আলিপুরদুয়ার, 1 ফেব্রুয়ারি : বহুদিন আত্মগোপনের পর তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার একচ্ছত্র অধিপতি বিমল গুরুং । প্রকাশ্যে আসার পরই শক্তি যাচাই করতে গত ডিসেম্বরে ডুয়ার্সের বীরপাড়ায় জনসভা করেন তিনি । সেই সভায় কোনওরকমে মুখ রক্ষা হলেও, রবিবার আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে রীতিমতো মুখ পুড়ল মোর্চা সুপ্রিমোর । জনসভার তাল কেটে কার্যত ফ্লপশোতেই ভাষণ দিয়ে ফিরতে হল গুরুংকে ।
রবিবার বিমল অনুগামী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার উদ্যোগে কুমারগ্রামের থানার মাঠে গোর্খা, আদিবাসী এবং রাজবংশীদের নিয়ে একটি সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল । সভায় বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রোশন গিরি ও গ্রেটার কোচবিহার নেতা বংশীবদন বর্মণ । কিন্তু এদিনের সভাস্থল কার্যত ফাঁকাই থাকে । আর তাতেই কুমারগ্রাম বিধানসভা এলাকায় ওই দুই নেতার গুরুত্ব নিয়েই উঠছে প্রশ্ন । নির্ধারিত সময় মতোই থানার মাঠের সভা মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন বিমল ও তাঁর সঙ্গীরা । সভাস্থলে সেভাবে লোক না থাকায়, সভার পাশে এক অনুগামীর বাড়িতে দীর্ঘ তিনঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় তাঁকে । শেষ পর্যন্ত বেলা নামলে, একরকম বাধ্য হয়েই ছয়-সাতশো লোকের উপস্থিতিতে সভায় বক্তব্য রাখতে বাধ্য হয় বিমল এবং বংশীবদনকে ।
আরও পড়ুন : আসন কমলেও ফের একবার সরকার গড়বে তৃণমূল, দাবি গুরুঙের
উভয়েরই বক্তব্যের সিংহভাগ অংশ জুড়েই শোনা যায়, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্ত করার আহ্বানের কথা । যদিও এই ফাঁকা ময়দান নিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে যান মোর্চা নেতারা । বিষয়টি নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন ।