আলিপুরদুয়ার, 13 জুন: আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের সবচেয়ে ছোট ভোট গ্রহণ কেন্দ্র হল কুমারগ্রাম বিধানসভার ভুটিয়া বস্তি বিট অফিস। ভুটান পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত বক্সা জঙ্গলের মধ্যে এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রটির কদর বাড়ে বছরে একবারই ৷ বাকি সময় তা পড়ে থাকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৷
ভোট এলেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্র সংস্কার করে ভোটদানের উপযুক্ত করা হয়। দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। এমনকী জলের ব্যবস্থাও করা হয়। আলিপুরদুয়ার জেলার পাঁচটি বিধানসভার মধ্যে সবচেয়ে ছোট বুথ ভুটিয়া বস্তি বিট অফিসের বুথ ৷ আলিপুরদুয়ার জেলায় 64টি গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতির 189টি আসন ও জেলাপরিষদের 18টি আসন। জেলায় মোট ভোটার রয়েছেন 11 লক্ষ 7 হাজার 80 জন। জেলায় 1212টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যে তুরতুরী খণ্ড গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে সবচেয়ে ছোট বুথ কুমারগ্রাম ব্লকের ভুটিয়া বস্তি। যার ভোটার সংখ্যা মাত্র 72 জন। এখানে শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হয়। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের আসেপাশে বন্যপ্রাণীর ভয়ও যথেষ্ট। জয়ন্তী নদীর ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয় সাধারণ মানুষকে। কখনও নদীতে জল চলে এলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কুমারগ্রাম ব্লকের একদিকে জয়ন্তী নদী, অন্যদিকে ফাঁসখাওয়া; দু'টি নদীর মাঝে অবস্থান এই ভুটিয়া বস্তির বুথ।
ভুটিয়া বস্তি বিট অফিসটি আগে খোলা থাকলেও ভুটান থেকে নেমে আসা হড়পা বানের ফলে বালি-পাথর জমে বিট অফিসের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তারপর থেকেই অফিসটি পরিত্যক্ত। তবে আশেপাশে কোনওরকম স্কুল, অফিস না-থাকায় পরিত্যক্ত বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বিট অফিসেই ভোট নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে 7 স্পর্শকাতর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের
আলিপুরদুয়ার কুমারগ্রাম ব্লকের বিডিও তথা রিটার্নিং অফিসার মিহির কর্মকার বলেন, "ভুটিয়া বস্তি বিট অফিস সারাবছর জঙ্গলের মাঝে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও ভোটের সময় আমরা সংস্কার করে ভোটদানের উপযুক্ত করে থাকি। এবারও ভোটগ্রহণ কেন্দ্র সংস্কার করা হয়েছে। আসলে আশেপাশে কোনও স্কুল বা অফিসা না-থাকায় আমাদের এই বিট অফিসকেই ভোটের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।"