কলকাতা, 7 মে: লাল-হলুদে পানশালা। পোশাকি নাম 'মেম্বারস লাউঞ্জ'। রবিবার সন্ধ্যায় জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনে উপস্থিত শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং লাল-হলুদের প্রাক্তন ফুটবলাররা। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মেলাতে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন লাউঞ্জ দরকার। যেখানে মদ্যপানের সুবিধা থাকবে। যদিও ইস্টবেঙ্গলে পানশালা নিয়ে ভিন্ন মত অব্যাহত। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলছেন, "আধুনিকতার সঙ্গে পা মেলানো জরুরি। তবে ইস্টবেঙ্গলের পরিচয় ফুটবল খেলার জন্য। তিনি আরও জানান, একটা ক্লাব ট্রফি জয়ের জন্য দল গড়ছে। আরেকটি ক্লাব নাম কে ওয়াস্তে দল গড়ছে। শক্তিশালী দল গঠনের জন্য ক্লাব এবং লগ্নিকারীকে সচেতন হতে হবে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার দরকার।"
কী কী থাকছে লাউঞ্জে?
লাউঞ্জে থাকছে পানীয় খাওয়ার সুযোগ। দাম অন্যান্য বার বা পানশালার থেকে বেশ কিছুটা কম। থাকছে দারুণ কিছু খাবার-দাবার খাওয়ার সুযোগও। মেনুতে রয়েছে চিকেন ওরলি, চিকেন কাটলেট, ফিস ফ্রাই এমনকী ক্যারামেল কাস্টার্ড-এর মতো ডেসার্টও। মদের দাম অন্য যে কোনও বারের তুলনায় কম বলেই দাবি সুরাপ্রেমীদের।
কারা আসতে পারবেন লাউঞ্জে? কোনও বিধিনিষেধ কী আছে?
অবশ্যই ক্লাবের সদস্যদের জন্য খোলা থাকবে এই লাউঞ্জ। যদিও সদস্যদের পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে থাকা অন্যরাও আসতে পারবেন এই লাউঞ্জে। এমনটাই জানানো হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে। দুপুর 12টা থেকে খোলা হবে এই লাউঞ্জ। রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে এই লাউঞ্জ। চার বছর আগেই আবগারি দফতর থেকে এই লাউঞ্জ করার অনুমতি পেয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। যদিও বেশ কিছুটা সময় লেগে গেল এই লাউঞ্জের উদ্বোধন করতে। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এই লাউঞ্জকে তাঁদের স্বপ্নের প্রজেক্ট বলেও উল্লেখ করেছেন এই অনুষ্ঠানে। প্রাক্তন ফুটবলার অমিত ভদ্র জানান, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সাবলম্বী হওয়া জরুরি। সারা বিশ্বের ক্লাবে এই ধরনের মেম্বারস লাউঞ্জ রয়েছে। যা ক্লাবের অর্থের যোগানে সাহায্য করে। হয়তো ইস্টবেঙ্গলেও আগামীতে এই লাউঞ্জ সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: 'ওরা নীতুবাহিনী', আদিত্য আগরওয়ালকে হোয়াটসঅ্যাপ করে ইস্টবেঙ্গলের ক্ষোভের মুখে বাগান সচিব