কলকাতা, 23 নভেম্বর: আর্সেন ওয়েঙ্গারকে মাথায় রেখে ভারতে ফিফার ফুটবল অ্যাকাডেমি চালু করার প্রশংসায় ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাঁর মতে, "আর্সেন ওয়েঙ্গার সঠিক লোক এই ধরনের অ্যাকাডেমি চালনার ক্ষেত্রে। তবে শুধু তাঁকে দিয়ে হবে না।" এক্ষেত্রে ভালো মানের কোচ পাঠানো জরুরি বলে মনে করেন কুয়াদ্রাত। একইসঙ্গে, আশাবাদী ফিফা কয়েকজন ভালো কোচকে ভারতে কাজ করতে পাঠাবে। ফুটবলার তৈরির জন্য ক্ষুদে প্রতিভার অন্বেষণ যেমন জরুরি তেমনই ভালো পরিকাঠামো দরকার, মনে করিয়ে দিয়েছেন।
নিজে বার্সেলোনার অ্যাকাডেমিতে কাজ করেছেন। ফলে প্রাথমিক ধারণা কার্লেস কুয়াদ্রাতের রয়েছে। স্পেনেয় বিখ্যাত ফুটবল অ্যাকাডেমি গুলোর নাম এক নিঃশ্বাসে বললেন। এবং তারা কীভাবে ফুটবলার তৈরি করে সেটাও জানিয়েছেন। প্রতিযোগিতা মূলক ফুটবল যেমন জরুরি তেমন তাদের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো সুযোগ সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন। কারণ ভারতের মতো এত বড় দেশে অ্যাকাডেমি পরিচালনা সহজ নয়। তাই ধাপে ধাপে এগনোর কথা বলেছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত।
এদিকে শনিবার চেন্নাইয়ের মাটিতে আইএসএলের ম্যাচে চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে খেলবে লাল-হলুদ। শুক্রবার দল নিয়ে দুপুরে উড়ে যাচ্ছেন লাল-হলুদ কোচ। তার আগে সকালে অনুশীলন করবেন। বেশ কিছুদিন বিরতির পরে আইএসএলে খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। হারের হ্যাটট্রিকের পরে ঘুরে দাঁড়ানো চ্যালেঞ্জ লাল-হলুদ ব্রিগেডের কাছে। জয় ফিরতে মরিয়া ক্লেইটন, খাবরা, লালচুংনুঙ্গারা ৷ শুধু প্র্যাকটিস নয় নিজেদের ভুলত্রুটি নিয়েও আলোচনা করে চলেছেন।
বৃহস্পতিবার প্র্যাকটিসের আগে কোচ কুয়াদ্রাত দলের চার সিনিয়র ফুটবলার হরমনজ্যোত খাবরা, মন্দার দেশাই, ক্লেইটন সিলভা, সৌভিক চক্রবর্তীর সঙ্গে মিশন চেন্নাইয়ের আলোচনা সারলেন। শনিবারের ম্যাচে চোট পাওয়া ফুটবলার বোরহা গোমেজ অনিশ্চিত। বল নিয়ে প্র্যাটিসের বদলে ফিজিওর কাছে চোট পরিচর্চায় ব্যস্ত রইলেন বোরহা। যদিও কুয়াদ্রাত বলেছেন, তিনি যাওয়ার আগে চোটের অবস্থা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেবেন। এছাড়া চোট আঘাত সমস্যা নেই।
রক্ষণ সামলে আক্রমণে যাওয়ার ছক সাজাচ্ছেন তিনি। তিন হারের পরে জয় জরুরি। তবে খালি হাতে ফিরতে যাতে না-হয় সেই ব্যাপারটাও মাথায় রাখছেন। রক্ষম জমাট করতে পাঁচ ডিফেন্ডারে খেলার ইঙ্গিত কুয়াদ্রাতের অনুশীলনে। হিজাজি, পার্দো, চুংনুঙ্গার সঙ্গে দুই সাইড ব্যাক খাবরা এবং মন্দার দেশাই খেলবেন। মাঝমাঠে সাউল ক্রেসপোর সঙ্গে সৌভিক চক্রবর্তীকে খেলানো হবে।
গত তিন ম্যাচের ব্যর্থতার কারণ, গোল করেও ধরে রাখতে না-পারা। খারাপ রেফারিংয়েরও শিকার হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে খারাপ ফুটবলের সঙ্গে পেনাল্টি নষ্ট, ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে না-পারার ব্যর্থতাও রয়েছে। কুয়াদ্রাত বলছেন, তারা ভুল ত্রুটি শুধরে জয়ের খোঁজে চেন্নাইয়ে রওনা হচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: