কলকাতা, 18 জানুয়ারি: কলকাতায় বিশ্ব যুব টেনিসের আসরে ঘুরে গেলেন কাজাখস্তানের ইয়ারোস্লাভা শ্বেদোভা । তিনি 2010 সালে ডাবলসে উইম্বলডন এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ওপেন জয়ী টেনিস তারকা। 15 জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই যুব টেনিসে এসে 36 বছর বয়সি শ্বেদোভা বলছেন, "ভারতে টেনিস প্রতিভার অভাব নেই ।" তাঁর দেশ কাজাখস্তানে এত খেলোয়াড়ের কথা চিন্তাই করা যায় না । ভারতের মত তাঁর দেশেও টেনিসের রোল মডেল নেই বলে আগ্রহ কম। কাজাখরা বক্সিংয়ে অনেক বেশি আগ্রহী।
2007 সালে বেঙ্গালুরুতে খেলোয়াড় হিসেবে খেলে গিয়েছেন। সানিয়া মির্জার বিরুদ্ধে জয়ের কৃতিত্বও রয়েছে। রয়েছে 2010 এবং 2012 সালে ফরাসি ওপেনের সিঙ্গলে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার কৃতিত্বও । 2016 সালে উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালেও খেলেছেন । শ্বেদোভার মতে টেনিসে সাফল্যের জন্য ভাগ্যের প্রয়োজন। অনিশ্চয়তা রয়েছে বলেই সবকিছু ছেড়ে সন্তানদের টেনিস খেলতে পাঠাতে চান না বাবা-মায়েরা । পড়াশোনা এবং টেনিস দুটোই এক সঙ্গে চালাতে অনেককে দেখেছেন । তবে মনে করেন পড়াশোনার চাপ সরিয়ে নিতে পারলে টেনিসে ভালো কিছু করা সম্ভব । তাই পেশাদার টেনিসের পক্ষেই বাজি ধরেন ।
সুমিত নাগালের আর্থিক অনটনের কথা জানলেন । তবে বিস্মিত হলেন না। বলছেন, "সারাবছর বিশ্বজুড়ে টেনিস খেলে বেড়ানো মেয়ে । কোচ রাখার খরচ মোটেই সহজ নয় । আর্থিক সাহায্য মেলে না । তাই টেনিস খেলতে খেলতেই আর্থিক দিকটা দেখতে হয়। দেশের হয়ে খেলতে নামার চেয়ে খেলোয়াড়রা এটিপি টুর্নামেন্ট খেলতে আগ্রহী । এর জন্য আর্থিক বিষয়টি দায়ী। কারণ দেশের হয়ে খেললে ক্রমপর্যায়ে উন্নতি হয় না। তার উপর চোট পেলে সমস্যা বাড়ে । তাই খেলোয়াড়রা দেশের হয়ে দুই তিন সপ্তাহ ধরে খেলাকে সময়ের অপচয় বলে মনে করেন । তবে অলিম্পিকে প্রতিনিধিত্ব করার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। "
আরও পড়ুন :