কলকাতা, 6 এপ্রিল: কুড়ি মাস পরে জাতীয় দলে ফিরলেন সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় । ওয়ার্ল্ড টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে যাচ্ছেন তিনি । মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে এবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আসর বসতে চলেছে । সুতীর্থা ছাড়াও ভারতীয় দলে রয়েছেন মণিকা বাত্রা, সৃজা আকুলা এবং রীথ টেনিসন । ভারতের ছেলেদের দলে রয়েছেন শরথ কমল, হরমন দেশাই, জি সাথিয়ান । জানা গিয়েছে, বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়ার আগে ভারতীয় দল জাপানে শিবির করবে । মেয়েদের ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্বে সম্ভবত থাকবেন অনিন্দিতা চক্রবর্তী ।
টোকিও অলিম্পিকের পরে ভারতীয় দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন সুতীর্থা । পারফরম্যান্স ছাড়াও বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণেই দল থেকে বাদ পড়ে বাংলার প্যাডলার । মাঝের কুড়ি মাস সুতীর্থার কাছে ছিল প্রত্যাবর্তনের লড়াই । হরিয়ানা থেকে ফের বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি । জম্মুতে সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় রানার্স হয়ে ছিলেন সৌম্যদীপ রায় ও পৌলমী ঘটকের অ্যাকাডেমির খেলোয়াড়টি । জাতীয় টিটি ফাইনালে তিনি পরাজিত হয়েছেন শ্রীজা আকুলার কাছে । মণিকা বাত্রা জাতীয় আসরের প্রিকোয়ার্টারে পরাজিত হয়েছিলেন ।
তবে এই মুহূর্তে সুতীর্থার জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন চমকপ্রদ । চলতি বছরে তিনি রাজ্য টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন । জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন যে পাখির চোখ ছিল তা সুতীর্থা সেই সময়েই জানিয়েছিলেন । লক্ষ্যপূরণে তাড়াহুড়ো করতে চাননি তিনি । বদলে পারফরম্যান্স করে ফিরতে চেয়েছিলেন । রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেই প্রত্যাবর্তনের প্রথম ধাপ পেরনোর পরে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্স হন । অবশেষে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন । সেদিক থেকে নিঃসন্দেহে সেরা কামব্যাক তাঁর এটি বলে ক্রীড়াবিদদের মত ।
টেবল টেনিস ফেডারেশন এখনও বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের দল ঘোষণা করেনি । তবে এই খেলোয়াড়দের নাম পাঠানো হয়েছে এবং তা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের তালিকায় দেখা যাচ্ছে । বেঙ্গল স্টেট টেবিল টেনিসের যুগ্ম সচিব শর্মি সেনগুপ্ত জানিয়েছেন খবরটি আনন্দের । বাংলার একাধিক খেলোয়াড় এখন জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক স্তরে ভালো পারফরম্যান্স করছে । সুতীর্থার প্রত্যাবর্তন তারই প্রমাণ । সুতীর্থা স্বয়ং এই ব্যাপারে সরাসরি মুখ খোলেননি । তবে বলেছেন, দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা সবসময়ই আনন্দের ।
আরও পড়ুন: রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বর্ষাপাড়ায় 'কিংস' পঞ্জাবই