আলিপুরদুয়ার, 25 অক্টোবর: আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ায় মাকড়াপাড়া কালী মন্দির ৷ সেই মন্দিরের বিদ্যুতের বিল দিতে হয় না রাজ্যকে ৷ বরং বছরভর সেই মন্দিরের বিল মিটিয়ে আসছে অন্য একটি দেশ ৷ ভুটান ৷ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি ৷
ভুটান সীমান্ত থেকে মাত্র 5 মিটার দূরে মাকড়াপাড়া কালী মন্দির ৷ ব্রিটিশ আমল থেকেই এই মন্দিরের বিদ্যুতের বিল দিয়ে আসছে পাশের দেশ ভুটান । কালী মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণও হাত লাগাতে দেখা যায় ভুটানের বাসিন্দাদের ৷ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ভুটানের বাসিন্দাদের কাছে মাকড়াপাড়া কালী মন্দির এক পবিত্র ধর্মক্ষেত্র ৷ কালী পুজোর আগে শুরু হয়েছে মন্দির সংস্কারের কাজ । আর, মন্দির সংস্কারের জন্য সিমেন্ট-রং সরবরাহ করছেন ভুটানের বাসিন্দারাই ।
ব্রিটিশ আমলে প্রচুর পাঁঠা বলি দেওয়া হত । তবে এখন আর জীব বলির প্রচলন নেই । বছর চারেক আগে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ বর্তমানে জোড়া ডাব বলি দেওয়া হয় এই ঐতিহ্যবাহী কালী পুজোয় । রাত বারোটায় সম্পন্ন হয় ডাব বলি । পুরোহিত সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন," আগে সমতলে হাটখোলা লাইনে এই পুজো হতো । কিন্তু হাতির হানায় প্রায়ই তছনছ হয়ে যেত মন্দির । 1950 সালে সমতল থেকে কিছুটা দূরে পাহাড়ের উপর তৈরি হয় মন্দিরটি । মন্দির স্থাপনের সময় এই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না ৷ ভুটান সরকার উদ্যোগ নিয়ে মন্দিরের বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেয় ৷ মন্দিরের বিদ্যুতের জন্য কোনও মিটারও লাগানো হয়নি ৷ সেই রীতি আজও চলছে ৷ " 2010 সাল থেকে পুরোহিতের দায়িত্বে রয়েছেন সন্দীপ চক্রবর্তী ৷ আগে বাবা পুজো করতেন, তাঁর মৃত্যুর পর সন্দীপবাবু সেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন ৷