ETV Bharat / sports

Badru Bannerjee বদ্রুহারা বাগান, রত্নকে হারিয়ে শোকের আবহ গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে

1952 সালে মোহনবাগানে যোগ দেন বদ্রু (Samar Bannerjee) । তাঁর সময়কালে এমন কোনও ট্রফি নেই যা বাগানের তাঁবুতে শোভা পায়নি । স্বভাবতই রত্নের প্রয়াণে স্বজনহারানোর যন্ত্রণা গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে (Mohun Bagan condolences demise of Badru Bannerjee) ৷

Etv Bharat
Badru Bannerjee Death
author img

By

Published : Aug 20, 2022, 6:24 PM IST

কলকাতা, 20 অগস্ট: গঙ্গাপাড়ের ক্লাবকে প্রথম ডুরান্ডের স্বাদ দিয়েছিলেন তিনিই ৷ আর শনিবার মোহনবাগানের ডুরান্ড কাপ অভিযান শুরুর ভোরেই প্রয়াত সমর 'বদ্রু' বন্দ্যোপাধ্যায় (Badru Bannerjee)। মোহনবাগানের হয়ে সবুজ ঘাসে আলপনা এঁকেছেন টানা আট বছর ৷ প্রিয় বদ্রুর দাপটে (1952-59) পালতোলা নৌকো ছুটেছে দুর্বার গতিতে ৷ তথ্য বলছে, তাঁর সময়কালে এমন কোনও ট্রফি নেই যা বাগানের তাঁবুতে শোভা পায়নি । স্বভাবতই 'রত্নের'র প্রয়াণে শোকের আবহ মোহনবাগানে (Mohun Bagan condoles demise of Badru Bannerjee) ৷

1952 সালে মোহনবাগানে যোগ দেন বদ্রু । জাতীয় ক্লাবে তখন চলছে শৈলেন মান্নাদের যুগ । কিন্তু অসাধারণ ফুটবল প্রতিভায় ভর করে খুব তাড়াতাড়ি একাদশে নিজের জায়গা পাকা করে নেন তিনি । প্রথম বছরে রাজস্থান ক্লাবের সঙ্গে যুগ্মভাবে বাগানের হয়ে আইএফএ শিল্ড জেতেন বদ্রু । পরের মরশুমেই প্রথম বার ডুরান্ড জয় মোহনবাগানের । নকআউট পর্বে কার্যত মাত করে দেন বদ্রু । সেমিফাইনাল, ফাইনালে তাঁর কাঁধে ভর করেই ছুটেছিল বাগানের রণতরী ৷

Etv Bharat
90 বছরের জন্মদিনও প্রিয় ক্লাবেই সেলিব্রেট করেছিলেন প্রবাদপ্রতীম খেলোয়াড়

পরের বছর প্রথম বার দ্বিমুকুট জেতে মোহনবাগান । পরের মরশুমেই প্রথমবার রোভার্স আসে বাগান তাঁবুতে । তিন ফাইনালেই নজর কেড়েছিলেন 'বাগানের ঘরের ছেলে' । 2009 সালে তাঁকে 'মোহনবাগান রত্ন' সম্মান দেয় ক্লাব ৷ 90 বছরের জন্মদিনও প্রিয় ক্লাবেই সেলিব্রেট করেছিলেন প্রবাদপ্রতীম খেলোয়াড় ৷ ফলে এদিন ভোরবেলায় তাঁর প্রয়াণের খবর আসতেই স্বজনহারানোর যন্ত্রণা গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে ৷

স্বজনহারানোর যন্ত্রণা গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে

শুধু কি বাগান ? রাজ্য, দেশের হয়েও সমান উজ্জ্বল বদ্রু ৷ ফুটবলার হিসেবে শুধু নয়, বাংলাকে সন্তোষ ট্রফির স্বাদ দিয়েছেন কোচের চেয়ারে বসেও ৷ তবে তাঁর জীবনের সেরা সাফল্য 1956 সালের মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে ৷ বিশ্বের সবচেয়ে কুলীন টুর্নামেন্টে নীল জার্সিধারীদের নেতৃত্ব দেন তিনি । আয়োজক দেশকে 4-2 গোলে উড়িয়ে দেয় ভারত । অজিদের বিরুদ্ধে ভারতের খেলা চমকে দিয়েছিল দেশের ফুটবলপ্রেমীদেরও । শেষপর্যন্ত চতুর্থ স্থানে শেষ হয়েছিল দেশের জয়যাত্রা ৷

আরও পড়ুন: প্রয়াত বাঙালির প্রিয় বদ্রু, শোকস্তব্ধ ফুটবল মহল

বেলা গড়াতেই প্রিয় বাগানে নিয়ে আসা হয় তাঁর মরদেহ ৷ শ্রদ্ধা জানান ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, প্রাক্তন বাগান সচিব সৃঞ্জয় বসু, ক্লাবের বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্ত, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়রা ৷

কলকাতা, 20 অগস্ট: গঙ্গাপাড়ের ক্লাবকে প্রথম ডুরান্ডের স্বাদ দিয়েছিলেন তিনিই ৷ আর শনিবার মোহনবাগানের ডুরান্ড কাপ অভিযান শুরুর ভোরেই প্রয়াত সমর 'বদ্রু' বন্দ্যোপাধ্যায় (Badru Bannerjee)। মোহনবাগানের হয়ে সবুজ ঘাসে আলপনা এঁকেছেন টানা আট বছর ৷ প্রিয় বদ্রুর দাপটে (1952-59) পালতোলা নৌকো ছুটেছে দুর্বার গতিতে ৷ তথ্য বলছে, তাঁর সময়কালে এমন কোনও ট্রফি নেই যা বাগানের তাঁবুতে শোভা পায়নি । স্বভাবতই 'রত্নের'র প্রয়াণে শোকের আবহ মোহনবাগানে (Mohun Bagan condoles demise of Badru Bannerjee) ৷

1952 সালে মোহনবাগানে যোগ দেন বদ্রু । জাতীয় ক্লাবে তখন চলছে শৈলেন মান্নাদের যুগ । কিন্তু অসাধারণ ফুটবল প্রতিভায় ভর করে খুব তাড়াতাড়ি একাদশে নিজের জায়গা পাকা করে নেন তিনি । প্রথম বছরে রাজস্থান ক্লাবের সঙ্গে যুগ্মভাবে বাগানের হয়ে আইএফএ শিল্ড জেতেন বদ্রু । পরের মরশুমেই প্রথম বার ডুরান্ড জয় মোহনবাগানের । নকআউট পর্বে কার্যত মাত করে দেন বদ্রু । সেমিফাইনাল, ফাইনালে তাঁর কাঁধে ভর করেই ছুটেছিল বাগানের রণতরী ৷

Etv Bharat
90 বছরের জন্মদিনও প্রিয় ক্লাবেই সেলিব্রেট করেছিলেন প্রবাদপ্রতীম খেলোয়াড়

পরের বছর প্রথম বার দ্বিমুকুট জেতে মোহনবাগান । পরের মরশুমেই প্রথমবার রোভার্স আসে বাগান তাঁবুতে । তিন ফাইনালেই নজর কেড়েছিলেন 'বাগানের ঘরের ছেলে' । 2009 সালে তাঁকে 'মোহনবাগান রত্ন' সম্মান দেয় ক্লাব ৷ 90 বছরের জন্মদিনও প্রিয় ক্লাবেই সেলিব্রেট করেছিলেন প্রবাদপ্রতীম খেলোয়াড় ৷ ফলে এদিন ভোরবেলায় তাঁর প্রয়াণের খবর আসতেই স্বজনহারানোর যন্ত্রণা গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে ৷

স্বজনহারানোর যন্ত্রণা গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে

শুধু কি বাগান ? রাজ্য, দেশের হয়েও সমান উজ্জ্বল বদ্রু ৷ ফুটবলার হিসেবে শুধু নয়, বাংলাকে সন্তোষ ট্রফির স্বাদ দিয়েছেন কোচের চেয়ারে বসেও ৷ তবে তাঁর জীবনের সেরা সাফল্য 1956 সালের মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে ৷ বিশ্বের সবচেয়ে কুলীন টুর্নামেন্টে নীল জার্সিধারীদের নেতৃত্ব দেন তিনি । আয়োজক দেশকে 4-2 গোলে উড়িয়ে দেয় ভারত । অজিদের বিরুদ্ধে ভারতের খেলা চমকে দিয়েছিল দেশের ফুটবলপ্রেমীদেরও । শেষপর্যন্ত চতুর্থ স্থানে শেষ হয়েছিল দেশের জয়যাত্রা ৷

আরও পড়ুন: প্রয়াত বাঙালির প্রিয় বদ্রু, শোকস্তব্ধ ফুটবল মহল

বেলা গড়াতেই প্রিয় বাগানে নিয়ে আসা হয় তাঁর মরদেহ ৷ শ্রদ্ধা জানান ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, প্রাক্তন বাগান সচিব সৃঞ্জয় বসু, ক্লাবের বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্ত, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়রা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.