কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর: গ্রুপ লিগের পর ফাইনাল ৷ ডুরান্ড কাপে ফের সম্মুখসমরে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান ৷ কিন্তু প্রথম সাক্ষাতের মতো চির প্রতিপক্ষ যে আর নড়বড়ে নয় সেটা কার্লেস কুয়াদ্রাত বুঝতে পারছেন ৷ আর বুঝতে পারছেন বলেই সমীহ তাঁর গলায় ৷ অনেক বেশি হোমওয়ার্ক করে রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপে ফাইনালে নামছেন লাল-হলুদ কোচ ৷
বোরহা হেরেরাকে পাশে নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলছেন, “2016 সালে ইস্টবেঙ্গল পরপর দুটো ডার্বি জিতেছিল ৷ তবে, কাজটা সহজ নয় ৷ দল হিসেবে মোহনবাগান শক্তিশালী ৷ এএফসি কাপের ম্যাচ ছাড়াও মুম্বই-গোয়ার মত শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে খেলেছে ৷ আগের তুলনায় অনেক তৈরি ৷ তবে, সবক’টি ম্যাচই জিতেছে ছোট ব্যবধানে বা পেনাল্টিতে ৷ তাই লড়াইটা কঠিন ৷ এটাও ঠিক আমি যদি হেরে যাই তাহলে তা একটা বড় ইস্যু হবে ৷”
ইতিমধ্যে প্রতিপক্ষ মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে নিয়ে কাটাছেঁড়া করেছেন ৷ এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচ দলের বিদেশি ফুটবলারদের নিয়ে দেখে গিয়েছেন ৷ মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে আটকাতে সম্ভবত 4-1-2-3 ছকে দল সাজাতে চলেছেন ৷ কার্ড সমস্যায় শৌভিক চক্রবর্তী খেলতে পারবেন না ৷ তাঁর বদলে আসতে চলেছেন এডুইন ভন্সপাল ৷ রক্ষণ মজবুত করে আক্রমণ করার পরিকল্পনা কার্লেস কুয়াদ্রাতের ৷ তাই দ্রুত প্রতি আক্রমণে উঠে গোল করার প্রস্তুতিও থাকছে ৷ সেমিফাইনালের মতো ফাইনালে টাইব্রেকারের কোনও ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন কুয়াদ্রাত ৷ তবে, টাইব্রেকারের প্রস্তুতিও সেরে রেখেছেন ৷
ইতিমধ্যে কলকাতার আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর গরম এবং সঙ্গে বৃষ্টি সামলে খেলতে হবে তা বুঝতে পারছেন ৷ বিষয়টি যেহেতু দুটো দলের জন্যই প্রযোজ্য তাই বাড়তি চিন্তা করতে রাজি নন ইস্টবেঙ্গল কোচ ৷ ডুরান্ড কাপে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট রেফারিং সুবিধা পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে প্রতিপক্ষ দলগুলি । ইস্টবেঙ্গল সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে ৷ যদিও, মোহনবাগান সচিব এই ধরনের হওয়াকে ‘চাপের খেলা’ বলেছেন ৷
আরও পড়ুন: ‘ওল্ডস্কুল’ আবেগে ‘ক্লিশে’ কর্পোরেট, ভালোবাসায় মিলে গেল মোহন-ইস্ট
পক্ষপাতদুষ্ট রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কুয়াদ্রাত বলেন, “সব থেকে বেশি চাপ রেফারিদের উপরেই থাকে ৷ নিরপেক্ষ রেফারিং বিদেশি রেফারি করতে পারে ৷ কারণ, তাঁদের উপর এই পরিবেশের প্রভাব থাকবে না ৷ আশা করব আইএসএলে ভালো রেফারিং পাব ৷” ডুরান্ড ফাইনালে ফের ডার্বিতে জয়ের অর্থ এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারবেন লাল-হলুদ কোচ ৷ তিনি বলছেন, “ডুরান্ড কাপ স্পেশাল ৷ প্রথম ম্যাচ থেকেই প্রত্যাশা বাড়ছে ৷ আমরা চাইব সমর্থকদের হাসিটা বজায় রাখতে ৷”
আরও পড়ুন: ডার্বির আগে রেফারিং নিয়ে সরব ইস্টবেঙ্গল, হাস্যকর বলছে মোহনবাগান
পারদ চড়ছে প্রত্যাশার ৷ একটা টিকিটের জন্য হাহাকার তুঙ্গে ৷ 13 বছর আগে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল ৷ ভাসুমের গোলে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল ৷ 19 বছর আগে ডুরান্ড ফাইনালে চন্দন দাস লাল-হলুদ সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন ৷ এবার ফের সেই সুযোগ ৷ কুয়াদ্রাত এবং তাঁর দলের ফুটবলাররা কি পারবেন ? প্রশ্ন সমর্থকদের মধ্যে ৷