কলকাতা, 6 অক্টোবর: ধর্মতলার অনশনমঞ্চে বায়ো টয়লেট বসানোর জন্য পুলিশের অনুমতি চাইলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । শনিবার রাতে তাঁরা জয়েন্ট সিপি-র কাছে এই মর্মে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ৷ তাঁদের অনুরোধ, তাঁদের অনশনমঞ্চে দুটি বায়ো টয়লেট বসানোর অনুমতি দেওয়া হোক ৷ পুরুষ ও মহিলা অনশনকারীদের জন্য দুটি আলাদা বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করার কথা ইমেলে জানানো হয় পুলিশকে । তবে এখনও এই চিঠির কোনও উত্তর আসেনি বলেই জানা যাচ্ছে । সেই কারণে এখনও ধর্মতলার অনশন মঞ্চে এখনও কোনও বায়ো টয়লেট আনা হয়নি ।
শুক্রবার একটি মিছিল করে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের সদস্যরা আসেন ধর্মতলায় । তাঁরা ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবস্থানে বসেন । সরকারের কাছে 10 দফা দাবি নিয়ে সময় বেঁধে দেন তাঁরা । জানিয়ে দেন যে, 24 ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের দাবি মানা না-হলে, তাঁরা জীবন বাজি রাখবেন ৷ আমরণ অনশনে বসবেন ৷ তবে ডেডলাইন পেরিয়ে গেলেও এ ব্যাপারে কোনও উত্তর আসেনি সরকারের তরফে । তাই শনিবার ধর্মতলায় রিলে অনশনে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকদের ছয় প্রতিনিধি ।
সেই অনশনের কথাই পুলিশকে করা ইমেলে তুলে ধরেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । তাঁরা লেখেন, "ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের পাশে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেছি । অনশনে পুরুষ এবং মহিলা আন্দোলনকারীরা যোগ দেবেন । পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সম্ভাব্য জটিলতা এড়াতে মহিলাদের জন্য একটি এবং পুরুষদের জন্য একটি বায়ো টয়লেট বসানো প্রয়োজন । যাঁরা অনশনে অংশগ্রহণ করছেন, শুধুমাত্র তাঁরাই ওই বায়ো টয়লেট ব্যবহার করবেন । অন্য কেউ নয় । আমাদের সেই বায়ো টয়লেট বসানোর অনুমতি দেওয়া হোক ।"
প্রসঙ্গত, গতকাল লালবাজারের তরফে জুনিয়র চিকিৎসকদের এই অনশন প্রসঙ্গে একটি ইমেল করা হয় । সেই চিঠিতে পুলিশ জানায়, "গত 4 অক্টোবর রাত 9টা 55 মিনিটে আপনারা একটি ইমেল পাঠিয়েছিলেন ৷ তার প্রেক্ষিতে জানানো হচ্ছে, যে জায়গায় আপনাদের ধরনা ও অনির্দিষ্টকালের অনশনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল, ট্রাফিকের সমস্যার কারণে সেই অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না ৷"