কলকাতা, 24 অগস্ট: কলকাতা ময়দানে ছেলেদের ফুটবল প্রশিক্ষকের ভূমিকায় মহিলা প্রশিক্ষক। মহিলা রেফারি হিসেবে কণিকা বর্মনের ম্যাচ পরিচালনার সাক্ষী থেকেছে কলকাতা ময়দান। কিন্তু ছেলেদের খেলায় ডাগ আউটে মহিলা কোচ, অভিনব। বৃহস্পতিবার কলকাতা লিগে এই অভিনব ঘটনা ঘটল। যার তুলনা ভারতীয় ফুটবল তো বটেই বিশ্ব ফুটবলে নেই। সেদিক থেকে বলতে গেলে কলকাতা লিগে কোচিং করিয়ে সুজাতা কর নজির গড়লেন।
বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে, সাদার্ন সমিতি বনাম সিএফসি ম্যাচ ছিল। আর সেখানেই রঞ্জন ভট্টাচার্যের বদলে সুজাতা কর ডাগ-আউটে বসে কলকাতা লিগ তো বটেই, সম্ভবত ভারতীয় ফুটবলে প্রথমবার ছেলেদের ম্যাচে মহিলা কোচ হিসাবে ইতিহাসে নাম তুললেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁর ইতিহাস গড়ার দিনে জয়ের স্বাদ পাওয়া হয়নি। তাঁর দল ম্যাচটা 2-2 গোলে ড্র করার কিছুটা হতাশ এই প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার। গত ম্যাচে মোহনবাগানকে হারানোর আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করে এদিন সিএফসি-র মুখোমুখি হয়েছিল সাদার্ন। তাদের হেড কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত কাজের জন্য ছুটি নেওয়ায় কোচিংয়ের দায়িত্ব পান সুজাতা।
ম্যাচ শেষে তিনি বললেন, "আমি অন্য মেয়েদের সামনে উদাহরণ হিসাবে দাঁড়াতে চাই যে মেয়েরাও ছেলেদের দলে কোচিং করাতে পারে। আজ একটা নতুন অভিজ্ঞতা হল। তবে আমরা ম্যাচটা জিততে পারলে আরও ভালো লাগত। পরের বার আরও ভালো পারফর্ম করার চেষ্টা করব।"
- নতুন ভূমিকা থেকে কী অভিজ্ঞতা পেলেন?
সুজাতার জবাব, "ছেলে আর মেয়েদের ফুটবল চরিত্রগতভাবে আলাদা। মেয়েদের ক্ষেত্রে আগে বেসিক শেখাতে হয়। সেখানে ছেলেদের সরাসরি টেকনিক্যাল বিষয়ে কাজ করা যায়। পাশাপাশি ছেলেদের ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে নিজেকে একটু বেশি শান্ত রাখতে হয়।"
এদিন ম্যাচে ফারুক শেখের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সাদার্ন। কিন্তু অয়নকৃষ্ণ দাসশর্মার জোড়া গোলে পালটা লিড নেয় সিএফসি। শেষদিকে সোনু হালদারের গোলে হার এড়ায় সাদার্ন। লিগের অন্য ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতল ইউনাইটেড স্পোর্টস ও পিয়ারলেস। ইউনাইটেড 5-1 গোলে হারাল ডালহৌসি এসিকে। ইউনাইটেডের হয়ে জোড়া গোল তারক হেমব্রমের। বাকি তিনটি গোল সৌরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, দীপেশ মুর্মু ও সুজল মুণ্ডার। ডালহৌসির গোলদাতা রাহুল দোয়ারি। পিয়ারলেস 5-0 গোলে হারায় এফসিআই-কে। দু'টি করে গোল করেন মনতোষ মাজি ও স্টেফানসন। অন্য গোলটি ডোনাল্ডের। বিএসএস 3-0 গোলে জিতেছে ইস্টার্ন রেলের বিরুদ্ধে। জোড়া গোল গৌরব দাসের, অন্যটি খালিদ মোল্লার আত্মঘাতী গোল ৷