আলিপুরদুয়ার, 30 ডিসেম্বর : বিতর্ক এড়াতে তুলে নেওয়া হল বন দপ্তরের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । মঙ্গলবার বন দপ্তরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে ওই সিদ্ধান্তের কথা জনানো হয় । উত্তরবঙ্গে বন্যপ্রাণী পাচার রুখতে 2017 সালের 17 এপ্রিল তৈরি হয় স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ।
সম্প্রতি ফাঁসিদেওয়া ব্লকের রানিডাঙায় চিতাবাঘের আক্রমণে জখম হন তিন ব্যক্তি । খবর পেয়ে চিতাটিকে উদ্ধার করতে যান বৈকুন্ঠপুর ফরেস্ট ডিভিশনের সারুগাড়ার রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত । তখন রেঞ্জারের উপর হামলা করে চিতাটি। পালটা গুলি চালালে ঘটনাস্থানে চিতাটি মারা যায় । এরপরই সঞ্জয় দত্ত সহ উদ্ধার করতে যাওয়া বনকর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে । এমনকী সঞ্জয় দত্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সহ অপসারণের দাবি জানান একাধিক পরিবেশপ্রেমী, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা । অভিযোগ ওঠে, চিতাটিকে ধরতে জাল এবং ট্রাঙ্কুলাইজার টিম কোনওটাই নিয়ে যাওয়া হয়নি ৷ চিতাবাঘের মতো হিংস্র প্রাণী উদ্ধার করার খবর পেয়েও কেন আইন মানা হল না তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন । সারুগাড়ার রেঞ্জার হয়েও কীভাবে সঞ্জয় দত্ত ফাঁসিদেওয়া রেঞ্জে কাউকে না জানিয়ে গেলেন এবং চিতাটিকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই গুলি করলেন তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন । এরপর চাপে পড়ে অন্তর্বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল । রিপোর্টে সঞ্জয় দত্তের বিরুদ্ধে গাফিলতিও মেলে বলে বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ।
সঞ্জয় দত্ত এর আগে একাধিক বন্যপ্রাণী পাচার রোখার জন্য রাষ্ট্রপতি, কেন্দ্র এবং রাজ্যের তরফে স্বীকৃতি পেয়েছেন ৷ সেজন্য বিতর্ক এড়াতেই তাঁকে পদ থেকে বহিষ্কার করার পরিবর্তে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স তুলে নিয়ে বিতর্কের অবসান টানলেন বন আধিকারিকরা । এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল রাজেন্দ্র জাখর বলেন, "এসটিএফ বন্ধ করা হল । এখন থেকে প্রত্যেক রেঞ্জার এবং ডিভিশন নিজের এলাকায় কাজ করবেন ।" রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা স্পেশাল স্টাস্ক ফোর্স বন্ধের নির্দেশিকা জারি করেন ।