ETV Bharat / sports

উনানে আঁচ কবে ? জানে না ময়দানের ক্যান্টিনওয়ালারা

সেন্ট্রাল এক্সারসাইজ় ক্যান্টিন তালাবন্ধ। উলটো দিকে তালতলা ক্যান্টিনেও একই ছবি । বন্ধ CAB ক্যান্টিনের দরজাও । খেলাধুলো বন্ধ থাকায় সমস্যায় কলকাতা ময়দানের ক্যান্টিনওয়ালারা ।

author img

By

Published : Aug 13, 2020, 6:47 PM IST

উনানে আঁচ কবে ? জানে না ময়দানের ক্যান্টিনওয়ালারা
উনানে আঁচ কবে ? জানে না ময়দানের ক্যান্টিনওয়ালারা

কলকাতা, 13 অগাস্ট : শহর কলকাতার অফিস যাত্রী এবং পথ চলতি মানুষের খাবারের অস্থায়ী ঠিকানা ডেকার্স লেন । একইভাবে ক্রীড়াপ্রেমীদের ঠিকানা ময়দান ক্যান্টিন । মোহনবাগান, সিটি ক্লাব, কবাডি অ্যাসোসিয়েশন, মহমেডান ক্লাব, তালতলা ইনস্টিটিউট, সেন্ট্রাল এক্সারসাইজ়, CAB-র ক্যান্টিনে ভোর থেকেই শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি ।

ময়দানের ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের অনুশীলন থেকে ম্যাচ চলাকালীন খাবার জোগান এই ক্যান্টিনগুলো থেকে হয়ে থাকে । এর সঙ্গে খেলা দেখতে আসা ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ, বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে আড্ডায় ভিড় করা মানুষজন এবং ক্লাব কর্তাদের নানা খাবারের দিনভর জোগান এরাই দিয়ে থাকে । পাঁউরুটি টোস্ট, বাটার টোস্ট, ঘুগনি, ভেজিটেবল এবং চিকেন স্টু, ফিশফ্রাই, ভেজিটেবল চপ, ডিমের ডেভিল, ফিশ চপ, চা কফি আরও কত কী ৷ উনানের আঁচ নেভে না । কিন্তু মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ময়দানের বল গড়ানো বন্ধ হয়ে গেছে । ফলে প্রথম কিছুদিন আশায় দিন গোনার পরই ক্যান্টিনের দরজা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ময়দানের ক্যান্টিন মালিকরা । মোহনবাগান, সিটি ক্লাব এবং কবাডি অ্যাসোসিয়েশনে ক্যান্টিন চালান পলাশ মুখোপাধ্যায় । ময়দানের মানুষ অবশ্য তাঁকে এই নামে চেনে না । হুগলির মানুষটি কাজুদা নামেই পরিচিত । তিনি বলছেন, এই ধাক্কা তাঁদের পক্ষে সামলানো কঠিন । তিনটে ক্যান্টিনে মোট 24 জন কাজ করেন । তাঁদের মাইনে দিয়ে দেশে পাঠিয়েছেন । এখনও কিছু টাকা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন । কারণ এই 24 জনকে নিজের পরিবারের সদস্য বলে মনে করেন কাজুদা । ময়দানে কবে বল গড়াবে তা কেউ জানে না ৷ তাই ক্যান্টিন ও এর কর্মীদের ভবিষ্যৎ কোন পথে তা জানেন না কাজু মুখোপাধ্যায় ।

উনানে আঁচ কবে ? জানে না ময়দানের ক্যান্টিনওয়ালারা
উনানে আঁচ কবে ? জানে না ময়দানের ক্যান্টিনওয়ালারা

অথচ স্বাভাবিক সময়ে তাঁর নাওয়া খাওয়ার সময় থাকে না । মাঠে খেলা থাকলে দিনে 25 হাজার টাকার বিক্রি হয়ে থাকে । স্বাভাবিক সময়ে অন্তত 3-4 হাজার টাকা বিক্রি হত । এখন সবকিছুই অতীত । মোহনবাগানের ক্যান্টিনে এখন শুধুই স্তব্ধতা । প্রত্যাবর্তনের আশায় দিন গোনার পাশাপাশি কাজু মুখোপাধ্যায় বলছেন, কোরোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে কর্মীদের নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন । সেই জন্য সবাইকে দেশে পাঠিয়েছেন । এবার তাঁদের ফিরিয়ে আনার সময় যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মানার পরিকল্পনা করেছেন ।

উনানে আঁচ কবে ? জানে না ময়দানের ক্যান্টিনওয়ালারা

সেন্ট্রাল এক্সারসাইজ় ক্যান্টিন তালাবন্ধ । উলটো দিকে তালতলা ক্যান্টিনেও একই ছবি । বন্ধ CAB ক্যান্টিনের দরজাও । CAB -তে বাইরের লোকের ঢোকা বারণ । কর্তারা বলছেন, নিয়ম মেনে খোলার প্রক্রিয়া শুরু হবে শীঘ্রই । সেটা শুরু হলে হয়ত CAB ক্যান্টিনের দরজা খুলবে । অথচ এই সময়টা ময়দানের ক্যান্টিনে বড় অঙ্কের অর্থের লেনদেনের সম্ভাবনা ছিল । IPL, কলকাতা লিগ ঘিরে এই সময় ময়দান গমগম করে । এখন সে সবকিছুই অতীত । সুরক্ষা বিধি মানার ঝক্কি রয়েছে । তাতে খরচ বাড়বে । তবুও কলকাতা ময়দানে খেলা শুরু হওয়ার অপেক্ষায় সবাই । কারণ উনানে আঁচ পড়লেই পেটে দানা পড়বে, হাসি ফুটবে ।

কলকাতা, 13 অগাস্ট : শহর কলকাতার অফিস যাত্রী এবং পথ চলতি মানুষের খাবারের অস্থায়ী ঠিকানা ডেকার্স লেন । একইভাবে ক্রীড়াপ্রেমীদের ঠিকানা ময়দান ক্যান্টিন । মোহনবাগান, সিটি ক্লাব, কবাডি অ্যাসোসিয়েশন, মহমেডান ক্লাব, তালতলা ইনস্টিটিউট, সেন্ট্রাল এক্সারসাইজ়, CAB-র ক্যান্টিনে ভোর থেকেই শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি ।

ময়দানের ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের অনুশীলন থেকে ম্যাচ চলাকালীন খাবার জোগান এই ক্যান্টিনগুলো থেকে হয়ে থাকে । এর সঙ্গে খেলা দেখতে আসা ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ, বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে আড্ডায় ভিড় করা মানুষজন এবং ক্লাব কর্তাদের নানা খাবারের দিনভর জোগান এরাই দিয়ে থাকে । পাঁউরুটি টোস্ট, বাটার টোস্ট, ঘুগনি, ভেজিটেবল এবং চিকেন স্টু, ফিশফ্রাই, ভেজিটেবল চপ, ডিমের ডেভিল, ফিশ চপ, চা কফি আরও কত কী ৷ উনানের আঁচ নেভে না । কিন্তু মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ময়দানের বল গড়ানো বন্ধ হয়ে গেছে । ফলে প্রথম কিছুদিন আশায় দিন গোনার পরই ক্যান্টিনের দরজা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ময়দানের ক্যান্টিন মালিকরা । মোহনবাগান, সিটি ক্লাব এবং কবাডি অ্যাসোসিয়েশনে ক্যান্টিন চালান পলাশ মুখোপাধ্যায় । ময়দানের মানুষ অবশ্য তাঁকে এই নামে চেনে না । হুগলির মানুষটি কাজুদা নামেই পরিচিত । তিনি বলছেন, এই ধাক্কা তাঁদের পক্ষে সামলানো কঠিন । তিনটে ক্যান্টিনে মোট 24 জন কাজ করেন । তাঁদের মাইনে দিয়ে দেশে পাঠিয়েছেন । এখনও কিছু টাকা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন । কারণ এই 24 জনকে নিজের পরিবারের সদস্য বলে মনে করেন কাজুদা । ময়দানে কবে বল গড়াবে তা কেউ জানে না ৷ তাই ক্যান্টিন ও এর কর্মীদের ভবিষ্যৎ কোন পথে তা জানেন না কাজু মুখোপাধ্যায় ।

উনানে আঁচ কবে ? জানে না ময়দানের ক্যান্টিনওয়ালারা
উনানে আঁচ কবে ? জানে না ময়দানের ক্যান্টিনওয়ালারা

অথচ স্বাভাবিক সময়ে তাঁর নাওয়া খাওয়ার সময় থাকে না । মাঠে খেলা থাকলে দিনে 25 হাজার টাকার বিক্রি হয়ে থাকে । স্বাভাবিক সময়ে অন্তত 3-4 হাজার টাকা বিক্রি হত । এখন সবকিছুই অতীত । মোহনবাগানের ক্যান্টিনে এখন শুধুই স্তব্ধতা । প্রত্যাবর্তনের আশায় দিন গোনার পাশাপাশি কাজু মুখোপাধ্যায় বলছেন, কোরোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে কর্মীদের নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন । সেই জন্য সবাইকে দেশে পাঠিয়েছেন । এবার তাঁদের ফিরিয়ে আনার সময় যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মানার পরিকল্পনা করেছেন ।

উনানে আঁচ কবে ? জানে না ময়দানের ক্যান্টিনওয়ালারা

সেন্ট্রাল এক্সারসাইজ় ক্যান্টিন তালাবন্ধ । উলটো দিকে তালতলা ক্যান্টিনেও একই ছবি । বন্ধ CAB ক্যান্টিনের দরজাও । CAB -তে বাইরের লোকের ঢোকা বারণ । কর্তারা বলছেন, নিয়ম মেনে খোলার প্রক্রিয়া শুরু হবে শীঘ্রই । সেটা শুরু হলে হয়ত CAB ক্যান্টিনের দরজা খুলবে । অথচ এই সময়টা ময়দানের ক্যান্টিনে বড় অঙ্কের অর্থের লেনদেনের সম্ভাবনা ছিল । IPL, কলকাতা লিগ ঘিরে এই সময় ময়দান গমগম করে । এখন সে সবকিছুই অতীত । সুরক্ষা বিধি মানার ঝক্কি রয়েছে । তাতে খরচ বাড়বে । তবুও কলকাতা ময়দানে খেলা শুরু হওয়ার অপেক্ষায় সবাই । কারণ উনানে আঁচ পড়লেই পেটে দানা পড়বে, হাসি ফুটবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.