আলিপুরদুয়ার, 12জুন : বিনা অভিযোগেই আলিপুরদুয়ারের BJP জেলা সহ সভাপতিকে থানায় আটকে রাখার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। নেতাকে ছাড়াতে আজ সকাল থেকেই টানা বিক্ষোভ দেখায় জেলা BJP কর্মীরা।
আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সহ সভাপতি তথা কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যাগুড়ি দুই গ্রামপঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্য বিপ্লব সরকারকে বৃহস্পতিবার রাত 11 টা থেকে আজ সন্ধ্যা অবধি থানায় আটকে রাখা হয় বিনা অভিযোগে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় আলিপুরদুয়ার থানার সামনে । BJP কর্মীদের টানা বিক্ষোভের সামনে অবশেষে পিছু হটে জেলা পুলিশ । আজ সন্ধ্যায় ওই BJP কর্মীকে বিনা শর্তে থানা থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার রাতে ।আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সহ সভাপতি বিপ্লব সরকারের কাছে তার দলের এক কর্মী তরণী দেবনাথ ফোন করে জানান, আলিপুরদুয়ার-দুই ব্লকে কিছু মানুষ তাকে আটকে রেখেছে । ঘটনাস্থলে এসে বিপ্লব জানতে পারেন, কোন মহিলার সঙ্গে প্রেম ঘটিত কারণে দলের সদস্য তরণীকে আটকে রেখেছে স্থানীয় কিছু যুবক। তরণী দেবনাথের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে ওই যুবকেরা। এরপরই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ এসে BJP জেলা সহ-সভাপতি এবং এক পঞ্চায়েত কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কোনও অভিযোগ না থাকা সত্বেও রাতভর থানায় বসিয়ে রাখা হয় ওই নেতাকে ।এদিন সকাল থেকেই ওই নেতাকে ছাড়াতে আলিপুরদুয়ার থানার সামনে ভিড় জমাতে থাকে BJP-র নেতা কর্মীরা । তবে ওই নেতাকে ছাড়তে নারাজ ছিল পুলিশ।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে BJP কর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে থানা চত্বরে । দুপুর থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ ।
বিকেলে আলিপুরদুয়ার থানায় উপস্থিত হন BJP-র জেলা সভাপতি গঙ্গা প্রসাদ শর্মা ,সহ সভাপতি জয়ন্ত রায় ,সাধারণ সম্পাদক সুমন কাঞ্জিলাল,কালচিনির বিধায়ক উইলসন চম্প্রমারী প্রমুখ ।
জেলা নেতাদের সাথে দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর ছেড়ে দেওয়া হয় বিজেপির ওই নেতাকে । থানা থেকে বিপ্লব সরকার ছাড়া পেতেই উল্লাসিত হয়ে পড়ে BJP কর্মীরা।
BJP-র জেলা সভাপতি গঙ্গা প্রসাদ শর্মা জানান, পুলিশ ইচ্ছা করেই বিপ্লব সরকারকে ছাড়তে দেরি করেছে । কোনও ভাবে অভিযোগ দায়ের করা যায় কিনা, তার অপেক্ষা করছিল পুলিশ । তবে পুলিশের সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি ।তাই চাপে পড়ে বাধ্য হয়েছে ওই নেতাকে ছেড়ে দিতে ।
যদিও এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি ।