ETV Bharat / sports

Soccer Lover Pankaj Ghosh: প্রতিবন্ধকতাকে ড্রিবল করে লোনের টাকায় কাতার যাচ্ছেন একাত্তরের পঙ্কজ - লোনের টাকায় কাতার যাচ্ছেন একাত্তরের পঙ্কজ

ওই যে বলে, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় ৷ একাত্তরের পঙ্কজ ঘোষের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই ৷ তাঁর মনের জোরের কাছে হার মেনেছে বয়সের বাধা আর ব্যাংকের লোনে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ৷ এই সবকিছুকে ড্রিবল করে কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে যাচ্ছেন তিনি (Pankaj Ghosh takes loan to go Qatar for Football WC) ৷

Etv Bharat
প্রতিবন্ধকতাকে ড্রিবল করে লোনের টাকায় কাতার যাচ্ছেন একাত্তরের পঙ্কজ
author img

By

Published : Nov 9, 2022, 9:04 PM IST

বৈদ্যবাটি, 9 নভেম্বর: 'ঝুন্ড' (Jhund)) ছবিতে বিজয় বারসে স্যরের কথা মনে আছে? বৈদ্যবাটির চৌমাথা স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে গেলে আপনার মুহূর্তের মধ্যে মনে পড়ে যাবে সেই বিজয় বারসে স্যরকে ৷ বস্তির গরীব ছেলেদের ঘষে মেজে সেখানে ভবিষ্যতের বাইচুং ভুটিয়া, সুনীল ছেত্রী কিংবা জো পল আনচেরি বানানোর চেষ্টা করছেন একাত্তরের পঙ্কজ ঘোষ ৷

আর্থিকভাবে স্বচ্ছল বলা যাবে না ৷ স্বভাবতই চার বছর অন্তর বিভিন্ন দেশ ঘুরে বিশ্বকাপ দেখার মতো সহায়-সম্বল নেই ৷ কিন্তু ওই যে বলে, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় ৷ পঙ্কজ ঘোষের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই ৷ তাঁর মনের জোরের কাছে হার মেনেছে বয়সের বাধা আর ব্যাংকের লোনে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ৷ এই সবকিছুকে ড্রিবল করে কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে যাচ্ছেন তিনি (Pankaj Ghosh takes loan to go Qatar for Football WC) ৷

এর আগে গ্যালারিতে বসে সাক্ষী হয়েছেন ছয়-ছ'টি বিশ্বকাপের ৷ অর্থাৎ, কাতারে সপ্তম বিশ্বকাপের শরিক হতে যাচ্ছেন পঙ্কজবাবু (Pankaj Ghosh to attend football WC for seventh time) ৷ ফুটবল বিশ্বকাপের পাশাপাশি তিনি সাক্ষী থেকেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং উইম্বলডনেরও ৷ লোন শোধের বিষয়টিকে বিশেষ আমল দিতে নারাজ তিনি ৷ সবই উপরওয়ালার হাতে ছাড়ছেন সত্তরোর্ধ্ব তরুণ ৷ তবে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে তো আর চলে না, তাই এক বুক প্রত্যাশা নিয়ে এলাকার খুদেদের মধ্যে ফুটবলের নেশা সঞ্চারিত করছেন এই বয়সে এসেও ৷

প্রতিবন্ধকতাকে ড্রিবল করে লোনের টাকায় কাতার যাচ্ছেন একাত্তরের পঙ্কজ

পঙ্কজ ঘোষের কথায়, "1998 সালে আমার প্রথম বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া। তখন মাইনে মাত্র 2600 টাকা। তখনই আশি হাজার টাকা ধার করে ফেলেছিলেম। কোনও ব্যাঙ্ক লোন দিতে চায়নি আমাকে। বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে অথবা ব্যক্তিগত লোন নিয়েছিলাম আমি। পরে এসে ধার শোধ করেছি।" আর কীভাবে দেশ-বিদেশ ঘুরে লোন মিটিয়ে এখনও সম্ভব হচ্ছে ফুটবল-ক্রিকেট দেখা?

আরও পড়ুন: 'মৃত্যুঞ্জয়ী' এরিকসেনকে স্কোয়াডে রেখে কাতার যাচ্ছে ডেনমার্ক

উত্তরে বাস্তবের বিজয় বারসে স্যর বলছেন, "ইচ্ছে থাকলেই সব হয় ৷ উপরওয়ালাও দেখে, সব শোধ হয়ে যায় ৷ তার জন্য পরিশ্রম যদিও করতে হয় ৷ টাকা তো আর এমনি এমনি আসে না ৷" সবমিলিয়ে একাত্তর নেহাত সংখ্যা মাত্র পঙ্কজবাবুর কাছে ৷ কাতারের যাওয়ার প্রস্তুতির ফাঁকেই হয়তো তিরিশে মেক্সিকো যাওয়ারও পরিকল্পনা ছকে রাখছেন ফুটপ্রেমীদের অনুপ্রেরণা পঙ্কজ ঘোষ ৷

বৈদ্যবাটি, 9 নভেম্বর: 'ঝুন্ড' (Jhund)) ছবিতে বিজয় বারসে স্যরের কথা মনে আছে? বৈদ্যবাটির চৌমাথা স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে গেলে আপনার মুহূর্তের মধ্যে মনে পড়ে যাবে সেই বিজয় বারসে স্যরকে ৷ বস্তির গরীব ছেলেদের ঘষে মেজে সেখানে ভবিষ্যতের বাইচুং ভুটিয়া, সুনীল ছেত্রী কিংবা জো পল আনচেরি বানানোর চেষ্টা করছেন একাত্তরের পঙ্কজ ঘোষ ৷

আর্থিকভাবে স্বচ্ছল বলা যাবে না ৷ স্বভাবতই চার বছর অন্তর বিভিন্ন দেশ ঘুরে বিশ্বকাপ দেখার মতো সহায়-সম্বল নেই ৷ কিন্তু ওই যে বলে, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় ৷ পঙ্কজ ঘোষের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই ৷ তাঁর মনের জোরের কাছে হার মেনেছে বয়সের বাধা আর ব্যাংকের লোনে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ৷ এই সবকিছুকে ড্রিবল করে কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে যাচ্ছেন তিনি (Pankaj Ghosh takes loan to go Qatar for Football WC) ৷

এর আগে গ্যালারিতে বসে সাক্ষী হয়েছেন ছয়-ছ'টি বিশ্বকাপের ৷ অর্থাৎ, কাতারে সপ্তম বিশ্বকাপের শরিক হতে যাচ্ছেন পঙ্কজবাবু (Pankaj Ghosh to attend football WC for seventh time) ৷ ফুটবল বিশ্বকাপের পাশাপাশি তিনি সাক্ষী থেকেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং উইম্বলডনেরও ৷ লোন শোধের বিষয়টিকে বিশেষ আমল দিতে নারাজ তিনি ৷ সবই উপরওয়ালার হাতে ছাড়ছেন সত্তরোর্ধ্ব তরুণ ৷ তবে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে তো আর চলে না, তাই এক বুক প্রত্যাশা নিয়ে এলাকার খুদেদের মধ্যে ফুটবলের নেশা সঞ্চারিত করছেন এই বয়সে এসেও ৷

প্রতিবন্ধকতাকে ড্রিবল করে লোনের টাকায় কাতার যাচ্ছেন একাত্তরের পঙ্কজ

পঙ্কজ ঘোষের কথায়, "1998 সালে আমার প্রথম বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া। তখন মাইনে মাত্র 2600 টাকা। তখনই আশি হাজার টাকা ধার করে ফেলেছিলেম। কোনও ব্যাঙ্ক লোন দিতে চায়নি আমাকে। বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে অথবা ব্যক্তিগত লোন নিয়েছিলাম আমি। পরে এসে ধার শোধ করেছি।" আর কীভাবে দেশ-বিদেশ ঘুরে লোন মিটিয়ে এখনও সম্ভব হচ্ছে ফুটবল-ক্রিকেট দেখা?

আরও পড়ুন: 'মৃত্যুঞ্জয়ী' এরিকসেনকে স্কোয়াডে রেখে কাতার যাচ্ছে ডেনমার্ক

উত্তরে বাস্তবের বিজয় বারসে স্যর বলছেন, "ইচ্ছে থাকলেই সব হয় ৷ উপরওয়ালাও দেখে, সব শোধ হয়ে যায় ৷ তার জন্য পরিশ্রম যদিও করতে হয় ৷ টাকা তো আর এমনি এমনি আসে না ৷" সবমিলিয়ে একাত্তর নেহাত সংখ্যা মাত্র পঙ্কজবাবুর কাছে ৷ কাতারের যাওয়ার প্রস্তুতির ফাঁকেই হয়তো তিরিশে মেক্সিকো যাওয়ারও পরিকল্পনা ছকে রাখছেন ফুটপ্রেমীদের অনুপ্রেরণা পঙ্কজ ঘোষ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.