আলিপুরদুয়ার, 26 মে : কোয়ারানটিন সেন্টারে পরিকাঠামোর অভাব । অভিযোগ, পানীয় জল ও বিদ্যুতের কোনও ব্যবস্থা নেই । নেই পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা । শৌচালয়ও খুব নোংরা । এই পরিস্থিতিতে কোয়ারানটিন সেন্টারের পাঁচিল টপকে বাড়ি গিয়ে শৌচকর্ম সারলেন এক ব্যক্তি । আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা থানা এলাকার ঘটনা ।
আলিপুরদুয়ার দু'নম্বর ব্লকের শামুকতলা থানা এলাকার সাঁওতালপুর মিশন হাইস্কুলে একটি কোয়ারানটিন সেন্টার খোলা হয়েছে । গতকাল সুরাত থেকে আসা 49 জন পরিযায়ী শ্রমিককে এই কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা হয় । শ্রমিকদের অভিযোগ, তাঁদের এখানে আনা হলেও তাঁদের জন্য কোনও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি । রাত্রিযাপনের কোনও ব্যবস্থা নেই । নেই বিদ্যুত সংযোগ। পানীয় জলের সমস্যাও রয়েছে । গতরাতে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে অন্ধকারে কাটিয়েছেন তাঁরা । জেলা প্রশাসন বা স্বাস্থ্য বিভাগের কোনও কর্মীও তাঁদের কাছে আসেননি। এইসব কিছুর পাশাপাশি কোয়ারানটিন সেন্টারের শৌচালয়ও খুব নোংরা । এই পরিস্থিতিতে আজ কোয়ারানটিন সেন্টারের পাঁচিল টপকে বাড়ি পালান রাজু দেবনাথ নামে এক ব্যক্তি। বাড়ি গিয়েই শৌচকর্ম সারেন তিনি । রাজু দেবনাথ বলেন, "সাঁওতালপুর মিশন হাইস্কুলে এই মুহূর্তে মোট 58 জন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন । এখানে আমাদের জন্য কোনওরকম ব্যবস্থা করা হয়নি । পানীয় জল নেই । খাবার নেই । শৌচগারও নোংরা । ব্য়বহারের অযোগ্য।" অন্যদিকে রাজু দেবনাথের স্ত্রী আসমা দেবনাথ বলেন, "বাড়ি থেকে বিছানা, কাপড় সব দিয়ে এসেছি । তিন বেলা ভাত দিয়ে যাই । কিন্তু প্রশাসনের তরফে এমন ব্যবস্থা করা হবে বলে,ভাবতে পারিনি ।" পরে কোয়ারানটিন সেন্টারে ফিরে যান রাজু দেবনাথ । কিন্তু তাঁর বাড়ির সকলকে নজরবন্দী করে রেখেছেন গ্রামের মানুষজন।
এবিষয়ে আলিপুরদুয়ার 2 নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ দাস বলেন, "ওই সেন্টারে গতরাতে বিক্ষোভের কথা শুনেছি। একজন ওই সেন্টার থেকে বাড়িতে এসেছিল, তা নিয়েও এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এবিষয়ে BDO-র সঙ্গে কথা বলছি। তিনি ব্যবস্থা নেবেন।"