কলকাতা, 4 জানুয়ারি: ভিসার আবেদন করেছেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। কিন্তু কবে হাতে পাবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যদিও সুপার জায়ান্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ভিসা পাওয়ার ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করেছে। এখন দেখার কত দ্রুত ভিসা হাতে পেয়ে ভারতে পা রাখেন হাবাস। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই হাবাস কথা বলেছেন সহকারি কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডার সঙ্গে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কী করতে হবে সেই ব্যাপারে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবারও ফুটবলারদের প্র্যাকটিস করিয়েছেন ক্লিফোর্ড। ওড়িশা এফসি'কে সুপার কাপ জেতানোর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন গোয়ানিজই সবুজ-মেরুন সাজঘরের অন্তর্বর্তী হেডস্যার। আইএসএলের হারের হ্যাটট্রিকের ধাক্কায় মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকা দলকে চাঙ্গা করাই প্রাক্তন এই ফুটবলারের চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি সাজঘরের দ্বন্দ্ব মেটানোর পরীক্ষাও রয়েছে। ইতিমধ্যে সুপার কাপ যে দলের বিদেশি ফুটবলারদের কাছে অ্যাসিড টেস্ট হতে চলেছে, তা ম্যানেজমেন্টের তরফে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কী কী বদল আসে। এদিকে খবর জুয়ান ফেরান্দো নাকি হায়দরাবাদ এফসি'র পথে। তাঁর সঙ্গে হায়দরাবাদের কথাও হয়েছে। আর্থিকভাবে সমস্যায় থাকা হায়দরাবাদ এফসি নাকি বড় লগ্নিকারী পেয়েছে। নিজামের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্লাবের সঙ্গে জার্মানির বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের চুক্তি রয়েছে। তাদের দুবাইস্থিত লগ্নিকারী না কি হায়দরাবাদ এফসিতে লগ্নি করতে রাজি হয়েছে। ফলে দলবদলের দ্বিতীয় উইন্ডোতে হায়দরাবাদ গুছিয়ে নিতে চাইছে। সেই সূত্র ধরে ফেরান্দো যদি হায়দরাবাদ এফসির ডাগ আউটে বসেন, তাহলে সুপার কাপেই লড়াই জমবে।
কোচ বদলের ধাক্কা সামলে যখন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা, তখন ইস্টবেঙ্গল প্রস্তুতিতে নামতে পারল না। 6 জানুয়ারি শনিবার কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত শহরে আসছেন। 9 জানুয়ারি হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচ দিয়ে সুপার কাপ অভিযান শুরু করবে ইস্টবেঙ্গল। সেক্ষেত্রে মাত্র দু'দিন অনুশীলন করে ভুবনেশ্বর যাবে লাল হলুদ। এদিকে দলবদলের বাজারে নিজেদের গুছিয়ে নিতে ইস্টবেঙ্গলেও তৎপরতা চলছে। সূত্রের খবর, কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত না কি 4জন ফুটবলারের তালিকা জমা দিয়েছেন। সিভেরিওকে না-রেখেই নতুনের খোঁজ চলছে।
তবে কোন দেশের স্ট্রাইকার তা গোপন রাখা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে স্পেনের তৃতীয় ডিভিশনে খেলা স্ট্রাইকারকে নিয়ে আসছেন কোচ। এছাড়াও পর্তুগাল এবং মেক্সিকোর এক স্ট্রাইকারের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে স্পেনের স্ট্রাইকারের পক্ষে পাল্লা ভারী। ক্লাব এবং লগ্নিকারীর মুখোমুখি বৈঠকের সম্ভাবনা কম। কারন লগ্নিকারীর কর্তা ব্যক্তিরা এখন শহরে নেই। তাদের সঙ্গে ফোনে ক্লাবের কর্তা কথা বলছেন। নতুন ফুটবলার নেওয়ার ক্ষেত্রে এবং তাদের নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগানের ব্যাপারে সম্মতি দিলেই যাবতীয় পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হবে। নতুন ফুটবলার নেওয়ার ক্ষেত্রে ক্লাব সবরকম ভাবে পাশে দাঁড়াতে রাজি। এমনকি আর্থিকভাবেও সাহায্য করতে তৈরি।
আরও পড়ুন: