কলকাতা, 14 মে: ফুটবল দলের পরে এবার কি মোহনবাগান ক্লাবের ক্রিকেটের ভারণপোষণের দায়িত্ব নিতে চলেছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। একটি সম্ভাবনা এমনই জল্পনা উসকে দিচ্ছে ময়দানে। আগামী শনিবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হবে লখনউ সুপার জায়ান্টস। সেই ম্যাচে থাকছে চমক। কলকাতায় অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে মোহনবাগান-এর জার্সি পরে নামতে পারেন ক্রুনাল পাণ্ডিয়ারা। এমনটাই শোনা যাচ্ছে সূত্র মারফত।
প্লে-অফের আশা কার্যত শেষ হতে চলা নাইট শিবিরের ক্রিকেটীয় পারফরম্যান্স নিয়ে আমজনতা আগ্রহী নয়। তবে এই ম্যাচ ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা কিংবা চমক যোগ হতে চলেছে লখনউ সুপার জায়ান্টসের একটি সিদ্ধান্তে। হয়তো ক্রুণাল পাণ্ডিয়ারা ইডেনে পরিচিত নীল জার্সি ছেড়ে সবুজ-মেরুন জার্সিতে নামবেন। সাধারণভাবে কেকেআর-এর ম্যাচ নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে আর উৎসাহ না-থাকলেও এই জার্সি নিয়ে উদ্দীপনা দেখা যেতে পারে ইডেনে। কারণ জার্সিটার রং যেহেতু সবুজ-মেরুন।
তাহলে সেই জার্সিই কি সামনের মরশুমে পরে নামবেন দিমিত্রি পেত্রাতোসরা? লখনউ সুপার জায়ান্টস কি আগামী শনিবার ইডেনের ম্যাচকে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টসের নতুন মরশুমের জার্সির আত্মপ্রকাশ করার মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে? কিংবা মোহনবাগানের ক্রিকেট টিমের সঙ্গেও গাঁটছড়া বাধার ইঙ্গিত দিচ্ছে। পরিষ্কার ছবিটা ঠিক কী, যদিও এখনও তা সুপার জায়ান্টস কর্তৃপক্ষ জানায়নি। গত মরশুমে আইএসএল ফাইনাল জিতে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের জন্য দারুণ উপহার দিয়েছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ফিরতে চান ভারতীয় ফুটবলের ‘দ্রোণাচার্য’ সৈয়দ নইমুদ্দিন
তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, মোহনবাগানের নামের সামনে থেকে 'এটিকে' উঠে যাচ্ছে। পাশাপাশি এও জানিয়েছিলেন, পরের মরশুম থেকে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস নামে খেলবে সবুজ-মেরুন। এই ঘোষণায় দারুণ খুশি হয়েছিলেন মোহনবাগান সমর্থকরা। তবে এবার লখনউ সুপার জায়ান্টস দলের মোহনবাগান জার্সি পরে কলকাতায় মাঠে নামা কীভাবে নেন তাঁরা সেটাই এখন দেখার। কারণ, সমর্থকদের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সবুজ-মেরুন জার্সি।
তবে যে জার্সি পরে সাধারণত মাঠে নামেন মোহনবাগান ফুটবলার বা ক্রিকেটাররা। সেই জার্সি অন্য দলের গায়ে চাপানো তাঁরা ভালোভাবে নাও নিতে পারেন। তাছাড়া আইপিএলের মতো প্রথম সারির ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের মাঝপথে কীভাবে জার্সির রং বদল সম্ভব সেটাও বড় প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মালিক বিজয় মালিয়া কলকাতায় খেলা থাকতে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের লাল-হলুদ জার্সি পড়ে মাঠে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিতেন। কারণ, সেই সময় ইস্টবেঙ্গলের স্পনসর ছিল কিংফিশার।
আরও পড়ুন: জেলা ফুটবল থেকে স্পেনের ক্লাবে ট্রায়ালে বাংলার ছয় ফুটবলার