আলিপুরদুয়ার, 12 জানুয়ারি: করোনা টিকার ডাবল ডোজ (double dose of corona vaccine) না-নেওয়ায় বিপাকে উত্তরের চা শ্রমিকদের একাংশ । মালিকপক্ষের নির্দেশিকায় অনিশ্চয়তার মুখে তাঁদের রুটিরুজি (tea workers may loose job)৷ শ্রমিক সংগঠনগুলি এ জন্য মালিকপক্ষকেই দায়ী করেছেন ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় দেশে ঊর্ধ্বমুখী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ৷ রাজ্যেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা । এরই মাঝে সরকারি নির্দেশিকায়, নিজেদের উৎপাদন ঠিক রাখতে টিকাকরণের উপর জোর দিয়েছে প্রতিটি সংস্থা । রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সংস্থায় টিকাকরণে তৎপরতা দেখা গেলেও এ দিকে অনেকটাই পিছিয়ে উত্তরের চা-শিল্প । তবে ওমিক্রনের থাবায় টিকাকরণে কিছুটা গতি এসেছে বলে মনে করছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় ৷
পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্স মিলে মোট চা বাগান রয়েছে 373টি । উত্তরবঙ্গের (alipurduar news) জনসংখ্যার কমবেশি প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ শ্রমিক সরাসরি যুক্ত এই চা বাগানের সঙ্গে । সরকারি নির্দেশিকা এসেছে, করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়া না থাকলে সেই কর্মীকে দিয়ে কোনও কাজ করানো যাবে না । এই নির্দেশিকার পরেই নড়েচড়ে বসেছে চা বাগান মালিক কর্তৃপক্ষ । চা বাগানের শ্রমিকদের একটা বড় অংশের এখনও সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়নি ।
আরও পড়ুন: Centre's Letter on Medical Oxygen : অক্সিজেনের মজুত বৃদ্ধিতে জোর দিতে চিঠি কেন্দ্রের
এই অবস্থায় টিকাকরণের কাজে এগিয়ে এসেছেন সচেতন শ্রমিকরা । তাঁদের দাবি, কিছু সংখ্যক শ্রমিক (tea workers unwilling to take vaccine) রয়েছেন যাঁদের করোনা টিকা সংক্রান্ত অন্ধবিশ্বাস আজও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি । বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে ৷
মালিকপক্ষের দাবি, অন্ধবিশ্বাসের কারণে কয়েকজন শ্রমিক টিকার ডাবল ডোজ নিতে অনীহা প্রকাশ করছেন । বারবার বোঝানো সত্ত্বেও টিকা না নেওয়ার ব্যাপারে অনড় অনেকেই । বাগান মালিক কর্তৃপক্ষ কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রত্যেক শ্রমিককে টিকা শংসাপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে । বাগান মালিকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, টিকার ডাবল ডোজ ছাড়া কোনও শ্রমিকই বাগানে কাজ করতে পারবেন না ।
আরও পড়ুন : Corona Update in India : দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা, এক লাফে সংক্রমণ বাড়ল 15.8 শতাংশ
বাগান শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি কোনও অন্ধ বিশ্বাস নয়, টিকা নিতে গেলে শ্রমিকদের যথেষ্ট হয়রানির শিকার হতে হয় । একদিনের ছুটিও মালিকপক্ষ দিতে চায় না । তাদের আশা, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের অবস্থা বুঝে শিগগিরই সমস্যা সমাধানের পথে এগোবে ।