ইম্ফল, 28 মার্চ: মায়ানমারের পরে কিরগিজস্তান। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে জয়ের ধারা অব্যাহত ভারতের। সন্দেশ ঝিঙ্গান, সুনীল ছেত্রীর গোলে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে মঙ্গলবার ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল ইগর স্টিমাচের ভারত। নিঃসন্দেহে দেশীয় ফুটবলে সাফল্যের আলো। দলগত সাফল্যের পাশাপাশি এই ম্যাচে অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী উজ্জ্বল ব্যক্তিগত সাফল্যেও। চব্বিশ ঘণ্টা আগে ভারত অধিনায়ক জানিয়েছিলেন, তাঁর গোলক্ষুধা আগের মতোই রয়েছে। এদিন মাঠে নেমে তিনি প্রমাণ করলেন সে কথা। দেশের জার্সিতে 85তম গোল করে টপকে গেলেন হাঙ্গেরি কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাসকে।
সেইসঙ্গে বিশ্বের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় পাঁচ নম্বরে উঠে এলেন ভারতীয় ফুটবলের পোস্টার বয়। মণিপুরের ইম্ফলে ভারত বনাম কিরগিজস্তান ম্যাচ ঘিরে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। প্রথম মিনিট থেকে অক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ম্যাচ জমে ওঠে। অনিরুদ্ধ থাপা, আকাশ মিশ্র একের পর আক্রমনে প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। পালটা আক্রমণে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের ফুটবলাররা ভারতীয় রক্ষণকে সমস্যায় ফেলার চেষ্টা করে। এই সময় একাধিক ফ্রি-কিক তারা প্রতিপক্ষের পেনাল্টি বক্সের সামনে আদায় করে নেয়। কিন্তু গুরপ্রীত সিং সান্ধুর তৎপরতায় তা গোলে কনভার্ট হয়নি। বরং খেলার গতির বিপরীতেই ভারত প্রথম গোল তুলে নেয়।
34 মিনিটে ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজের ফ্রি-কিক থেকে গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন সন্দেশ ঝিঙ্গান। প্রথম গোলের সঙ্গেই ম্যাচের রাশ অনেকটাই ভারতের পায়ে চলে আসে। বিরতির পরে ফের আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। তবে চাপ বেশি ছিল ভারতের। 84 মিনিটে ভারতের দ্বিতীয় গোল পেনাল্টি থেকে। গোলদাতা সুনীল ছেত্রী। নাওরেম মহেশ সিংকে বক্সের মধ্যে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টি দেন। স্পটকিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি ভারত অধিনায়ক।
আরও পড়ুন: দেশের হয়ে আরও গোল করতে চান, কিরগিজ রিপাবলিক ম্যাচের আগে জানালেন সুনীল ছেত্রী
ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতায় টানা দু'টি জয়ের সঙ্গে ট্রফি ঢুকল ভারতের ঘরে। এই সাফল্যে খুশি ইগর স্টিমাচ। ক্রোট কোচ বলছেন, "চলতি বছরে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ভারতীয় দলের আরও 17টি ম্যাচ রয়েছে। এই জয় সেই দৌড়ে আত্মবিশ্বাস জোগাবে।" ঘরের মাঠে জুনে ইন্টারন্যাশানাল কাপ, জুলাইতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে। পরবর্তীতে সেপ্টেম্বরে কিংস কাপ এবং তারপর আগামী বছরের শুরুতে এশিয়ান গেমস। অক্টোবরে মারডেকা কাপ রয়েছে। ইম্ফলের জয় আগামীর দৌড়ে নিঃসন্দেহে রূপালি রেখা।