মেলবোর্ন, 16 জানুয়ারি : নোভাক জকোভিচের অস্ট্রেলিয়ার ভিসা মামলার শুনানি শেষ (Novak Djokovic Visa Case Hearing) ৷ জকোভিচের ভিসা বহাল রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এই মুহূর্তে আলোচনায় বসেছেন ফেডেরাল কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ ৷ এদিন দীর্ঘ সময় ধরে নোভাক এবং অস্ট্রেলিয়া সরকারের আইনজীবীর তাঁদের বক্তব্য পেশ করেন (Novak Djokovic Australian Visa Case) ৷
ফেডেরাল কোর্টের প্রধান বিচারপতি শুনানি শেষে আদালতের প্রক্রিয়া স্থগিত বলে ঘোষণা করেন ৷ সেই সঙ্গে জানান, দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এবার তাঁরা সবদিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন ৷ পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘‘আমি আশা করছি আজকের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত-সহ ফিরে আসব ৷ আর তা না হলে, সোমবার সকালেও আরও একবার শুনানির সময় ধার্য করা হবে ৷’’
এদিন অস্ট্রেলিয়ার ফেডেরাল কোর্টে ইউরোপীয় দেশগুলিতে চলা ‘অ্যান্টি-ভ্যাকসার্স’ মুভমেন্টকে হাতিয়ার করেন জকোভিচের আইনজীবী ৷ যেখানে সার্বিয়ান টেনিস তারকাকে সেই মুভমেন্টের অঙ্গ হিসেবে তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবী নিক উড ৷ তিনি দাবি করেন, নোভাক জকোভিচের ভিসা বাতিল করলে এর কী প্রভাব পড়তে পারে, তা না জেনেই অভিবাসন মন্ত্রী অ্যালেক্স হক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷
যদিও নোভাকের আইনজীবীর এই দাবিকে খারিজ করেছেন ভিক্টোরিয়ান সরকারের আইনজীবী ৷ তিনি পাল্টা জানান, অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী অ্যালেক্স হক ‘যথেষ্ঠ অবগত’ যে, নোভাক জকোভিচের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তে ‘অ্যান্টি ভ্যাকসিনেশন’ গ্রুপের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে ৷ পাশাপাশি জকোভিচের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে রীতিমতো কড়া অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছে ভিক্টোরিয়ান সরকারের আইনজীবীকে ৷ যেখানে জকোভিচের করোনার টিকা না নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে সরকার ৷
আরও পড়ুন : Novak Djokovic Visa Cancels : দ্বিতীয়বারেও ভিসা বাতিল, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নেই জকোভিচ
বলা হয়েছে, নোভাক জকোভিচ একজন একজন তারকা এবং তার উপর তিনি স্পোর্টস পার্সন ৷ ফলে তাঁর নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপ অস্ট্রেলিয়া তথা বিশ্বের তরুণ সমাজকে প্রভাবিত করবে ৷ এনিয়ে ভিক্টোরিয়ান আইনজীবী বলেন, সেটা প্রমাণ করার জন্য অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রীর তথ্য পেশ করার প্রয়োজন পড়বে না ৷ কারণ, নোভাক জকোভিচ তাঁর ভিসা বাতিলের ইস্যুতে মানুষকে যথেষ্ঠই প্রভাবিত করেছেন ৷ আর তাঁর ভিসা বাতিল করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসী আইন মেনেই ৷ আর সেখানে মন্ত্রীর ক্ষমতা রয়েছে এমন একজনকে দেশে প্রবেশে বাধা দেওয়ার, যিনি হয়তো অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারেন ৷