ETV Bharat / sports

না-ফেরার দেশে 'ছদ্মবেশী', ক্যানসারের কাছে হার মানলেন ক্রীড়া সাংবাদিক অরুণ সেনগুপ্ত - ছদ্মবেশী

Sports Journalist Arun Sengupta: বয়স হয়েছিল 65 বছর, কিন্তু মারণরোগ ক্যানসার তাঁর শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল ৷ তাই শেষরক্ষা আর হল না ৷ প্রয়াত হলেন ক্রীড়া সাংবাদিক তথা 'ছদ্মবেশী' অরুণ সেনগুপ্ত ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 24, 2023, 2:11 PM IST

কলকাতা, 24 নভেম্বর: প্রয়াত বাংলা তথা কলকাতা ময়দানেক প্রখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক অরুণ সেনগুপ্ত ৷ দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি ৷ অবশেষ সেই লড়াইয়ের অবসান ৷ 65 বছর বয়সে বৃহস্পতিবার রাত 11টা 25 মিনিটে শেষ নিঃশ্বাসত্যাগ করলেন তিনি ৷ মৃত্যুকালে রেখে গেলেন স্ত্রী, কন্যা এবং জামাতাকে ৷ সংবাদ জগতে তিনি পরিচিত ছিলেন 'ছদ্মবেশী' নামে ৷

আজকাল সংবাদপত্রে প্রুফরিডার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ৷ পরবর্তী সময়ে ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ৷ প্রথমে 'ছদ্মবেশী' নামে লিখতেন ৷ পরবর্তী সময়ে 'ছদ্মবেশী'র খোলস ছেড়ে নিজের নামে লিখতে শুরু করেন ৷ ময়দান ও ক্রীড়াজগতের বহু চর্চিত খবর অরুণ সেনগুপ্তর কলম থেকে বেরিয়েছে ৷ যা চমকে দিয়েছে সকলকে ৷ ফুটবলার থেকে কর্তা সকলের ভালো কাজে ও পারফর্ম্যান্সের প্রশংসা যেমন থাকত ৷ তেমনই কোনও গড়বড় দেখলে কষাঘাত নেমে আসত তাঁর কলমের মাধ্যমে ৷ ফুটবলার তথা ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের কাছের মানুষ হয়ে উঠতেন সহজেই ৷ তাঁদের সুখ-দুঃখের শরিক হতেন ৷ কৃশানু দে, সুভাষ ভৌমিক সবার প্রিয় ছিলেন অরুণ সেনগুপ্ত ৷

সাংবাদিক হিসেবে কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের তালিকায় তিনটি ফুটবল বিশ্বকাপ রয়েছে ৷ আর্ন্তজাতিক ফুটবলে শ্রেষ্ঠ মঞ্চে কাজ করলেও, ময়দান এবং ভারতীয় ক্রীড়াজগৎ, বিশেষ করে ফুটবলের সঙ্গে কখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি তাঁর ৷ বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র আজকালে সুনামের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ৷ পরবর্তী সময়ে সংবাদ প্রতিদিনে যোগ দেন ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে ৷ সেখানেও অরুণ সেনগুপ্তর কলম রেয়াত করেনি কাউকে ৷ কর্মজীবনের শেষ বেলায় সংবাদ প্রতিদিনে অ্যাসিট্যান্ট এডিটর পদে ছিলেন ৷ শুধু খেলার দুনিয়া নয়, অন্যান্য যে কোনও ক্ষেত্রে তাঁর মুন্সিয়ানার প্রকাশ দেখা যেত ৷ বলতেন, “ক্রীড়া সাংবাদিকরা যে কোনও বিভাগে কাজ করতে পারেন ৷”

নিজের কর্মজীবনে বহু সাংবাদিকের পথপ্রদর্শক ছিলেন অরুণ সেনগুপ্ত ৷ তাঁর সদা হাস্যময়, সদা আলাপি ভাবমূর্তি সবার কাছেই ছিল প্রিয় ৷ যে কোনও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং নিজের প্রতিষ্ঠানে ছিলেন কাছের মানুষ, কাজের মানুষ ৷ অন্য প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকদেরও তিনি ছিলেন পথপ্রদর্শক ৷ বহু সাংবাদিকের উত্থানের নেপথ্য ভূমিকা ছিল অরুণ সেনগুপ্তর ৷ তাই অচিরেই হয়ে উঠেছিলেন সকলের প্রিয় 'অরুণ দা' ৷

আজ সকালে শেষশ্রদ্ধা জানাতে ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাব, প্রেস ক্লাব এবং সংবাদ প্রতিদিন অফিসে অরুণ সেনগুপ্তর দেহ নিয়ে আসা হয় ৷ তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া ময়দান তথা ক্রীড়া জগতে ৷ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে দেবব্রত সরকার-সহ অন্যান্যরা বৃহস্পতিবার রাতেই অরুণ সেনগুপ্তকে শ্রদ্ধা জানান ৷ প্রেস ক্লাবে মোহনবাগানের সহ-সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন ৷

আরও পড়ুন:

  1. ফিফার অ্যাকাডেমিকে স্বাগত কুয়াদ্রাতের, শনিবার অনিশ্চিত বোরহা
  2. শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে নায়ক রিঙ্কু, রুদ্ধশ্বাস জয়ে অজিদের বিরুদ্ধে টি-20 সিরিজে এগোল ভারত
  3. ওড়িশায় ফিফার অ্যাকাডেমি, ফুটবলে বঞ্চনার শিকার বাংলা; মত ক্রীড়ামন্ত্রীর

কলকাতা, 24 নভেম্বর: প্রয়াত বাংলা তথা কলকাতা ময়দানেক প্রখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক অরুণ সেনগুপ্ত ৷ দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি ৷ অবশেষ সেই লড়াইয়ের অবসান ৷ 65 বছর বয়সে বৃহস্পতিবার রাত 11টা 25 মিনিটে শেষ নিঃশ্বাসত্যাগ করলেন তিনি ৷ মৃত্যুকালে রেখে গেলেন স্ত্রী, কন্যা এবং জামাতাকে ৷ সংবাদ জগতে তিনি পরিচিত ছিলেন 'ছদ্মবেশী' নামে ৷

আজকাল সংবাদপত্রে প্রুফরিডার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ৷ পরবর্তী সময়ে ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ৷ প্রথমে 'ছদ্মবেশী' নামে লিখতেন ৷ পরবর্তী সময়ে 'ছদ্মবেশী'র খোলস ছেড়ে নিজের নামে লিখতে শুরু করেন ৷ ময়দান ও ক্রীড়াজগতের বহু চর্চিত খবর অরুণ সেনগুপ্তর কলম থেকে বেরিয়েছে ৷ যা চমকে দিয়েছে সকলকে ৷ ফুটবলার থেকে কর্তা সকলের ভালো কাজে ও পারফর্ম্যান্সের প্রশংসা যেমন থাকত ৷ তেমনই কোনও গড়বড় দেখলে কষাঘাত নেমে আসত তাঁর কলমের মাধ্যমে ৷ ফুটবলার তথা ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের কাছের মানুষ হয়ে উঠতেন সহজেই ৷ তাঁদের সুখ-দুঃখের শরিক হতেন ৷ কৃশানু দে, সুভাষ ভৌমিক সবার প্রিয় ছিলেন অরুণ সেনগুপ্ত ৷

সাংবাদিক হিসেবে কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের তালিকায় তিনটি ফুটবল বিশ্বকাপ রয়েছে ৷ আর্ন্তজাতিক ফুটবলে শ্রেষ্ঠ মঞ্চে কাজ করলেও, ময়দান এবং ভারতীয় ক্রীড়াজগৎ, বিশেষ করে ফুটবলের সঙ্গে কখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি তাঁর ৷ বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র আজকালে সুনামের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ৷ পরবর্তী সময়ে সংবাদ প্রতিদিনে যোগ দেন ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে ৷ সেখানেও অরুণ সেনগুপ্তর কলম রেয়াত করেনি কাউকে ৷ কর্মজীবনের শেষ বেলায় সংবাদ প্রতিদিনে অ্যাসিট্যান্ট এডিটর পদে ছিলেন ৷ শুধু খেলার দুনিয়া নয়, অন্যান্য যে কোনও ক্ষেত্রে তাঁর মুন্সিয়ানার প্রকাশ দেখা যেত ৷ বলতেন, “ক্রীড়া সাংবাদিকরা যে কোনও বিভাগে কাজ করতে পারেন ৷”

নিজের কর্মজীবনে বহু সাংবাদিকের পথপ্রদর্শক ছিলেন অরুণ সেনগুপ্ত ৷ তাঁর সদা হাস্যময়, সদা আলাপি ভাবমূর্তি সবার কাছেই ছিল প্রিয় ৷ যে কোনও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং নিজের প্রতিষ্ঠানে ছিলেন কাছের মানুষ, কাজের মানুষ ৷ অন্য প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকদেরও তিনি ছিলেন পথপ্রদর্শক ৷ বহু সাংবাদিকের উত্থানের নেপথ্য ভূমিকা ছিল অরুণ সেনগুপ্তর ৷ তাই অচিরেই হয়ে উঠেছিলেন সকলের প্রিয় 'অরুণ দা' ৷

আজ সকালে শেষশ্রদ্ধা জানাতে ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাব, প্রেস ক্লাব এবং সংবাদ প্রতিদিন অফিসে অরুণ সেনগুপ্তর দেহ নিয়ে আসা হয় ৷ তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া ময়দান তথা ক্রীড়া জগতে ৷ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে দেবব্রত সরকার-সহ অন্যান্যরা বৃহস্পতিবার রাতেই অরুণ সেনগুপ্তকে শ্রদ্ধা জানান ৷ প্রেস ক্লাবে মোহনবাগানের সহ-সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন ৷

আরও পড়ুন:

  1. ফিফার অ্যাকাডেমিকে স্বাগত কুয়াদ্রাতের, শনিবার অনিশ্চিত বোরহা
  2. শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে নায়ক রিঙ্কু, রুদ্ধশ্বাস জয়ে অজিদের বিরুদ্ধে টি-20 সিরিজে এগোল ভারত
  3. ওড়িশায় ফিফার অ্যাকাডেমি, ফুটবলে বঞ্চনার শিকার বাংলা; মত ক্রীড়ামন্ত্রীর
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.