বেজিং, 15 জুন: সালটা 2008 ৷ গোটা বিশ্বের খেলাধূলোর জগতের ফোকাস ছিল চিনের রাজধানী শহরে ৷ অলিম্পিক্সের আয়োজনে সেজে উঠেছিল শহর ৷ 15 বছর পর ফের ক্রীড়াবিশ্বের হাজার ওয়াটের আলোয় রাঙল বেজিং ৷ সৌজন্য, লিওনেল আন্দ্রেস মেসি ৷ যে অস্ট্রেলিয়াকে মাটি ধরিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল লা অ্যালবিসেলেস্তে ৷ এদিনের প্রীতি ম্যাচে সেই অজিদেরই ছিন্নভিন্ন করল আর্জেন্তিনা ৷
মারাদোনাহীন প্রথম বিশ্বকাপেই ট্রফি ঘরে তুলেছেন দিয়েগোর যোগ্য উত্তরসূরি ৷ কোপা আমেরিকা, লা ফাইনালিসিমার পর বিশ্বের সর্বোচ্চ ফুটবল টুর্নামেন্টে নীল-সাদা জার্সির ধ্বজা উড়িয়েছেন ইউরোপীয়ান ক্লাবদুনিয়ার অন্যতম সফল ৷ যার উত্থান ইউরোপে হলেও গত একবছরে তিনি আরও অনেক বেশি করে একাত্ম হয়েছেন নীল-সাদা জার্সির সঙ্গে, শাপমোচনও হয়েছে ৷ সমালোচকদের যাবতীয় ব্যঙ্গ উড়িয়ে বিশ্বসেরা করেছেন দলকে ৷ শাপমোচনের পর এবার কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি দিচ্ছেন মার্কিনি দুনিয়ায় ৷
লিওর আপাত নিরীহ টুর্নামেন্টে যাওয়ার কারণ কী ? যা খুঁজতে রীতিমতো পারমুটেশন-কম্বিনেশন কষেছে ফুটবল দুনিয়া ৷ বয়স 36, বিশ্বের প্রায় সমস্ত ট্রফি তাঁর ক্যাবিনেটে ৷ দলগত এবং ব্যক্তিগত সাফল্যের খতিয়ান জানান দিচ্ছে তিনি আর রাজপুত্র নন, অবিসংবাদী সম্রাট ৷ ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিতেই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিচ্ছেন বর্তমানের ফুটবল জাদুকর ৷
তার আগে এদিন বেজিংয়ের ওয়ার্কার্স স্পোর্টস কমপ্লেক্স দেখল বছর পঁচিশের লিওনেলকে ৷ যিনি বল ধরলে বলয় তৈরি করেন বিপক্ষের হাফডজন খেলোয়াড়, অনায়াস ভঙ্গিমায় যেই চক্রবূহ্য ভেদ করে ভানুমতির খেল দেখান ফুটবল জাদুকর ৷ আক্ষরিক অর্থেই যেন ম-এ মেসি, ম-এ ম্যাজিক ৷ ম্যাচের 80 সেকেন্ডের মাথায় বাঁ-পায়ের দুরন্ত শটে অজিদের জালে বল জড়ান লিও ৷ 68 মিনিটে ব্যবধান বাড়ান জার্মান পেজেল্লা ৷
আরও পড়ুন: মেসি-ম্যাজিকে ম্লান রোনাল্ডো, পিএসজিকে ট্রফি দিয়ে নয়া নজির আর্জেন্তাইন বরপুত্রের
এদিনের প্রীতি ম্যাচে এক লিওনেলের দুর্ধর্ষ গেমপ্ল্যান, আরেক লিওনেলের সবুজ গালিচায় আলপনা আঁকা দৌড় ৷ অসাধারণ খেলেও রীতিমতো ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলেন ম্যাকলারেন, অ্য়াটকিনসনরা ৷ শুধু মেসিই নয়, ক্লাউড নাইনে থেকেও অ্যালবিসেলেস্তের পা যে মাটিতেই, বুঝিয়ে দিলেন বিশ্বজয়ীরা ৷