কলকাতা, 14 জানুয়ারি: রক্ষণ সামলে ফের জয়ের খোঁজে ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলে শেষ পাঁচটি ম্যাচে রক্ষণ ভরসা দিয়েছিল বলেই অপরাজিত লাল-হলুদ। শেষ চারটি গোল হজম করেনি লাল-হলুদ রক্ষণ। সুপার কাপে প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। 3-2 ব্যবধানে হারিয়েছে হায়দরাবাদ এফসিকে। ক্লেইটন সিলভা জোড়া গোল পেয়েছেন। আক্রমণভাগের ফুটবলাররা ছন্দে ফিরেছেন। কিন্তু গোল হজম করেছে রক্ষণ। একটা না দু'টো। যা চিন্তায় রাখবে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে।
রবিবার সুপার কাপের দ্বিতীয় ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের। প্রতিপক্ষ শ্রীনিধি ডেকান। এই ম্যাচের নামার আগে তাই রক্ষণ নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তায় ইস্টবেঙ্গল। শ্রীনিধি ডেকানের কাছে ভালো মানের বিদেশি ফুটবলার আছে, মোহনবাগানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে তারা। ফলে এটাই চাপে রাখছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু জয় ছাড়া কিছুই ভাবছে না ইস্টবেঙ্গল। সেমিফাইনালে উঠতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হবে ইস্টবেঙ্গলকে। সেইসঙ্গে মাথায় রাখতে হবে গোল পার্থক্য বাড়িয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা।
ম্যাচের আগের দিন ক্লেইটন সিলভা জানিয়েছেন, টানা বিরতির কারণেই গোল হজম করেছে রক্ষণ। শ্রীনিধি ডেকানের বিরুদ্ধে নামার আগের দিন কার্লেস কুয়াদ্রাত বলেছেন, শ্রীনিধি ডেকান ভালো দল। আমরা কঠিন ম্যাচ হবে ভেবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। শ্রীনিধিতে ভালো মানের বিদেশি ফুটবলার ও প্রতিভাবান ভারতীয় ফুটবলার নিয়ে তৈরি কম্বিনেশনটা যে কোনও দলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য যথেষ্ট। আইলিগের শীর্ষ স্থানীয় দল তাঁরা। প্রথম ম্যাচে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের মতো দলকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে আমরা যদি নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে কলিঙ্গ সুপার কাপে দ্বিতীয় জয় পেতে আমাদের কোনও অসুবিধে হবে না।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ক্লেইটনের গোলে ফেরাটা একটা ইতিবাচক দিক। তিনি ছন্দে থাকলে, যে কোনও ডিফেন্স ভেঙে গোল করতে পারেন। ডিফেন্স ভাঙতে না-পারলে, সেট পিস মুভমেন্ট থেকে গোল করার দক্ষতা রয়েছে। বোরহা হেরেরাও ভালো খেলেছেন, পিভি বিষ্ণু, নন্দকুমাররা নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন। পরিবর্ত হিসাবে নেমে সউল ক্রেসপো জয়সূচক গোল করেছেন, হায়দরাবাদের ম্যাচের ছন্দ বজায় থাকলে, তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে কোনও অসুবিধে হবে না। তবে বিরতি থেকে ফিরে হিজাজি মাহের ছন্দে নেই।
অন্তত সুপার কাপের প্রথম ম্যাচে তাঁর নড়বড়ে পারফরম্যান্স চিন্তা বাড়িয়েছে। পাশাপাশি লালচুংনুঙ্গার জাতীয় শিবিরে যাওয়া নতুন জুটির সঙ্গে বোঝাপড়া গড়ে উঠতে সময় লাগছে। তবে মাঝের কয়েকদিনের প্র্যাকটিসে হিজাজি মাহেরকে ফের ছন্দে পাওয়া গিয়েছে। যদিও কুয়াদ্রাত বলছেন, একটি করে ম্যাচ ধরে এগোতে চান। দলের প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্সে আশাবাদী। রক্ষণের নড়বড়ে ভাব নিয়ে চিন্তা করছেন না। আশা করছেন ডুরান্ড কাপের মতই দল ধীরে ধীরে জ্বলে উঠবে। এবং লক্ষ্যপূরণে সফল হবে। এই ম্যাচে জিততে পারলে ডার্বির আগে কিছুট চাপ কম থাকবে ইস্টবেঙ্গলের উপর। তবে ডার্বি নয়, কুয়াদ্রাতের ভাবনায় শুধুই শ্রীনিধি ডেকান।
আরও পড়ুন: