কলকাতা, 24 জুলাই: ভোর রাতে শহরে পা দিয়ে দুপুরে নৈহাটি স্টেডিয়ামে কার্লস কুয়াদ্রাত। কোচিং ব্রিগেডের সঙ্গীরাও তাঁর সঙ্গেই বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। লাল-হলুদ হেডস্যরকে দর্শকরা প্রবল উৎসাহে অভ্যর্থনা জানালেন। সমর্থকদের এই উন্মাদনার সাক্ষী হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন বলে জানিয়েছেন কুয়াদ্রাত। সমর্থকরা তাঁকে উচ্ছ্বাসে বরণ করলেন। সেই উন্মাদনার সঙ্গে তাল মেলাতে পারলেন না ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। জয়ের হ্যাটট্রিক হাতছাড়া করার থেকেও ধারাবাহিকতার অভাব ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে। বিএসএসএর বিরুদ্ধে 1-1 গোলে ড্র।
চার ম্যাচে আট পয়েন্টে বিনো জর্জের দল। বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে সোমবার প্রথম থেকেই অগোছালো লাল-হলুদ। মাঝমাঠে দীপ সাহা ছাড়া কেউ খেলার রাশ ধরতে পারলেন না। শৌভিক চক্রবর্তী, কুশ ছেত্রী দু'জনেই শেষ ম্যাচের পারফরম্যান্স থেকে বহুদূরে। তার ওপর 16 মিনিটে তুহিন দাস লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যাওয়ার ধাক্কা। বাকি 74 মিনিটে লাল-হলুদ ফুটবলাররা দৌড়লেন ৷ কিন্তু প্রতিপক্ষ বিএসএস রক্ষণকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারলেন না। খেলার শুরুতে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়ে যাওয়ায় মাঠ পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছিল।
ফলে দুদলের ফুটবলাররা ধাতস্থ হতে সময় নিলেন। বিনো জর্জ এদিন আগের ম্যাচের একাদশে কয়েকটি পরিবর্তন করেন। অতুল উন্নিকৃষ্ণন, সার্থক গোলুই, লিজোকে একাদশে ফেরালেও খেলা জমাট বাঁধার বদলে অগোছালো। আক্রমণে অভিষেক কুঞ্জ অগোছালো মাঝমাঠের কারণে বল সরাবরাহের অভাবে ভুগলেন। আক্রমণ করলেও তা বিএসএস রক্ষণ ভাঙার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। বিরতির আগে দুই দলই সেভাবে গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ। দ্বিতীয়ার্ধে ভুল শুধরে ইস্টবেঙ্গল চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় পৌঁছেই প্রত্যাশার চাপ টের পেলেন কুয়াদ্রাত
এই সময় শৌভিক এবং কুশকে তুলে নিয়ে শ্যামল ও তন্ময়কে নামান বিনো জর্জ। একটু পরে অভিষেকের পরিবর্তে নিরঞ্জন এবং লিজো কে'র বদলে আমন সিংকে নামান। এই চার পরিবর্তনে ইস্টবেঙ্গলের খেলায় ঝাঁজ বাড়ে। শেষ পর্যন্ত 89 মিনিটে দীপ সাহার দুরন্ত ফ্রিকিকে গোল ইস্টবেঙ্গলের। বক্সের সামনে নবকুমার দাস ফাউল করলে রেফারি ফ্রিকিক দেন ইস্টবেঙ্গলকে। নবকুমারকে লাল কার্ড। দল গোল পাওয়ার পরে কুয়াদ্রাত মাঠ ছাড়েন।
হয়তো জয় আসছে ধরে নিয়েই স্টেডিয়াম ছেড়েছিলেন। কিন্তু তিনিও স্টেডিয়াম ছাড়লেন বিএসএস সমতায় ফিরল। 97 মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান সৌরভ সেন। ম্যাচ শেষে কটূক্তির সামনে রেফারি প্রাঞ্জল বন্দ্যোপাধ্যায়। লাল-হলুদ সমর্থকরা তুহিন দাসকে লাল কার্ড দেখা মানতে পারেননি। কিন্তু দু'টো লাল কার্ডের সিদ্ধান্তই সঠিক। খেলা শেষে বিএসএস কোচ দেবরাজ চট্টোপাধ্যায় দলের লড়াকু পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন। সৌরভ সেনের গলায় বড় দলের বিরুদ্ধে গোল করার তৃপ্তি। অন্যদিকে, বিনো জর্জ অনভিজ্ঞতাকে দায়ী করলেন।
আরও পড়ুন: রবিবার মাঝরাতে কলকাতায় আসছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত