মাদারিহাট, 19 জুলাই : জামাই শিলিগুড়ি থেকে এসেছে ৷ তাই তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি শ্বশুরমশাই ৷ বাধ্য হয়ে শ্মশানে আশ্রয় নিয়েছেন জামাই গোবিন্দ সরকার ৷ মাদারিহাট ব্লকের সুত্রধর পাড়ার ঘটনা ৷ শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে না পেরে অন্যত্র যেতে চাইছেন গোবিন্দবাবু ৷ সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে থাকা স্ত্রী ও সন্তাদের নিতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন তিনি ৷
ময়নাগুড়ির মৌলনীর বাসিন্দা গোবিন্দ সরকার শিলিগুড়ির বারে কাজ করতেন ৷ 20 বছর আগে মাদারিহাটের সরস্বতী সুত্রধরের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ৷ তাঁদের দু’টি সন্তান রয়েছে ৷ শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি ৷ কাজের সূত্রে গোবিন্দবাবু প্রায়ই শিলিগুড়িতে যেতেন ৷ কিন্তু লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েন ৷ লকডাউন শিথিল হতে কাজের খোঁজে ফের শিলিগুড়ি যাওয়ার জন্য উদ্যোগ নেন তিনি ৷ কিন্তু কোরোনার সংক্রমণের ভয়ে তাঁকে সেখানে যেতে নিষেধ করা হয় শ্বশুরবাড়ির তরফে ৷ পরিবারের অভিযোগ, কারওর কথা না শুনে শিলিগুড়ি গেছিলেন গোবিন্দবাবু ৷ সেখান থেকে ফেরার পর তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি শ্বশুর ক্ষিতীশ সুত্রধর ৷ এরপর কোথাও কোনও ঠাঁই না পেয়ে তিনি স্থানীয় একটি শ্মশানে আশ্রয় নেন ৷
গোবিন্দবাবুর অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ এমনকী খেতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে ৷ পালটা গোবিন্দবাবুর শ্যালক রাজেন সুত্রধরের অভিযোগ, শিলিগুড়িতে যাওয়ার পাশাপাশি আরও অন্যান্য বিষয় আছে ৷ তিনি মদ্যপ ৷ 20 বছর হয়েছে আমার দিদির সঙ্গে বিয়ে হয়েছে ৷ কিন্তু তাঁর মদ্য পানের কারণে প্রায়ই অশান্তি হয় ৷ জামাইবাবুর সঙ্গে দিদি সংসার করতে চায় না ৷’’