার প্রস্তাব দিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। মঙ্গলবার কালচিনিতে বন্যা কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে যান সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। পার্থ ভৌমিক হাতজোড় করে বলেন, "বন্যার হাত থেকে বাঁচতে বারলা সাহেবকে বলুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে। মানুষগুলোকে বাঁচান। প্রধানমন্ত্রী তো আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনছেন না।"
মন্ত্রী আরও বলেন, "আলিপুরদুয়ারের সাংসদের কোনও দায়িত্ব কর্তব্য নেই। বার বার ভুটানের বন্যায় ভাসবে এখানকার মানুষ। আমাদের কথা কেন্দ্রীয় সরকার শুনছে না। বিরোধী দলনেতা, জন বারলা বা মনোজ টিজ্ঞারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুক। এই বন্যা কীভাবে আটকানো যায়, তা নিয়ে একবার ভুটানের সঙ্গে আলোচনা করুক।" এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আলিপুরদুয়ার জেলার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান সেচমন্ত্রী ৷ রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের নেতৃত্বে এবং বিপর্যয় মোকাবিল দফতরের সচিবের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ দল আলিপুরদুয়ার জেলার বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকাও পরিদর্শন করে। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনাও সেচমন্ত্রীর সঙ্গে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
কয়েকদিন আগে ভুটানের পাহাড়ে হড়পা বানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কালচিনি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করতে সেনাবাহিনীর সাহায্য নিতে হতে হয়েছিল জেলা প্রশাসনকে। মঙ্গলবার সকালে সিসামারা এলাকায় বাঁধ পরিদর্শনের পর জয়গাঁ থানার অন্তর্গত বাসরা নদীর বাঁধ পরিদর্শন করে এই বিশেষ দল। এছাড়াও ভারতের সঙ্গে ভুটানের যোগাযোগকারী সেতুটি পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি জয়গাঁ'র জিএসটি মোড় এলাকাও পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পর তিনি এদিন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলাকে অনুরোধের সুরে জানান, অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আলিপুরদুয়ার জেলাবাসীর সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসুক কেন্দ্রীয় সরকার। রাজনীতি অনেক হবে, কিন্তু মানুষগুলোকে আগে বাঁচান।
আরও পড়ুন: ভুটানের বৃষ্টির জলে ভাসছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ, চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী