আলিপুরদুয়ার, 23 এপ্রিল: কোরোনা সংক্রমণের ভয়ে পালিয়ে গেলেন তপসিখাতার আয়ূষ হাসপাতালের 6 সাফাই কর্মী। বর্তমানে তপসিখাতার এই আয়ূষ হাসপাতালটি জেলার একমাত্র কোরোনা নিরাময় কেন্দ্র। সাফাই কর্মীদের অভাব পূরণ করতে তড়িঘড়ি স্থানীয় কয়েকজন যুবককে এনে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তপসিখাতার আয়ূষ হাসপাতালে কোয়ারান্টাইন সেন্টারের পাশাপাশি রয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ডও। এখানে কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহে রোগী ভরতি হওয়া শুরু হয় গত সপ্তাহ থেকেই। এরপরই একে একে হাসপাতাল থেকে নিরুদ্দেশ হতে থাকে সাফাই কর্মীরা। এক সপ্তাহের ব্যাবধানে 6 সাফাই কর্মী পালিয়ে যায়। ব্যাহত হয়েছে তপসিখাতা আয়ূষ হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা। হাসপাতালে পুরুষ ও মহিলা বিভাগ মিলিয়ে যখন মোট 20টি শয্যা ছিল, তখন সাফাইয়ের কাজ করতেন 6 সাফাই কর্মী। পরে কোরোনা চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে শয্যার সংখ্যা বেড়ে হয় 110। ফলে সাফাই কর্মীদের কাজের চাপ বেড়ে যায়। অন্যদিকে, ছিল কোরোনা সংক্রমণের ভয়। এখন দেখা যাচ্ছে অক্রান্ত হওয়ার ভয়েই একে একে হাসপাতালের 6 জন সাফাই কর্মীই উধাও হয়েছেন। ঘটনায় বিপাকে পড়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা জানান, যে সাফাই কর্মীরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন তাঁদের আর কাজে নেওয়া হবে না। নতুন করে যাঁরা ট্রেনিং নিয়ে এই কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁরাই স্বাস্থ্য দপ্তরের সাফাই কর্মী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন।