বেঙ্গালুরু, 11 নভেম্বর: 90 মিনিটের লড়াই শেষে স্কোর লাইনে ইস্টবেঙ্গলে পাশে লেখা এক আর বেঙ্গালুরু এফসি শূন্য। বাগিচা শহরে যে স্কোরলাইনটা দেখতে মোটেই অভ্যস্ত নন বেঙ্গালুরুবাসী ৷ কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরু এফসি-র ডেরা থেকে সুনীল ছেত্রী ও রয় কৃষ্ণাদের বিরুদ্ধে মূল্যবান তিন পয়েন্ট তুলে নিল লাল-হলুদ ৷ এর অর্থ সিংহের গুহায় ঢুকে তিন পয়েন্ট বের করে আনা। লাল-হলুদ ফুটবলাররা সেটাই করলেন প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে । যা এখনও পর্যন্ত স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের ছেলেদের সেরা প্রদর্শন। এই জয় চলতি আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় জয় (East Bengal Fc Beat by Bengaluru Fc) ৷
চোট-আঘাত, অসুস্থতা মিলিয়ে লাল-হলুদ কোচের হাতে প্রথম 11 গঠনই ছিল সমস্যার। আর বেঙ্গালুরু এফসি-র একাদশে সুনীল ছেত্রী, রয় কৃষ্ণা, জাভি হার্নান্দেজ, উদান্ত সিং, সন্দেশ ঝিঙ্গানের মতো তারকা। তাঁদের বিরুদ্ধে পরাজয় অনিবার্য ভেবে যারা ভয়ে টিভির সামনে বসেছিলেন আর মাঠে সাহস করে উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁরা আনন্দশ্রু চোখে মাঠ ছাড়লেন। এই জয়ের ফলে ছয় পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলে ইস্টবেঙ্গল 10 থেকে আট নম্বরে উঠে এল।
নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের পরে বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru Fc)। সাহসী ফুটবলে বাজিমাত । 69 মিনিটে নওরেম মহেশের পাস থেকে ক্লেইটন সিলভার গোল । পুরনো দলের বিরুদ্ধে লাল-হলুদ অধিনায়কের জয়সূচক গোল আসলে শুধু ঘুরে দাঁড়ানো বার্তা নয়, জেরির শততম ম্যাচের উপহারও। প্রথমার্ধে জোনাল মার্কিংয়ে সুনীল, রয় কৃষ্ণাদের আটকে দেওয়ার পরে প্রতিআক্রমণে বেঙ্গালুরু রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা।
আরও পড়ুন: গত আইএসএলে ক'টা ম্যাচ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল ? তথৈবচ পারফর্ম্যান্সে সাফাই কনস্ট্যান্টাইনের
সময় যত গড়িয়েছে প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে কনস্ট্যান্টাইনের ছেলেরা । ফলে রয় কৃষ্ণা সহজ সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ। সুনীল দিগভ্রষ্ট। রক্ষণ এবং আক্রমণের সাধ্যমতো বুননে জয়। যা পরবর্তী ম্যাচে অক্সিজেন জোগাবে লাল-হলুদ শিবিরে। 15 নম্বর ম্যাচে ক্লিনশিট রেখে মাঠ ছাড়ল লাল-হলুদ। শহর ছাড়ার আগে অধিনায়ক ক্লেইটন সাহসী ফুটবলে বাজিমাতের কথা বলেছিলেন, তা যে ফাঁকা আওয়াজ ছিল না, স্কোরলাইন তার প্রামাণ।