আলিপুরদুয়ার, 14 মে : চোরাশিকারীকে আশ্রয় দেওয়া এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বন দফতর ৷ তার বাড়ির কাছ থেকে উদ্ধার হল 2টি রাইফেল, 3টি সাইলেন্সার ও 20 রাউন্ড তাজা কার্তুজ ।
বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় বনদফতরের আধিকারিকরা ৷ আলিপুরদুয়ারের বনচুকামারি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় দু’টি পয়েন্ট 315 রাইফেল, 3টি সাইলেন্সার ও 20 রাউন্ড কার্তুজ। গ্রেফতার করা হয়েছে পরিমল বর্মন নামের এক ব্যক্তিকে । বন দফতরের দাবি, দেড় মাস আগে ওই বন্দুক দিয়েই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের চিলাপাতা রেঞ্জের বানিয়া বিটের একটি একশৃঙ্গ মাদি গন্ডারকে হত্যা করা হয়েছিল । তদন্তে নেমে গত 5 এপ্রিল তিনজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল । ধৃতদের বয়ানের ভিত্তিতে বনকর্তারা জানতে পারেন ছয় সদস্যের চোরাশিকারির দলটিকে আশ্রয় দিয়েছিলেন ধৃত পরিমল বর্মন । পরিমলের বাড়ির পাশের বাঁশবাগানে মাটির তলায় প্লাস্টিকে মুড়ে পুতে রাখা হয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র ও শিকারের সরঞ্জাম । তদন্তে জানা গিয়েছে, একের পর এক গন্ডার হত্যার ছক ছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চোরাশিকারী দলটির ৷ যে কারণে জলদাপাড়ার পাশের বনচুকামারি গ্রামে আশ্রয় নেয় তারা । তবে গন্ডার হত্যার দেড় মাসের মধ্যে রাইফেল দু’টি উদ্ধার করতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বনকর্তারা ।
বৃহস্পতিবার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণী সহায়ক দেবদর্শন রায়ের নেতৃত্বে গ্রেফতার করা হয় পরিমল বর্মনকে । শুক্রবার ধৃত পরিমলকে আলিপুরদুয়ার অতিরিক্ত জেলা আদালতে পেশ করে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের দাবি করে বন দফতর । বিচারক সাতদিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন ।