ETV Bharat / state

রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে ভরসা "অ্যাম্বুলেন্স দাদা" আক্রম - আলিপুরদুয়ারে অ্যাম্বুলেন্স দাদা

যেখানে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা যায় না, সেখানে পৌঁছে যায় আক্রমের বাইক ৷ দিন নেই, রাত নেই, মরণাপন্ন ব্যক্তিকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে ছোটেন ৷ আর এভাবেই তিন বছরে আক্রম হয়ে উঠেছেন সবার "অ্যাম্বুলেন্স দাদা" ৷

Mohammad Akram giving ambulance service on bike
মহম্মদ আক্রম
author img

By

Published : Feb 4, 2020, 11:42 PM IST

আলিপুরদুয়ার, 4 ফেব্রুয়ারি : প্রত্যন্ত গ্রামের মুমূর্ষু রোগীকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছেন "অ্যাম্বুলেন্স দাদা" ৷ আলিপুরদুয়ারের মহম্মদ আক্রম নিজের বাইককেই অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে নিয়েছেন ৷ তিন বছর ধরে তিনি জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় এই পরিষেবা দিচ্ছেন ৷

বছর চারেক আগে নিজের সন্তানকে একটু একটু করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেছিলেন আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট ব্লকের দলদলির বাসিন্দা মহম্মদ আক্রম ৷ আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে ভরতি ছিল আক্রমের ছেলে ৷ চিকিৎসকরা তাকে শিলিগুড়ি স্থানান্তরের পরামর্শ দেন ৷ কিন্তু সেই রাতে অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে চার বছরের ছেলেকে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার সময় পাননি পেশায় টোটোচালক আক্রম ৷ শ্বাসকষ্টের সমস্যায় মৃত্যু হয় তাঁর সন্তানের ৷ তখন থেকেই প্রতিজ্ঞা করেন, এভাবে কারও কোল খালি হতে দেবেন না ৷ মৃত্যুর আগে পর্যন্ত রোগীর সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাবেন ৷ তৈরি করবেন গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্স ৷ সেই ভাবনা থেকেই প্রথমে টোটোতে করে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দিতেন আক্রম ৷ পরবর্তীতে ধার-দেনা করে একটি পুরানো বাইক কেনেন তিনি ৷ সেই বাইক নিয়ে পৌঁছে যান জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৷ যেখানে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা যায় না, সেখানে পৌঁছে যায় আক্রমের বাইক ৷ দিন নেই, রাত নেই, মরণাপন্ন ব্যক্তিকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে ছোটেন ৷ আর এভাবেই তিন বছরে আক্রম হয়ে উঠেছেন সবার "অ্যাম্বুলেন্স দাদা" ৷

অ্যাম্বুলেন্স দাদা মহম্মদ আক্রম

পদ্মশ্রী করিমুল হক হলেন মহম্মদ আক্রমের রোল মডেল ৷ ছোটো গলি কিংবা চা বাগান এলাকায় আক্রমের বাইক সহজে পৌঁছে যায় ৷ তিন বছরে প্রায় 400-র বেশি রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি ৷ কখনও প্রাথমিক চিকিৎসার কাজও তিনি করেন ৷ স্থানীয় মানুষও ভরসা করেন আক্রমের উপর ৷ বিপদে এমন একজনকে পাশে পেয়ে আশ্বস্ত রোগী থেকে তাঁদের আত্মীয়-পরিজনরাও ৷

আলিপুরদুয়ার, 4 ফেব্রুয়ারি : প্রত্যন্ত গ্রামের মুমূর্ষু রোগীকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছেন "অ্যাম্বুলেন্স দাদা" ৷ আলিপুরদুয়ারের মহম্মদ আক্রম নিজের বাইককেই অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে নিয়েছেন ৷ তিন বছর ধরে তিনি জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় এই পরিষেবা দিচ্ছেন ৷

বছর চারেক আগে নিজের সন্তানকে একটু একটু করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেছিলেন আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট ব্লকের দলদলির বাসিন্দা মহম্মদ আক্রম ৷ আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে ভরতি ছিল আক্রমের ছেলে ৷ চিকিৎসকরা তাকে শিলিগুড়ি স্থানান্তরের পরামর্শ দেন ৷ কিন্তু সেই রাতে অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে চার বছরের ছেলেকে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার সময় পাননি পেশায় টোটোচালক আক্রম ৷ শ্বাসকষ্টের সমস্যায় মৃত্যু হয় তাঁর সন্তানের ৷ তখন থেকেই প্রতিজ্ঞা করেন, এভাবে কারও কোল খালি হতে দেবেন না ৷ মৃত্যুর আগে পর্যন্ত রোগীর সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাবেন ৷ তৈরি করবেন গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্স ৷ সেই ভাবনা থেকেই প্রথমে টোটোতে করে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দিতেন আক্রম ৷ পরবর্তীতে ধার-দেনা করে একটি পুরানো বাইক কেনেন তিনি ৷ সেই বাইক নিয়ে পৌঁছে যান জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৷ যেখানে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা যায় না, সেখানে পৌঁছে যায় আক্রমের বাইক ৷ দিন নেই, রাত নেই, মরণাপন্ন ব্যক্তিকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে ছোটেন ৷ আর এভাবেই তিন বছরে আক্রম হয়ে উঠেছেন সবার "অ্যাম্বুলেন্স দাদা" ৷

অ্যাম্বুলেন্স দাদা মহম্মদ আক্রম

পদ্মশ্রী করিমুল হক হলেন মহম্মদ আক্রমের রোল মডেল ৷ ছোটো গলি কিংবা চা বাগান এলাকায় আক্রমের বাইক সহজে পৌঁছে যায় ৷ তিন বছরে প্রায় 400-র বেশি রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি ৷ কখনও প্রাথমিক চিকিৎসার কাজও তিনি করেন ৷ স্থানীয় মানুষও ভরসা করেন আক্রমের উপর ৷ বিপদে এমন একজনকে পাশে পেয়ে আশ্বস্ত রোগী থেকে তাঁদের আত্মীয়-পরিজনরাও ৷

Intro:আলিপুরদুয়ার:-বছর চারেক আগে শ্বাসকষ্ট জনিত কারনে তার শিশু আক্রান্ত হয়। তবে আ্যম্বুলেন্সের অভাবে তার শিশুকে চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি নিয়ে যেতে পারেননি পেশায় টোটোচালক মহম্মদ আক্রম। আ্যম্বুলেন্সের অভাবেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে তার চার বছরের ছোট্ট ফুটফুটে শিশু। সেই নিদারুন কষ্ট বুকে নিয়ে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন আ্যম্বুলেন্সের অভাবে বিনা চিকিৎসায় আর কাউকে যেন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে না হয়। সেই থেকে তিনি ধিরে ধিরে হয়ে ওঠেন আ্যম্বুলেন্স দাদা।

Body:প্রথমে তার ভাড়া করা টোটো দিয়েই গরিব, দুস্থ মানুষদের পৌছে দিতেন হাসপাতালে।তবে ভাড়ার টোটো মালিক নিয়ে নেওয়াতে বিপাকে পড়েন আ্যম্বুলেন্স দাদা মহম্মদ আক্রম।এর পর তিনি ধারদেনা করে একটি পুরানো মোটর বাইক ক্রয় করেন। এর পর থেকে সেই বাইকে করেই তিনি নিরন্তর পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন মানুষদের।
আ্যম্বুলেনন্স দাদা এই কথাটা সামনে এলেই দেশ জুড়ে পদ্মশ্রী করিমুল হকের কথা মাথায় আসে।কিন্তু,নিজের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসার হলেও আর্তের সেবায় ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোকে মজ্জাগত করেছেন মহম্মদ আক্রম ।
পদ্মশ্রী করিমুল হক তার রোল মডেল। তিনি দীর্ঘ প্রায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে নিঃস্বার্থ ভাবে জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন।যদিও প্রচারের আলোয় তিনি কোনোদিন আসেননি। আসতে ও চাননি।তিনি মাদারিহাট ব্লকের প্রত‍্যন্ত দলদলি এলাকার বাসিন্দা মহঃ আক্রম।
এলাকায় তাঁর বাইক আ্যম্বুলেন্স দিয়ে বিগত তিন বছর ধরে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সকালে, সন্ধ্যায়,রাতে যেকোনো মুহূর্তে ডাক পড়লেই বাইক আ্যম্বুলেন্স নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন আক্রম। এমনকি যেকোনো জায়গায় দুর্ঘটনার খবর আসলেও ছুটে যাচ্ছেন তিনি।কেন এই কাজ এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে আবেগ প্রবণ হয়ে কাঁদতে কাঁদতে আক্রম বাবু জানান চার বছর আগে তার পুত্র সন্তান আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিল চিকিৎসকরা শিলিগুড়ি নিয়ে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু সেই রাতে একটিও আ্যম্বুলেন্স মেলেনি।তাঁর পুত্র সন্তান মারা যায়। তারপরে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন গ্ৰামীন আ্যম্বুলেন্স তৈরি করার।প্রথমে টোটোতে করেই আ্যম্বুলেন্স পরিষেবা প্রদান করতেন। পরবর্তীতে বাইকে।


Conclusion:তাঁর এই কাজের মাদারিহাট ব্লক প্রশাসন থেকে এবছর ছাত্র যুব উৎসবে তাঁকে বিশেষ ভাবে সন্মানিতও করা হয়। আক্রম বাবুর ওই কাজকে সন্মান জানিয়েছেন মাদারিহাট ব্লকের বাসিন্দারা তাঁরা জানান যেকোনো সময় প্রয়োজনে ছুটে আসে আক্রম রোগীদের নিয়ে যায় হাসপাতালে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.