আলিপুরদুয়ার, 2 মে : মাত্র এক ঘণ্টার বৃষ্টি । আর তাতেই বেহাল অবস্থা আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের । চটজলদি সরিয়ে নেওয়া হল প্রসূতি বিভাগের রোগীদের । এই জলযন্ত্রণা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতালের শিশুবিভাগও । সমস্যায় জরুরি ও আউটডোর বিভাগ । এই অবস্থায় মাথায় হাত রোগীর পরিবার-পরিজনের । ফের বৃষ্টি হলে হাসপাতালের পরিষেবা যে লাটে উঠবে সেই আশঙ্কা স্পষ্ট ।
গতকাল রাত 9টা নাগাদ তুমুল বৃষ্টি শুরু হয় আলিপুরদুয়ারে। পৌর এলাকার জলনিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হওয়ায় পৌরসভার 20টি ওয়ার্ডের মধ্যে 9টি ওয়ার্ডেই জল দাঁড়িয়ে যায় । জল জমে যায় জেলা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকাতেও । পাশাপাশি হাসপাতালের ভিতরের অবস্থাও ভালো না হওয়ায় সমস্যায় পড়েন রোগীরা । শিশুবিভাগে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ফুটো করা ছাদ দিয়ে ক্রমাগত জল পড়তে থাকে । একই চিত্র হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও । প্রসূতি বিভাগের ক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি । হাসপাতালের আউটডোর বিভাগে প্রবেশের মুখেই জমে রয়েছে নোংরা জল । তবে এই একঘণ্টার বৃষ্টিতে সবচেয়ে বিপাকে পড়ে হাসপাতালের নিচতলার রোগী ও তাদের পরিবার ।
রোগীর পরিবারের সদস্যরা বলছেন, "খুব সমস্যায় পড়েছি । এক হাঁটু জল পেরিয়ে ওঠা-নামা করতে হচ্ছে ।" জেলা হাসপাতাল সুপার চিন্ময় বর্মণ বলেন, "শহরের নিকাশিনালার যা বেহাল দশা তাতে জল যাবে কোথা থেকে ? এই জলযন্ত্রণা শুধু রোগী নয়, হাসপাতাল কর্মীদেরও ।"
এলাকায় জল জমে থাকা প্রসঙ্গে বিদায়ি পৌর বোর্ডের চেয়ারম্যান আশিস দত্ত বলেন, "নিকাশি নালা সংস্কারের জন্য বোর্ড মিটিংয়ে একাধিকবার রেজ়োলিউশন নেওয়া হয়েছে । কিন্তু অবৈধ জলাজমি দখলকারীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে বিরোধীরাই । ফলে ভেস্তে গেছে নিকাশিনালার বহু প্রকল্প ।" অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা অনিন্দ্য ভৌমিক জানান, নিকাশি নালা সংস্কারের জন্য বোর্ড মিটিংয়ে কোনওরকম রেজ়োলিউশনই নেওয়া হয়নি । ভোটের স্বার্থে অবৈধ জলাজমি দখলকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত পৌরবোর্ডের সদস্যরাই ।