টোকিয়ো, 7 অগস্ট : কিছুক্ষণ আগে ইতিহাস গড়েছেন ৷ অলিম্পিকসের ইতিহাসে যা কোনও ভারতীয় পারেননি, তাই করে দেখিয়েছেন ৷ পদক জিতেছেন তো বটেই, এমনকী সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সোনা ছিনিয়ে এনেছেন ৷ ট্র্যাক অ্য়ান্ড ফিল্ডে জ্যাভলিন থ্রো-তে সেরা হয়েছেন ৷ সেই কাজ করার কিছু পরে ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে সোনার ছেলে বললেন, "বড় আসরে নামার চাপ অনুভব করিনি ৷ যেহেতু আমি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আগেও নেমেছি ৷ তাছাড়া যে কোনও প্রতিযোগিতাই সহজ হয়ে যায় যখন প্রথম ছোড়াটা ভাল হয় ৷ প্রথম থ্রো (87.03 মিটার) করার পর আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম ৷"
চাপ তো দূরে থাক নীরজ এদিন জানিয়ে দিলেন, "প্রথম থ্রো ভাল হওয়ায় আমি অলিম্পিকস রেকর্ড (90.57 মিটার ) ভাঙা যায় কি-না ভাবছিলাম ৷" নীরজের এই আত্মবিশ্বাস কি এক ভারতীয় সেনার আত্মবিশ্বাস ? কর্মসূত্রে বছর 23 নীরজ ভারতীয় সেনা কর্মী ৷ রাজপুতনা রাইফেলসের সুবেদার তিনি ৷ যদিও তাঁর লড়াইটা সহজ ছিল না ৷ হরিয়ানার পানিপথে জন্ম নীরজ চোপড়ার ৷ কৃষক পরিবারের ছেলে ৷ বাবাও একজন কৃষক ৷ টোকিয়োয় সোনা জয়ের পর সেই ছেলের জন্যই 6 কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে হরিয়ানা সরকার ৷ অলিম্পিকসের অফিসায়ল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ছোট থেকে যে নীরজের জ্যাভলিন থ্রো-র প্রতি আগ্রহ ছিল এমনটা না ৷ তবে পরিচিত অনেককে থ্রো করতে দেখে একদিন ইচ্ছে হয় ৷ অন্য সূত্র বলছে, ছোটবেলায় নীরজ অস্বাভাবিক মোটা ছিলেন, ওবেসিটির দিকে চলে যাচ্ছিলেন ৷ শরীর ঝরাতেই নাকি জ্যাভলিন ছোড়া শুরু করেন ৷ সেইসঙ্গে শারীরিক কসরত ৷
আরও পড়ুন: Tokyo Olympics : 22 শ্রাবণেই টোকিয়োতে 'জনগণমন', নীরজ-ছোঁয়ায় রবি প্রণাম
টোকিয়োতে ইতিহাস নাম লেখালেন হরিয়ানার ছেলে নীরজ ৷ দেড়শো কোটির দেশে 13 বছরের বিরতিতে এল সোনার পদক ৷ যার পর করোনাকালেও আনন্দে মেতে উঠল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা ৷