ETV Bharat / state

স্ত্রী-মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন, আত্মঘাতী যুবকও - aliporeduar

আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম থানা এলাকায় একই পরিবারের তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরে নিজের স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক ।

স্ত্রী-মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন
author img

By

Published : Aug 1, 2019, 1:16 PM IST

আলিপুরদুয়ার, 1 অগাস্ট : স্ত্রী ও মেয়েকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করলেন ব্যক্তি । পরে নিজেও আত্মঘাতী হন । আজ সকাল 9টা নাগাদ বাড়ি থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে কুমারগ্রাম থানার পুলিশ । ঘটনাস্থানে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি । তিনি জানান, উচ্চ পর্যায়ের ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের পরে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলিকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে ।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরে নিজের স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পেশায় কাঠমিস্ত্রি বাসুদেব পাল (34) । তাঁর স্ত্রীর নাম অনিমা পাল (25) ও শিশুকন্যা অঙ্কিতা পাল (8) । পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানান, গতকাল গভীররাত পর্যন্ত বাসুদেব এবং অনিমার মধ্যে ঝগড়া হয় । আজ সকালে বাসুদেবের ঘর থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের । এরপর তাঁরা দরজা ভাঙেন । তিনজনের মৃতদেহ মেলে । চিৎকার-চেঁচামেচিতে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা । খবর দেওয়া হয় পুলিশকে ।

বাসুদেব শিলংয়ে শ্রমিকের কাজ করতেন । গতকালই বাড়ি ফেরেন । স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন । বিয়ের পর থেকেই দম্পতির মধ্যে বনিবনার অভাব ছিল ।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানান, বাসুদেব সন্দেহ করতেন, স্ত্রীর সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক আছে । বাড়ি ফিরলেই দু'জনের অশান্তি হত । আবার বাসুদেব নিয়মিত মদ্যপানও করতেন । তা নিয়েও দু'জনের ঝামেলা চলত ।

পুলিশ পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।

আলিপুরদুয়ার, 1 অগাস্ট : স্ত্রী ও মেয়েকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করলেন ব্যক্তি । পরে নিজেও আত্মঘাতী হন । আজ সকাল 9টা নাগাদ বাড়ি থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে কুমারগ্রাম থানার পুলিশ । ঘটনাস্থানে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি । তিনি জানান, উচ্চ পর্যায়ের ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের পরে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলিকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে ।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরে নিজের স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পেশায় কাঠমিস্ত্রি বাসুদেব পাল (34) । তাঁর স্ত্রীর নাম অনিমা পাল (25) ও শিশুকন্যা অঙ্কিতা পাল (8) । পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানান, গতকাল গভীররাত পর্যন্ত বাসুদেব এবং অনিমার মধ্যে ঝগড়া হয় । আজ সকালে বাসুদেবের ঘর থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের । এরপর তাঁরা দরজা ভাঙেন । তিনজনের মৃতদেহ মেলে । চিৎকার-চেঁচামেচিতে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা । খবর দেওয়া হয় পুলিশকে ।

বাসুদেব শিলংয়ে শ্রমিকের কাজ করতেন । গতকালই বাড়ি ফেরেন । স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন । বিয়ের পর থেকেই দম্পতির মধ্যে বনিবনার অভাব ছিল ।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানান, বাসুদেব সন্দেহ করতেন, স্ত্রীর সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক আছে । বাড়ি ফিরলেই দু'জনের অশান্তি হত । আবার বাসুদেব নিয়মিত মদ্যপানও করতেন । তা নিয়েও দু'জনের ঝামেলা চলত ।

পুলিশ পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।

Intro:আলিপুরদুয়ারঃ- নিজের স্ত্রী ও সাত বছরের শিশুকন্যাকে গলায় গামছা পেছিয়ে শ্বাসরোধ করে ক্ষুন করার পর আত্মঘাতি গৃহকর্তা। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় বাড়ি থেকে তিন মৃতদেহ উদ্ধার করে কুমারগ্রাম থানার পুলিশ।ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠি। মৃতদেহ গুলো উচ্চ পর্যায়ের ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের পর আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।




Body:প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান পারিবারিক বিবাদের জেরে নিজের স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতি হয়েছেন পেশায় কাঠমিস্ত্রী বাসুদেব পাল (৩৪)।মৃত স্ত্রীর নাম অনিমা পাল(২৫) ও শিশুকন্যা অঙ্কিতা পাল (৮)।


পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে বাসুদেব শিলংয়ে শ্রমিককের কাজ করতেন।বাসুদেব দিন রাত মদ পান করতেন বলেও জানা গেছে। গতকালই তিনি শিলং থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন।বাসুদেব তার স্ত্রী কন্যাকে নিয়ে তার শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। বিয়ের পর থেকেই ওই দম্পতির মধ্যে বনিবনার অভাব ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

প্রতিবেশি এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে বাসুদেব তার স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করত।তাই সে যখনই শিলং থেকে বাড়ি ফিরতেন তার সাথে তার স্ত্রীর দিনরাত তুমুল অশান্তি লেগেই থাকতো।বাসুদেবকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা এবং প্রতিবেশীরা একাধিকবার বিবাদ মিটিয়ে নিতে বুঝিয়েছেন। তবে মদ্যপ বাসুদেব তা কর্নপাত করেনি।

Conclusion:বুধবার গভির রাত পর্যন্ত বাসুদেব এবং তার স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলে।বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় বাসুদেবের ঘর থেকে তিনজনের মধ্যে কারো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয় শ্বশুর বাড়ির লোকেদের। এর পর পরিবারের লোকেরা দরজা ভেঙ্গে তিনজনের মৃতদেহ দেখতে পায়।পরিবারের লোকেদের চিৎকার চেচামেচিতে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। তার পর খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.