ETV Bharat / state

হয়নি সোয়াব টেস্ট, ভিনদেশ থেকে আসা 7 যুবককে ঘিরে সংক্রমণের আতঙ্ক - ভুটান ও সিকিম ফেরত 7 যুবককে ঘিরে সংক্রমণের আতঙ্ক

ভুটান ও সিকিম ফেরত 7 টোটো সম্প্রদায়ের যুবককে ঘিরে কোরোনা সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারে ৷

ভিনদেশ থেকে আসা 7 যুবককে ঘিরে সংক্রমণের আতঙ্ক
ভিনদেশ থেকে আসা 7 যুবককে ঘিরে সংক্রমণের আতঙ্ক
author img

By

Published : Jun 11, 2020, 8:41 AM IST

আলিপুরদুয়ার, 11 জুন: 15 দিন ধরে কোয়ারানটিন সেন্টারে রয়েছেন ভিন দেশ থেকে ফেরা 7 যুবক ৷ অথচ এখনও তাদের সোয়াব টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়নি ৷ যে কারণে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের টোটোপাড়ার বাসিন্দাদের মধ্য়ে সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়েছে ৷

গত 15 দিন ধরে মাদারিহাটের শিশুবাড়ি কোয়ারানটিন সেন্টারে রয়েছেন টোটো সম্প্রদায়ের 5 জন যুবক । বাকি দুজন রয়েছেন মাদারিহাট হাই মাদ্রাসা স্কুলে । অভিযোগ, ভুটান এবং সিকিম থেকে ফেরত ওই 7 যুবকের এখনও পর্যন্ত লালারস সংগ্রহ করা হয়নি । এদিকে সকলেই বাড়ি ফেরার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছে । কিন্তু কোরোনা পরীক্ষা না হওয়ায় তারা বাড়ি ফিরতেও পারছেন না ৷ বিনা পরীক্ষায় এলাকায় এলে কোরোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন টোটোপাড়ার বাসিন্দারা । ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কোয়ারানটিন সেন্টারে 14 দিন থাকা আবাসিকদের বিনা পরীক্ষায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । অনেকের সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে না পেয়ে আবাসিকদের ছেড়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর । পরে রিপোর্ট হাতে আসায় দেখা গেছে ছেড়ে দেওয়া অনেকেই কোরোনা পজ়িটিভ । তারপর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওই রোগীদের ধরে বেঁধে COVID হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । ওই সংক্রমিতদের থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে আক্রান্তদের পরিবার ও পড়শিদের মধ্যে। এই ঘটনা থেকেই ভিন দেশ থেকে ফেরা ওই 7 টোটো যুবককে ঘিরে স্থানীয়দের কোরোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে । যদিও মাদারিহাট ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবজ্যোতি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "বর্তমানে স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়ম, 14 দিন কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকার পর কোরোনা উপসর্গ না থাকলে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই । তবে এই টোটো যুবকদের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হবে তার নির্দেশ এখনও হাতে আসেনি ।"

ভিনদেশ থেকে আসা 7 যুবককে ঘিরে সংক্রমণের আতঙ্ক
ভিনদেশ থেকে আসা 7 যুবককে ঘিরে সংক্রমণের আতঙ্ক

মাদারিহাট শিশুবাড়ি সেন্টারে রয়েছেন মন্টু, সুশীল, অতুল, উবল, ও সুগম টোটো । মাদারিহাট হাই মাদ্রাসা সেন্টারে রয়েছেন উপেন ও রুপেশ টোটো । শিশুবাড়ি সেন্টারে থাকা 5 টোটো যুবক ২৭ তারিখ ভুটানের গ্যালেম্পু থেকে অসম হয়ে জেলায় ফিরেছেন ৷ অন্যদিকে মাদ্রাসা সেন্টারে থাকা দুই যুবক নেপাল থেকে শিলিগুড়ি হয়ে জেলায় ফিরেছেন । তাদের অভিযোগ, এতদিন হয়ে যাবার পরও তাদের কোনও পরীক্ষা হয়নি । অথচ মাদারিহাট শিশুবাড়ির ওই সেন্টারে ভিন জেলা, রাজ্য, দেশের প্রায় 200 জন আবাসিক রয়েছে । একেকটি ঘরে 20-25 জন করে থাকতে হচ্ছে । যাদের ছুটি হয়ে যাচ্ছে তাদের জায়গায় নতুন কেউ এসে ঢুকে পড়েছে। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল দেখা দিয়েছে । এই বিষয়ে টোটোপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের মহিলা উপপ্রধান পিলপিলি টোটো জানান, "আমাদের গ্রামে কোরোনা সংক্রমণ নেই । আমরা টোটোপাড়া ঢোকার মুখে হরি নদীতে বাঁধ দিয়ে রেখেছি । কিন্তু ওই 7 যুবক আমাদের এলাকার ছেলে । এতদিন ধরে কেন ওদের পরীক্ষা করা হলো না তা বুঝতে পারছি না । সরকার আমাদের সমাজ সংরক্ষণের জন্য এত পদক্ষেপ নিচ্ছে । অথচ ওই সাত যুবকের কেন কোরোনা টেস্ট হচ্ছে না তা জানি না । আমাদের দাবি, দ্রুত কোরোনা টেস্ট করে ওই সাতজনকে বাড়ি পাঠানো হোক ।

মাদারিহাটের BDO শ্যারন তামাং বলেন, "চিকিৎসার বিষয়ে বলতে পারব না । আমাদের কাজ কোয়ারানটিন সেন্টার করে দেওয়া । আমরা আমাদের কাজ করেছি । উত্তরবঙ্গের কোরোনা মোকাবিলায় নিযুক্ত বিশেষ দায়িত্বে থাকা (OSD) সুশান্ত রায় বলেছেন, খুব উদ্বেগের কথা । ওই 7 যুবকের খোঁজ নিয়ে যা পদক্ষেপ গ্রহণ করার তা শীঘ্রই নেওয়া হবে । রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বলেন, "বিষয়টি জানি না । খোঁজ নিয়ে দেখছি । এই বিষয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে ওই 7 যুবকের সোয়াব টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে ।"

আলিপুরদুয়ার, 11 জুন: 15 দিন ধরে কোয়ারানটিন সেন্টারে রয়েছেন ভিন দেশ থেকে ফেরা 7 যুবক ৷ অথচ এখনও তাদের সোয়াব টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়নি ৷ যে কারণে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের টোটোপাড়ার বাসিন্দাদের মধ্য়ে সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়েছে ৷

গত 15 দিন ধরে মাদারিহাটের শিশুবাড়ি কোয়ারানটিন সেন্টারে রয়েছেন টোটো সম্প্রদায়ের 5 জন যুবক । বাকি দুজন রয়েছেন মাদারিহাট হাই মাদ্রাসা স্কুলে । অভিযোগ, ভুটান এবং সিকিম থেকে ফেরত ওই 7 যুবকের এখনও পর্যন্ত লালারস সংগ্রহ করা হয়নি । এদিকে সকলেই বাড়ি ফেরার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছে । কিন্তু কোরোনা পরীক্ষা না হওয়ায় তারা বাড়ি ফিরতেও পারছেন না ৷ বিনা পরীক্ষায় এলাকায় এলে কোরোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন টোটোপাড়ার বাসিন্দারা । ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কোয়ারানটিন সেন্টারে 14 দিন থাকা আবাসিকদের বিনা পরীক্ষায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । অনেকের সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে না পেয়ে আবাসিকদের ছেড়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর । পরে রিপোর্ট হাতে আসায় দেখা গেছে ছেড়ে দেওয়া অনেকেই কোরোনা পজ়িটিভ । তারপর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওই রোগীদের ধরে বেঁধে COVID হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । ওই সংক্রমিতদের থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে আক্রান্তদের পরিবার ও পড়শিদের মধ্যে। এই ঘটনা থেকেই ভিন দেশ থেকে ফেরা ওই 7 টোটো যুবককে ঘিরে স্থানীয়দের কোরোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে । যদিও মাদারিহাট ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবজ্যোতি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "বর্তমানে স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়ম, 14 দিন কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকার পর কোরোনা উপসর্গ না থাকলে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই । তবে এই টোটো যুবকদের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হবে তার নির্দেশ এখনও হাতে আসেনি ।"

ভিনদেশ থেকে আসা 7 যুবককে ঘিরে সংক্রমণের আতঙ্ক
ভিনদেশ থেকে আসা 7 যুবককে ঘিরে সংক্রমণের আতঙ্ক

মাদারিহাট শিশুবাড়ি সেন্টারে রয়েছেন মন্টু, সুশীল, অতুল, উবল, ও সুগম টোটো । মাদারিহাট হাই মাদ্রাসা সেন্টারে রয়েছেন উপেন ও রুপেশ টোটো । শিশুবাড়ি সেন্টারে থাকা 5 টোটো যুবক ২৭ তারিখ ভুটানের গ্যালেম্পু থেকে অসম হয়ে জেলায় ফিরেছেন ৷ অন্যদিকে মাদ্রাসা সেন্টারে থাকা দুই যুবক নেপাল থেকে শিলিগুড়ি হয়ে জেলায় ফিরেছেন । তাদের অভিযোগ, এতদিন হয়ে যাবার পরও তাদের কোনও পরীক্ষা হয়নি । অথচ মাদারিহাট শিশুবাড়ির ওই সেন্টারে ভিন জেলা, রাজ্য, দেশের প্রায় 200 জন আবাসিক রয়েছে । একেকটি ঘরে 20-25 জন করে থাকতে হচ্ছে । যাদের ছুটি হয়ে যাচ্ছে তাদের জায়গায় নতুন কেউ এসে ঢুকে পড়েছে। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল দেখা দিয়েছে । এই বিষয়ে টোটোপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের মহিলা উপপ্রধান পিলপিলি টোটো জানান, "আমাদের গ্রামে কোরোনা সংক্রমণ নেই । আমরা টোটোপাড়া ঢোকার মুখে হরি নদীতে বাঁধ দিয়ে রেখেছি । কিন্তু ওই 7 যুবক আমাদের এলাকার ছেলে । এতদিন ধরে কেন ওদের পরীক্ষা করা হলো না তা বুঝতে পারছি না । সরকার আমাদের সমাজ সংরক্ষণের জন্য এত পদক্ষেপ নিচ্ছে । অথচ ওই সাত যুবকের কেন কোরোনা টেস্ট হচ্ছে না তা জানি না । আমাদের দাবি, দ্রুত কোরোনা টেস্ট করে ওই সাতজনকে বাড়ি পাঠানো হোক ।

মাদারিহাটের BDO শ্যারন তামাং বলেন, "চিকিৎসার বিষয়ে বলতে পারব না । আমাদের কাজ কোয়ারানটিন সেন্টার করে দেওয়া । আমরা আমাদের কাজ করেছি । উত্তরবঙ্গের কোরোনা মোকাবিলায় নিযুক্ত বিশেষ দায়িত্বে থাকা (OSD) সুশান্ত রায় বলেছেন, খুব উদ্বেগের কথা । ওই 7 যুবকের খোঁজ নিয়ে যা পদক্ষেপ গ্রহণ করার তা শীঘ্রই নেওয়া হবে । রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বলেন, "বিষয়টি জানি না । খোঁজ নিয়ে দেখছি । এই বিষয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে ওই 7 যুবকের সোয়াব টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.