নয়াদিল্লি, 5 ফেব্রুয়ারি: অলিম্পিক্স গেমসে প্রথমবারের মতো দেশের প্রতিনিধিত্ব করা জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারকে নির্বাসিত করেছে ইন্টারন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা আইটিএ ৷ জানা গিয়েছে, নিষিদ্ধ দ্রব্য গ্রহণ করার জন্য তাঁকে 21 মাসের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল ৷ তাঁর ডোপ পরীক্ষা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৷ তাঁর উপর সাময়িক এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন দীপা নিজেও (Dipa Karmakar Accepts Temporary Suspension) ৷ জানিয়েছেন তাঁকে 2023 সালের 10 জুলাই পর্যন্ত নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে ৷ অর্থাৎ, এই নির্বাসন অনেকদিন আগেই আরোপ করা হয়েছিল ৷
তবে, ডোপ পরীক্ষায় যে ওয়াডা দ্বারা নিষিদ্ধ পদার্থ সেবনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তা দীপা অনিচ্ছাকৃত এবং অজান্তেই গ্রহণ করেছিলেন ৷ এমনটাই জানিয়েছেন ভারতীয় জিমন্যাস্ট ৷ জানলে কখনই এই ভুল করতেন না বলে, দীপা নিজের স্বীকারক্তিতে জানিয়েছেন ৷ উল্লেখ্য, দীপা কর্মকারের ডোপ টেস্টের নমুনাগুলি ব়্যান্ডম টেস্টের জন্য সংগ্রহ করেছিল আইটিএ ৷ সেই সময় কোনও প্রতিযোগিতা চলছিল না ৷ ঠিক যেমনটা স্প্রিন্টার দ্যুতির ক্ষেত্রে হয়েছিল ৷ দীপা কর্মকার জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি পুরোপুরি নিষ্পত্তির জন্য, তাঁর এই সাময়িক নির্বাসন মেনে নিয়েছেন ৷
- — Dipa Karmakar (@DipaKarmakar) February 4, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
— Dipa Karmakar (@DipaKarmakar) February 4, 2023
">— Dipa Karmakar (@DipaKarmakar) February 4, 2023
জানা গিয়েছে, দীপা কর্মকার বিশ্ব ডোপিং সংস্থা ওয়াডা দ্বারা নিষিদ্ধ হিজেনামাইন সেবন করেছিলেন ৷ তবে, এই ড্রাগটি তিনি নিজের অজান্তেই নিয়েছিলেন বলে জানান দীপা ৷ তিনি এনিয়ে একটি টুইট করেছেন ৷ সেখানে দীপা কর্মকার লিখেছেন, ‘‘আমি অজান্তেই হিজেনামাইন নিয়েছি এবং এর উৎস কী ছিল, তা আমি জানি না ৷’’ 2021 সালের 11 অক্টোবর দীপা কর্মকারের ডোপ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৷ তার পরেই দীপা কর্মকারকে 21 মাসের নির্বাসনে পাঠানো হয় ৷ উল্লেখ্য, দীপার নির্বাসন এই বছর 10 জুলাই উঠে যাচ্ছে ৷ ফলে এই নির্বাসন বহুদিন আগেই আরোপ করা হয়েছিল ৷
আরও পড়ুন: চোট থেকে বিতর্ক, জন্মদিনে ফিরে দেখা নেইমারের ফুটবল-যাত্রা
2016 সালে ব্রাজিলে রিও অলিম্পিক্সে জিমন্যাসটিক্সে অংশ নেন ত্রিপুরার মেয়ে দীপা কর্মকার ৷ এমনকি ফাইনালেও ওঠেন তিনি ৷ প্রথম কোনও ভারতীয় অলিম্পিক্সে জিমন্যাসটিক্সে অংশ নিয়েছিলেন ৷ ফাইনালে চতুর্থস্থান অর্জন করেন দীপা ৷ 2017 সালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয় ৷ তারপর থেকে একের পর এক চোটের কারণে, কোর্ট থেকে বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁকে ৷ 2019 সালে বাকুতে শেষ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন ৷