আলিপুরদুয়ার, 8 অগস্ট: হাতির দাঁতবিহীন কাটা মাথা আগেই উদ্ধার হয়েছিল। এবার হাতির টুকরো পা উদ্ধার হল। পায়ের ওই টুকরোয় জড়ানো রয়েছে নাইলনের দড়ি ৷ আগের উদ্ধারকৃত হাতির মাথা আর এখন উদ্ধারকৃত পায়ের দেহাংশ একই হাতির কি না, তা খতিয়ে দেখতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। প্রমাণ লোপাটের জন্যই কি ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে হাতির দেহাংশ, সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে। 5 দিন পরেও এখনও হাতির মৃত্যুর খোলাসা করতে পারেনি বন দফতর। সংকোশ নদীতে কীভাবে হাতির দেহের টুকরো ভেসে এল এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে বন দফতর।
অন্যদিকে, অসমের দিক থেকে হাতিকে মেরে সংকোশ নদীতে কীভাবে ভাসিয়ে দেওয়া সম্ভব তা নিয়েও প্রশ্ন দানা বেঁধেছে ৷ যদিও অসম সরকারের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় কোনও হাতি হত্যার কথা স্বীকার করা হয়নি। ইতিমধ্যেই সমস্ত এজেন্সিকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে জানান রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল দেবল রায়। এর আগে উত্তরবঙ্গে কোনও হাতিকে মেরে দাঁত কেটে নিয়ে হাতির শরীরকে টুকরো করে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। পরপর এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷
আরও পড়ুন: চরম নৃশংসতা! দাঁত কেটে মুণ্ডহীন হাতির দেহ নদীতে ভাসাল শিকারীরা
মঙ্গলবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভলকা রেঞ্জের বন কর্মীরা হাতির কাটা পা উদ্ধার করেন। এর আগেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের থেকে জানানো হয়েছিল বাংলা-অসম সীমান্তের সংকোশ নদীতে দাঁত হীন হাতির মুণ্ড অসমে মেরে তারপর নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই তত্ত্ব মানতে নারাজ অনেকেই।কারণ ভুটানের দিক থেকে সংকোশ নদী বয়ে এসেছে। সেক্ষেত্রে অসমের দিক থেকে সংকোশ নদীতে হাতির মৃতদেহ ভাসানোর বিষয়টিও তদন্ত সাপেক্ষ। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণী) দেবল রায় বলেন, "বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বাংলা-অসম সীমান্তের সংকোশ নদীতে হাতির দেহাংশ পাওয়ার পর আমরা অসম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ওই রাজ্য থেকে এখনও কোনও ইনপুট পাইনি।"
তিনি আরও বলেন, "বিভিন্ন ধরনের এজেন্সির সঙ্গে কথা বলেছি। তবে হাতিকে মেরে ফেলার ঘটনাটি আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানে লোকেশান হয়নি। তবে আমরা আমাদের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এলাকা পুরোপুরিভাবে সার্চ করেছি। কিছুই পাইনি। ঘটনাটি আমাদের এলাকায় হয়নি ফলে স্নিফার ডগকে কাজে লাগাতে পারছি না। আমরা হাতির দেহাংশ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠাব। উদ্ধারকৃত পায়ের অংশ একই হাতির কি না, তা দেখা হচ্ছে ৷"
আরও পড়ুন: গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে রেলগেট ভেঙে লাইন পেরোল হাতি