কলকাতা, 15 অগস্ট: ডুরান্ড ডার্বি হারের ধাক্কা কি কাটেনি মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ? ধাক্কার রেশ কি যুব দলে সংক্রমিত ? চব্বিশ ঘণ্টা পরে সিনিয়র দল এএফসি কাপ অভিযানে নামবে । তার আগের দিন কলকাতা লিগের ম্যাচে মোহনবাগানের যুব দল ড্র করল । প্রতিপক্ষ আর্মি রেড । ম্যাচের ফল 2-2 ।
কল্যাণী স্টেডিয়ামে কলকাতা লিগের খেলা দিয়েছিল আইএফএ । এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসের দিন কলকাতা লিগে বল গড়াল । আর্মি রেড প্রধান দলের কয়েকজন ফুটবলার তাদের ডুরান্ড কাপের দলে রয়েছেন । সেনাবাহিনীর এই দলটির ফিটনেস যথেষ্ট ভালো । যা প্রতিপক্ষের চিন্তার কারণও বটে । মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে আটকে দেওয়ার আগে আর্মি রেড ড্র করেছিল ডায়মন্ড হারবার এফসির সঙ্গেও । তবে ড্র করলেও মঙ্গলবার কল্যানী স্টেডিয়ামে ম্যাচের রাশ ছিল মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট ফুটবলারদের পায়ে । তার রেল ধরেই প্রথম গোল সবুজ-মেরুন পেরেছিল ভিয়ান বিনয় মুরগডের পা থেকে ।
আরও পড়ুন: ‘কঠোর নিয়মানুবর্তিতার শেষ কথা মহম্মদ হাবিব’, একমত প্রাক্তন সতীর্থরা
প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে থেকে শুরু করলেও বিরতির পরে সমতায় ফেরানোর জন্য চাপ বাড়াতে থাকে আর্মি রেড । একের পর এক আক্রমণে সবুজ-মেরুন রক্ষণ অস্বস্তিতে । ফলস্বরূপ সুখপ্রীত সিংয়ের গোলে সমতায় ফেরে আর্মি রেড । এরপর ফের রাশ তুলে নেয় মোহনবাগান । কিয়ান নাসিরির গোলে ফের এগিয়ে যায় বাস্তব রায়ের ছেলেরা । ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে আর্মি রেড সমতায় ফেরে শুভগায়েন শোমারঞ্জনের পেনাল্টি থেকে করা গোলে ।
ম্যাচের পর মোহনবাগান কোচ বাস্তব রায় রেফারিং নিয়ে সরব । তাঁর মতে তিন প্রধানের ম্যাচ কখনই শিক্ষানবীশ রেফারি দিয়ে পরিচালনা করানো উচিত নয় । মোহনবাগানের দুটো গোল বাতিল হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে । সমর্থকরাও দুটো গোল বাতিলের জন্য রেফারির বিরুদ্ধে সরব । বাস্তব রায় বলেছেন ডুরান্ড ডার্বি হারের প্রভাব তার দলে নেই । একটি ম্যাচ ড্র হয়েছ কিছু ভুলের কারণে । পরের ম্যাচে তা শুধরে জয়ের রাস্তায় ফুটবলারদেরই ফিরতে হবে ।
আরও পড়ুন: ভুল শুধরে এএফসি কাপে নজর ফেরান্দোর, মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ মাচিন্দ্রা এফসি