ETV Bharat / state

মন্দির এই রাজ্যেই, বিদ্যুতের বিল মেটায় অন্য দেশ - কালীপুজো

ভুটান সীমান্ত থেকে মাত্র 5 মিটার দূরে মাকড়াপাড়া কালী মন্দির ৷ ব্রিটিশ আমল থেকেই এই মন্দিরের বিদ্যুতের বিল দিয়ে আসছে ভুটান সরকার ৷

মাকড়াপাড়া কালী মন্দির
author img

By

Published : Oct 25, 2019, 6:04 PM IST

Updated : Oct 25, 2019, 7:37 PM IST

আলিপুরদুয়ার, 25 অক্টোবর: আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ায় মাকড়াপাড়া কালী মন্দির ৷ সেই মন্দিরের বিদ্যুতের বিল দিতে হয় না রাজ্যকে ৷ বরং বছরভর সেই মন্দিরের বিল মিটিয়ে আসছে অন্য একটি দেশ ৷ ভুটান ৷ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি ৷

ভুটান সীমান্ত থেকে মাত্র 5 মিটার দূরে মাকড়াপাড়া কালী মন্দির ৷ ব্রিটিশ আমল থেকেই এই মন্দিরের বিদ্যুতের বিল দিয়ে আসছে পাশের দেশ ভুটান । কালী মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণও হাত লাগাতে দেখা যায় ভুটানের বাসিন্দাদের ৷ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ভুটানের বাসিন্দাদের কাছে মাকড়াপাড়া কালী মন্দির এক পবিত্র ধর্মক্ষেত্র ৷ কালী পুজোর আগে শুরু হয়েছে মন্দির সংস্কারের কাজ । আর, মন্দির সংস্কারের জন্য সিমেন্ট-রং সরবরাহ করছেন ভুটানের বাসিন্দারাই ।

makrapara
মাকড়াপাড়া কালী মন্দিরের দেবীর বিগ্রহ

ব্রিটিশ আমলে প্রচুর পাঁঠা বলি দেওয়া হত । তবে এখন আর জীব বলির প্রচলন নেই । বছর চারেক আগে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ বর্তমানে জোড়া ডাব বলি দেওয়া হয় এই ঐতিহ্যবাহী কালী পুজোয় । রাত বারোটায় সম্পন্ন হয় ডাব বলি । পুরোহিত সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন," আগে সমতলে হাটখোলা লাইনে এই পুজো হতো । কিন্তু হাতির হানায় প্রায়ই তছনছ হয়ে যেত মন্দির । 1950 সালে সমতল থেকে কিছুটা দূরে পাহাড়ের উপর তৈরি হয় মন্দিরটি । মন্দির স্থাপনের সময় এই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না ৷ ভুটান সরকার উদ্যোগ নিয়ে মন্দিরের বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেয় ৷ মন্দিরের বিদ্যুতের জন্য কোনও মিটারও লাগানো হয়নি ৷ সেই রীতি আজও চলছে ৷ " 2010 সাল থেকে পুরোহিতের দায়িত্বে রয়েছেন সন্দীপ চক্রবর্তী ৷ আগে বাবা পুজো করতেন, তাঁর মৃত্যুর পর সন্দীপবাবু সেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন ৷

শুনুন সন্দীপ চক্রবর্তীর বক্তব্য

আলিপুরদুয়ার, 25 অক্টোবর: আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ায় মাকড়াপাড়া কালী মন্দির ৷ সেই মন্দিরের বিদ্যুতের বিল দিতে হয় না রাজ্যকে ৷ বরং বছরভর সেই মন্দিরের বিল মিটিয়ে আসছে অন্য একটি দেশ ৷ ভুটান ৷ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি ৷

ভুটান সীমান্ত থেকে মাত্র 5 মিটার দূরে মাকড়াপাড়া কালী মন্দির ৷ ব্রিটিশ আমল থেকেই এই মন্দিরের বিদ্যুতের বিল দিয়ে আসছে পাশের দেশ ভুটান । কালী মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণও হাত লাগাতে দেখা যায় ভুটানের বাসিন্দাদের ৷ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ভুটানের বাসিন্দাদের কাছে মাকড়াপাড়া কালী মন্দির এক পবিত্র ধর্মক্ষেত্র ৷ কালী পুজোর আগে শুরু হয়েছে মন্দির সংস্কারের কাজ । আর, মন্দির সংস্কারের জন্য সিমেন্ট-রং সরবরাহ করছেন ভুটানের বাসিন্দারাই ।

makrapara
মাকড়াপাড়া কালী মন্দিরের দেবীর বিগ্রহ

ব্রিটিশ আমলে প্রচুর পাঁঠা বলি দেওয়া হত । তবে এখন আর জীব বলির প্রচলন নেই । বছর চারেক আগে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ বর্তমানে জোড়া ডাব বলি দেওয়া হয় এই ঐতিহ্যবাহী কালী পুজোয় । রাত বারোটায় সম্পন্ন হয় ডাব বলি । পুরোহিত সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন," আগে সমতলে হাটখোলা লাইনে এই পুজো হতো । কিন্তু হাতির হানায় প্রায়ই তছনছ হয়ে যেত মন্দির । 1950 সালে সমতল থেকে কিছুটা দূরে পাহাড়ের উপর তৈরি হয় মন্দিরটি । মন্দির স্থাপনের সময় এই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না ৷ ভুটান সরকার উদ্যোগ নিয়ে মন্দিরের বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেয় ৷ মন্দিরের বিদ্যুতের জন্য কোনও মিটারও লাগানো হয়নি ৷ সেই রীতি আজও চলছে ৷ " 2010 সাল থেকে পুরোহিতের দায়িত্বে রয়েছেন সন্দীপ চক্রবর্তী ৷ আগে বাবা পুজো করতেন, তাঁর মৃত্যুর পর সন্দীপবাবু সেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন ৷

শুনুন সন্দীপ চক্রবর্তীর বক্তব্য
Intro:আলিপুরদুয়ার:-ব্রিটিশ আমল থেকেই মাকড়াপাড়া কালি মন্দিরের সমস্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্য সরবরাহ করছে প্রতিবেশি দেশ রয়েল গভ: অফ ভুটান।

Body:ভূটান সীমান্ত থেকে মাত্র ৫ মিটার দূরে অবস্থিত এই কালি মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ ও করে ভূটানের বাসিন্দারা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ভূটান বাসিন্দাদের কাছে মাকড়াপাড়া কালি মন্দির এক পবিত্র ধর্ম ক্ষেত্র।কালিপুজোর আগে শুরু হয়েছে মন্দির সংস্কারের কাজ। মন্দির সংস্কারের সিমেন্ট,রঙ সরবরাহ করছে ভূটানের বাসিন্দারাই।
ব্রিটিশ আমল থেকেই এই পুজোর শুরু । তখন এই মন্দিরে ডজন ডজন পাঁঠা বলি দেওয়া হত। আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া থানার অন্তর্গত  মাকরাপাড়া চা বাগানের  কালীমন্দিরে প্রতি কালিপুজোর রাতেই ভক্তদের ভীড় উপচে পড়ে । তবে এখন আর পাঁঠা বলির প্রচলন নেই । বছর চারেক আগে বন্ধ করে দেওয়া হয় পাঁঠা বলি দেওয়ার প্রথা । বর্তমানে জোড়া ডাব বলি দেওয়া হয় ওই ঐতিহ্যবাহী কালীপুজোয় । রাত বারোটায় সম্পন্ন হয় ডাব  বলি । 
পুরোহিত সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, মাকরাপাড়ায় কালীপুজো শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে।।পুরোহিত সন্দীপ জানান আগে সমতলে হাটখোলা লাইনে এই পুজো হতো। কিন্তু হাতির হানায় প্রায়ই তছনছ হয়ে যেত মন্দির । হাতি ভাঙত প্রতিমাও । ১৯৫০ সালে  সমতল থেকে কিছুটা দূরে পাহাড়ের ওপর তৈরি করেন মন্দিরটি । ২০১০ সাল থেকে পুরোহিতের দ্বায়িত্বে রয়েছেন বিশ্বেশ্বরবাবুর নাতি সন্দীপ চচক্রবর্তী। মাকড়াপাড়ার কালি মন্দিরের ব্যয় ভার বহন করে মাকড়াপাড়া চা বাগান কতৃপক্ষ। তবে ভূটান সরকার বছরভর মন্দিরের পুরো বিদ্যুতের বিল বহন করে। মন্দিরের নির্মান কিংবা সংস্কারের বিষয়েও মাকড়াপাড়া চা বাগান কতৃপক্ষকে সাহায্যদান করে ভুটান সরকার এবং ভুটানের বাসিন্দারা।

Conclusion:মাকরাপাড়ার দেবী জাগ্রত বলে বিশ্বাস করেন অনেকেই । দূর দূরান্ত থেকে মাকরাপাড়ায় পুজো দিতে আসেন অনেকেই ।ওই মন্দিরে পুজো দিতে এসেছিলেন হেমা মালিনীও ।
Last Updated : Oct 25, 2019, 7:37 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.