ETV Bharat / sports

Wari Club : নববর্ষে পুনর্জন্ম উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ক্লাবের

তিন বছর আগে পুড়ে খাঁক হয়ে যাওয়া স্মৃতিকে পাশ কাটিয়ে আবারও সংকল্পবদ্ধ উয়াড়ি কর্তারা (Wari Club resumes its journey after 2019 fire incident) ৷

Wari Club
নববর্ষে পুনর্জন্ম উয়াড়ী অ্যাথলেটিক ক্লাবের
author img

By

Published : Apr 16, 2022, 11:35 AM IST

কলকাতা, 16 এপ্রিল : উয়াড়ি ক্লাবের কামব্যাক ৷ 1429 বঙ্গাব্দের প্রথমদিন ফের ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নিল শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব ৷ তিন বছর আগে পুড়ে খাঁক হয়ে যাওয়া স্মৃতিকে পাশ কাটিয়ে আবারও সংকল্পবদ্ধ উয়াড়ি কর্তারা (Wari Club resumes its journey after 2019 fire incident) ৷ যে ক্লাবের পরতে পরতে ইতিহাস, সেই ক্লাব কোনও দুর্ঘটনায় চিরতরে শেষ হতে পারে না ৷ 1 এপ্রিল, 2019 ৷ মেয়ো রোডের ঘুম ভাঙে উয়াড়ি ক্লাবের দুই মালির ভয়ঙ্কর আর্তনাদে। যা শুনে ছুটে আসেন পাশের টাউন ক্লাব, রাজস্থান ক্লাব, প্রেস ক্লাবের মালিরা ৷ মালিদের চোখের সামনে কয়েক মিনিটে মধ্যে ভস্মীভূত হয়ে যায় বাংলার ফুটবলের 121 বছরের এক উজ্জ্বল ইতিহাস ৷

দুর্ঘটনার আকস্মিকতায় ভেঙে না পড়ে ওইদিনই ঘুরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন উয়াড়ি কর্তারা। এরপর কেটে গিয়েছে তিনটি বছর। পুড়ে যাওয়া ক্লাব তাঁবুতেই আসতেন কর্তারা, পরিকল্পনা করতেন নতুন ক্লাব তাঁবু গড়ে তোলার। কিন্তু পরিকল্পনা সাজালেই তো হল না, অর্থের যোগান আসবে কোথা থেকে? অর্থাভাবেই তাঁবুর কাজ শুরু করা যায়নি প্রায় দেড় বছর। অবশেষে নয়া ক্লাব তাঁবু গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ৷ পাশাপাশি অর্থ জুগিয়েছেন ক্লাবের সদস‍্যরাও । আর যাবতীয় পরিকল্পনার নীল-নকশা সাজিয়েছিলেন উয়াড়ির সচিব প্রবীর চক্রবর্তী ৷ অবশেষে সবুজ-সাদা রংয়ের ঝাঁ-ঝকঝকে ক্লাব তাঁবুতে আবারও ডানা মেলল স্বপ্ন। 1429 পয়লা বৈশাখে উয়াড়ির নতুন তাঁবুর উদ্বোধন হল ৷

উয়াড়ি অ‍্যাথলেটিক ক্লাবের শিকড় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। পরবর্তীকালে পাখি সেন, পঙ্কজ গুপ্ত, দীনেশ দত্ত-সহ বেশ কিছু কর্তারা কলকাতা ময়দানে উয়াড়ি ক্লাব শুরু করেছিলেন। বাংলাদেশের উয়াড়ির শাখা হিসেবেই 1898 থেকে কলকাতা উয়াড়ির পথ চলা শুরু হয়। ওই সময় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে উয়াড়ির নামে একটা গ‍্যালারিও ছিল। একটা সময় কলকাতা লিগে দাপটের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল,মোহনবাগান এবং মহামেডানকে হারিয়েছে উয়াড়ি। বাংলাকে উপহার দিয়েছে অসংখ্য ফুটবলার। উত্তম চক্রবর্তী, দিলীপ পালিত, সমরেশ চৌধুরী, তুষার রক্ষিত শুরু করে বাসুদেব মণ্ডল কিংবা আজকের কিংশুক প্রামাণিক, প্রীতম কোটাল ৷ তালিকাটা লম্বা এবং ঈর্ষণীয়।

আরও পড়ুন : বারপুজোর আমন্ত্রণ হোয়াটসঅ্যাপে, তবু মোহনবাগান নিয়ে আবেগ অটুট সৃঞ্জয়ের

যে ক্লাবের ছত্রে ছত্রে ইতিহাস, সেই ক্লাবেরই মাথা তুলে দাঁড়াতে লেগে গেল তিনটি বছর ৷ ক্লাব সচিব ইন্দ্রনাথ পাল বলছেন, "পাশে কে দাঁড়ায়নি বা কারা পাশে রয়েছে সেই সব বিতর্কে এখন আর যেতে চাই না। তিন বছর পর ক্লাবের তাঁবু নতুন করে তৈরি করা গিয়েছে এটাই বড় ব‍্যাপার।" সেনা আধিকারিকদের হাত ধরেই উদ্বোধন হল উয়াড়ির নতুল ক্লাব তাঁবুর। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলাররাও। ছিলেন আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় ৷

কলকাতা, 16 এপ্রিল : উয়াড়ি ক্লাবের কামব্যাক ৷ 1429 বঙ্গাব্দের প্রথমদিন ফের ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নিল শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব ৷ তিন বছর আগে পুড়ে খাঁক হয়ে যাওয়া স্মৃতিকে পাশ কাটিয়ে আবারও সংকল্পবদ্ধ উয়াড়ি কর্তারা (Wari Club resumes its journey after 2019 fire incident) ৷ যে ক্লাবের পরতে পরতে ইতিহাস, সেই ক্লাব কোনও দুর্ঘটনায় চিরতরে শেষ হতে পারে না ৷ 1 এপ্রিল, 2019 ৷ মেয়ো রোডের ঘুম ভাঙে উয়াড়ি ক্লাবের দুই মালির ভয়ঙ্কর আর্তনাদে। যা শুনে ছুটে আসেন পাশের টাউন ক্লাব, রাজস্থান ক্লাব, প্রেস ক্লাবের মালিরা ৷ মালিদের চোখের সামনে কয়েক মিনিটে মধ্যে ভস্মীভূত হয়ে যায় বাংলার ফুটবলের 121 বছরের এক উজ্জ্বল ইতিহাস ৷

দুর্ঘটনার আকস্মিকতায় ভেঙে না পড়ে ওইদিনই ঘুরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন উয়াড়ি কর্তারা। এরপর কেটে গিয়েছে তিনটি বছর। পুড়ে যাওয়া ক্লাব তাঁবুতেই আসতেন কর্তারা, পরিকল্পনা করতেন নতুন ক্লাব তাঁবু গড়ে তোলার। কিন্তু পরিকল্পনা সাজালেই তো হল না, অর্থের যোগান আসবে কোথা থেকে? অর্থাভাবেই তাঁবুর কাজ শুরু করা যায়নি প্রায় দেড় বছর। অবশেষে নয়া ক্লাব তাঁবু গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ৷ পাশাপাশি অর্থ জুগিয়েছেন ক্লাবের সদস‍্যরাও । আর যাবতীয় পরিকল্পনার নীল-নকশা সাজিয়েছিলেন উয়াড়ির সচিব প্রবীর চক্রবর্তী ৷ অবশেষে সবুজ-সাদা রংয়ের ঝাঁ-ঝকঝকে ক্লাব তাঁবুতে আবারও ডানা মেলল স্বপ্ন। 1429 পয়লা বৈশাখে উয়াড়ির নতুন তাঁবুর উদ্বোধন হল ৷

উয়াড়ি অ‍্যাথলেটিক ক্লাবের শিকড় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। পরবর্তীকালে পাখি সেন, পঙ্কজ গুপ্ত, দীনেশ দত্ত-সহ বেশ কিছু কর্তারা কলকাতা ময়দানে উয়াড়ি ক্লাব শুরু করেছিলেন। বাংলাদেশের উয়াড়ির শাখা হিসেবেই 1898 থেকে কলকাতা উয়াড়ির পথ চলা শুরু হয়। ওই সময় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে উয়াড়ির নামে একটা গ‍্যালারিও ছিল। একটা সময় কলকাতা লিগে দাপটের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল,মোহনবাগান এবং মহামেডানকে হারিয়েছে উয়াড়ি। বাংলাকে উপহার দিয়েছে অসংখ্য ফুটবলার। উত্তম চক্রবর্তী, দিলীপ পালিত, সমরেশ চৌধুরী, তুষার রক্ষিত শুরু করে বাসুদেব মণ্ডল কিংবা আজকের কিংশুক প্রামাণিক, প্রীতম কোটাল ৷ তালিকাটা লম্বা এবং ঈর্ষণীয়।

আরও পড়ুন : বারপুজোর আমন্ত্রণ হোয়াটসঅ্যাপে, তবু মোহনবাগান নিয়ে আবেগ অটুট সৃঞ্জয়ের

যে ক্লাবের ছত্রে ছত্রে ইতিহাস, সেই ক্লাবেরই মাথা তুলে দাঁড়াতে লেগে গেল তিনটি বছর ৷ ক্লাব সচিব ইন্দ্রনাথ পাল বলছেন, "পাশে কে দাঁড়ায়নি বা কারা পাশে রয়েছে সেই সব বিতর্কে এখন আর যেতে চাই না। তিন বছর পর ক্লাবের তাঁবু নতুন করে তৈরি করা গিয়েছে এটাই বড় ব‍্যাপার।" সেনা আধিকারিকদের হাত ধরেই উদ্বোধন হল উয়াড়ির নতুল ক্লাব তাঁবুর। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলাররাও। ছিলেন আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.