কলকাতা,5 ডিসেম্বর: নক আউটে ডানা মেলছে ফেভারিটরা। আর্জেন্তিনা, ফ্রান্সের পরে এবার ইংল্যান্ড। দেরীতে হলেও রং ধরছে কাতার বিশ্বকাপে। রবিবার রাতে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে হ্যারি কেনের দল 3-0 গোলে উড়িয়ে দিল সেনেগালকে। প্রথমার্ধে দুটো গোল হেন্ডারসন, হ্যারি কেনের। তৃতীয়টি দ্বিতীয়ার্ধে সাকার। শেষ আটে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্স (England will play France in the quarter final)।
সাউথ গেটের ছেলেরা এবারের বিশ্বকাপে বেশ নজরকাড়া ফুটবল খেলছেন। রক্ষণ থেকে আক্রমণ-সমস্ত বিভাগেই যথেষ্ট শক্তিশালী দেখাচ্ছে থ্রি লায়ন্সদের। সেনেগালের বিরুদ্ধেও ইংল্যান্ড প্রথম থেকেই রাশ নিজেদের পায়ে তুলে নিয়েছিল। অন্যদিকে, সেনেগালও রক্ষণের খোলসে ঢুকে থাকেনি। বরং পাল্টা আক্রমণে জবাব দিতে থাকে তারা। ইসমাইল সারের নেতৃত্বে তাদের উইং ধরে আক্রমনের চেষ্টা ব্যর্থ করতে ইংলিশ ডিফেন্ডারদের খানিক বেগও পেতে হয়। জন স্টোকসের সৌজন্যে কমকরে দু'বার সেনেগালের গোল করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পাশাপাশি ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক পিকফোর্ডের কথাও বলতে হবে।
আরও পড়ুন: জোড়া গোল নায়ক সেই এমবাপে, পোল্যান্ডকে মাটি ধরিয়ে শেষ আটে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা
সাকা এবং ফডেনের দুই প্রান্ত ধরে আক্রমণ এবং মাঝমাঠে বেলিংহ্যাম এবং অধিনায়ক হ্যারি কেনের ভালো ফুটবলেই লুকিয়ে ইংল্যান্ডের এই ম্যাচের সাফল্য। 38 মিনিটে প্রথম গোল প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। মাঝমাঠ থেকে হ্যারি কেনের বাড়ানো বল জুড বেলিংহ্যাম ধরে ব্যাক সেন্টার করলে তা থেকে গোল করেন হেন্ডারসন। বিরতির এক মিনিট আগে ফের এগিয়ে যায় ইংলিশরা। এবার গোল হ্যারি কেনের। মাঝমাঠ থেকে বেলিংহ্যামের দৌড় এবং রক্ষণ চেরা পাস ফডেনকে খুঁজে নিয়েছিল। 2017 সালের অনুর্ধ্ব 17 বিশ্বকাপে ভারতে খেলে যাওয়া ফডেন এখন ইংল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। বেলিংহ্যামের বাড়ানো বল ফডেন আগুয়ান হ্যারি কেনের কাছে পাঠিয়ে দেন। থ্রি লায়ন্সদের অধিনায়ক গোল করতে ভুল করেননি। চলতি বিশ্বকাপে গোলের খাতা খুললেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে সেনেগাল মরিয়া হলেও তা ইংলিশ ডিফেন্স ভাঙার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। বরং রাশ ধরে রেখে ফের এগিয়ে যায় ইংল্যাণ্ড । এবার হ্যারি কেনের বাড়ানো বল ধরে গোল বকায়ো সাকার। প্রথম পর্বের পরে নক আউটেও আরও গোছানো ফুটবল উপহার দিয়ে আশা জাগাচ্ছে ইংল্যান্ড । শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে ইংল্যান্ড কোচ সাউথ গেট বলেছেন, "কোয়ার্টার ফাইনালে সবচেয়ে বড় পরীক্ষার সামনে পড়তে চলেছি। বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা দল হিসেবে শক্তিশালী । একাধিক প্রতিভাবান ফুটবলার রয়েছেন ওখানে। তাছাড়া ফ্রান্স দলের গভীরতাও বেশি। তাই দলকে সেভাবেই তৈরি করতে হবে আমাদের।"