কলকাতা, 9 মার্চ: বেলাশেষের বসন্তে কবাডি অ্যাসোসিয়েশনে এখন একজোট হওয়ার ডাক (Kabaddi Team of West Bengal)। বৃহস্পতিবার দুপুরে অ্যামেচার কবাডি ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিটের সঙ্গে মিশে গেল বেঙ্গল অ্যামেচার কবাডি অ্যাসোসিয়েশন । এই সংযুক্তিকরণের বাইরে থাকল ওয়েস্ট বেঙ্গল কবাডি অ্যাসোসিয়েশন (West Bengal Kabaddi Association)। 11 মার্চ শনিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল কবাডি অ্যাসোসিয়েশনের অভ্যন্তরীণ বৈঠক রয়েছে । তারপর তারাও একজোট হয়ে যাবে । এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে বাংলার কবাডির প্রশাসনের মধ্যেকার বিবাদ মিটে যাওয়ার পথে বলেই মনে করা হচ্ছে ।
এই বিষয়ে প্রাক্তন খেলোয়াড় রমা সরকার জানান, মতবিরোধ করে আদতে সেভাবে লাভ হয়নি । সাব জুনিয়র এবং ন্যাশনালে দু'টো দল পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে । যা রাজ্যের কবাডির জন্য মোটেও ভালো ছবি নয় । তাই খেলা ও খেলোয়াড়দের স্বার্থে সকলে একসঙ্গে চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । যা আদতে বাংলার কবাডিকে তার সোনালি অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে । তিনটি ইউনিটের সংযুক্ত হলেও নতুন সংস্থার নাম কী হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি । সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরে পরবর্তী বৈঠকে নতুন নাম ঠিক হবে ।
সংযুক্তিকরণের দিনেই আসন্ন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য মহিলাদের সম্ভাব্য বাংলা দল বেছে নেওয়া হল । এবার 69তম সিনিয়র মহিলা কবাডি চ্যাম্পিয়নশিপ 23 মার্চ থেকে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে হরিয়ানায়। মোট 133 জনের মধ্যে 39 জনকে নির্বাচন করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল কবাডি অ্যাসোসিয়েশন । যেখান থেকে অনুশীলনের ভিত্তিতে মূল 12 জন খেলোয়াড় ও দলের অধিনায়ক বেছে নেওয়া হবে । মোট তিনটি ইউনিট একত্রিত হয়ে এই টুর্নামেন্টের জন্য সম্ভাব্য দল বেছেছে ।
বৃহস্পতিবার রাজ্য কবাডি অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচিত খেলোয়াড়রা । তাঁদের উৎসাহ দিতে উপস্থিত ছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শ্রী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রাক্তন কবাডি খেলোয়াড় রমা সরকার, কাকলি ঘোষ, বিশ্বজিৎ পালিত, প্রবীর মজুমদার, তাইবুর রহমান-সহ আরও অনেকে ।
প্রত্যেকেই বলছেন, রাজ্য কবাডির সুদিন ফেরানোর লক্ষ্যে তাঁরা একযোগে কাজ করতে চান । শেষবার সিনিয়র পর্যায়ে বাংলার মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন কবে হয়েছিল তা প্রাক্তনরাও মনে করতে পারলেন না । রমা সরকার জানান, তাঁদের সেরা সময়ে বাংলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল । তারপর তো শুধুই নীচে নামা । এবার বাংলার কবাডির সেই অধঃপতনে রাশ টানতে চান প্রাক্তনরা । এই বিষয়ে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রঞ্জি ও সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা দল সেরা হতে ব্যর্থ । কবাডিতে বাংলার সম্মান উদ্ধার লক্ষ্য । সেই লক্ষ্যপূরণে সবাই একসঙ্গে কাজ করতেই একজোট হয়েছেন।
আরও পড়ুন : অভাবকে জয় করে সাব জুনিয়র ন্যাশনাল কবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে জঙ্গলমহলের সরস্বতী