বিধাননগর, 2 সেপ্টেম্বর: আগামিকাল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের ফাইনাল। যে ম্যাচে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ৷ ডুরান্ড ফাইনালে ডার্বিকে কেন্দ্র করে স্বভাবতই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে। শনিবার ডুরান্ড ফাইনাল নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে ডিসিডিডি বিশ্বজিৎ ঘোষ ৷
তিনি জানান, আগামিকাল ডুরান্ড কাপ ফাইনাল ৷ একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে হতে চলেছে। যুবভারতীর দর্শক আসন 62 হাজার 500 ৷ তাই হাজার হাজার দর্শক সমাগমে নিরাপত্তার দিকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ আগামিকাল খেলার নিরাপত্তা এবং যান নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রায় 3 হাজার 500 জন পুলিশ কর্মী থাকবেন। তাদের মধ্যে প্রায় 22 জন এসপি এবং অ্যাডিশনাল এসপি ব়্যাংকের অফিসার থাকবেন। 35 জন এসিপি ব়্যাংকের অফিসার থাকবেন। এছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। টিকিট ব্ল্যাক রুখতেও থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা।
- মোহনবাগান দর্শকরা 3, 4 এবং 5 নম্বর গেট দিয়ে ঢুকবেন। তারা বেলেঘাটা দিয়ে আমুল আইল্যান্ডে এসে গাড়ি মিশ্রা আইল্যান্ড এবং ক্যানাল সাইডে পার্কিং করবেন।
- ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা 1, 2 এবং 3 নম্বর গেট দিয়ে ঢুকবেন। তারা কাদাপাড়া থেকে আমুল আইল্যান্ডে এসে গাড়ি পার্কিং করবে আইএ মার্কেটের আশেপাশে।
নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তিনটি লেবেলে চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ম্যাচ শুরু হবে বিকেল চারটের সময় ৷ দর্শকদের ঢোকার জন্য দুপুর দু'টোর মধ্যে গেট খুলে দেওয়া হবে।
- দর্শকদের যা আনতে বারণ করা হচ্ছে-
ব্যানার, পোস্টার, বাজি, দেশলাই। যেগুলো ছোড়া যায় এমন জিনিস নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না। শুধু মোবাইল ও মানিব্য়াগ নিয়ে প্রবেশ করা যাবে। ছাতা নিয়েও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ৷ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে জলের বোতলেও। নির্দেশিকা থাকার পরও যদি কারও কাছে বাজি পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট নিয়েও মাঠে প্রবেশে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন:'হেভিওয়েট হলেই ডার্বি জেতা যায় না', বলছেন সুব্রত; বাগানকে এগিয়ে রাখছেন দীপেন্দু-নবি