ETV Bharat / sports

মেরি কমের পথে  বাংলার নেহা - বক্সিং

এলিট মেন অ্যান্ড ওম্যান রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপে বক্সিংয়ে সোনাও জিতেছেন নেহা সাউ ।

মেরি কমের পথে  বাংলার নেহা
author img

By

Published : Sep 13, 2019, 5:50 PM IST

কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর : সাতসকালে চেতলার রাস্তায় বাবার সাইকেলের পাশে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলেছেন এক মেয়ে । আগে এভাবে ওঁর দৌড় দেখে অনেকেই থমকে যেতেন । এখন এই ছবিতে সকলে অভ্যস্ত । আর ইতিমধ্যেই এলিট মেন অ্যান্ড ওম্যান রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপে বক্সিংয়ে সোনাও জিতেছেন নেহা সাউ ।

বঙ্গবাসী কলেজের সান্ধ্য বিভাগের কলা বিভাগে পাঠরত বছর কুড়ির নেহা ৷ তবে বক্সিংয়ে আসার জন্য পরিবারের অবদান রয়েছে । বাবা সুরেশ সাউ প্রথম জীবনে তিনবার রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন । ফুটবলেও তিনি প্রথম ডিভিশন ক্লাবে খেলতেন । দিদি দেবিকা সাউ বাংলার টেবিল টেনিসের উজ্বল মুখ । বাবা ও দিদির নিয়মিত খেলাধূলা চর্চার মাঝেই একটু অন্য পথে নেহা ।

নেহার একমাত্র পছন্দ বক্সিং রিং ৷ 5 থেকে 7 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হওয়া এলিট মেন আন্ড ওম্যান রাজ্য বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে রাজ্যের 100জন বক্সার অংশ নিয়েছিলেন । সফল পুরুষ বক্সাররা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে যাচ্ছেন । মেয়েদের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ কোথায় হবে তা এখনও ঠিক হয়নি ।

রাজ্য আসরে 48 কেজি বিভাগে সোনা জিতেছেন নেহা । এবার তিনি চান, জাতীয় আসরে বাজিমাত করতে । বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে প্রতিনিধিত্ব করার ভাবনা থাকলেও তার আগে নিজেকে তৈরি করে নিতে চান । এ ব্যাপারে তাঁকে সাহায্য করছেন বাবা সুরেশ সাউ এবং কোচ সঞ্জয় প্রসাদ । দিনে দু' বেলায় মোট পাঁচ ঘণ্টা অনুশীলন করেন নেহা । সকালে বাবার কাছে শারীরিক কসরত এবং মাঝে মাঝে প্যাডিং করেন । বিকেলে প্রশিক্ষকের কাছে বক্সিং অনুশীলন।

নেহার কোচের বক্তব্য, "মেয়েটার মধ্যে দম রয়েছে। পরিশ্রম করতে ভয় পায় না । রিংয়ের ভেতর শক্তিশালী প্রতিপক্ষ দেখলে দমে যাওয়ার বদলে আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে । আমার কাছে বক্সিং করে বলে নয়, ভালো বক্সার হওয়ার গুণ নেহার মধ্যে রয়েছে," ৷ কোচের প্রশংসায় নতুন লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা নেহার চোখে ।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চান তিনি ৷ স্কুলে পড়ার সময় রিংয়ের বাইরে একজনকে মেরেছিলেন নেহা । তবে ওটাই প্রথম, ওটাই শেষ । যাবতীয় আগ্রাসন নেহা রেখে দিয়েছেন রিংয়ের ভিতর প্রতিপক্ষের জন্য । জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়াও এশিয়ান গেমসে পোডিয়াম ফিনিশ করার জেদ রয়েছে তাঁর । ইতিমধ্যে জুনিয়র পর্যায়ে জাতীয় আসরে ও স্কুল পর্যায়ে ভালো ফল নেহাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে । রাজ্য পর্যায়ে সাম্প্রতিক সাফল্য তাঁর সেই আত্মবিশ্বাসে বাড়তি রসদ জোগাচ্ছে ।

তবে সাহসটা আরও বেড়েছে মেরি কমকে দেখে । মেরি কম তাঁর আদর্শ । ইচ্ছে রয়েছে দেখা হলে পরামর্শ নেওয়ার । তবে এজন্য কোনও শর্টকাট জানা নেই নেহার ।

কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর : সাতসকালে চেতলার রাস্তায় বাবার সাইকেলের পাশে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলেছেন এক মেয়ে । আগে এভাবে ওঁর দৌড় দেখে অনেকেই থমকে যেতেন । এখন এই ছবিতে সকলে অভ্যস্ত । আর ইতিমধ্যেই এলিট মেন অ্যান্ড ওম্যান রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপে বক্সিংয়ে সোনাও জিতেছেন নেহা সাউ ।

বঙ্গবাসী কলেজের সান্ধ্য বিভাগের কলা বিভাগে পাঠরত বছর কুড়ির নেহা ৷ তবে বক্সিংয়ে আসার জন্য পরিবারের অবদান রয়েছে । বাবা সুরেশ সাউ প্রথম জীবনে তিনবার রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন । ফুটবলেও তিনি প্রথম ডিভিশন ক্লাবে খেলতেন । দিদি দেবিকা সাউ বাংলার টেবিল টেনিসের উজ্বল মুখ । বাবা ও দিদির নিয়মিত খেলাধূলা চর্চার মাঝেই একটু অন্য পথে নেহা ।

নেহার একমাত্র পছন্দ বক্সিং রিং ৷ 5 থেকে 7 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হওয়া এলিট মেন আন্ড ওম্যান রাজ্য বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে রাজ্যের 100জন বক্সার অংশ নিয়েছিলেন । সফল পুরুষ বক্সাররা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে যাচ্ছেন । মেয়েদের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ কোথায় হবে তা এখনও ঠিক হয়নি ।

রাজ্য আসরে 48 কেজি বিভাগে সোনা জিতেছেন নেহা । এবার তিনি চান, জাতীয় আসরে বাজিমাত করতে । বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে প্রতিনিধিত্ব করার ভাবনা থাকলেও তার আগে নিজেকে তৈরি করে নিতে চান । এ ব্যাপারে তাঁকে সাহায্য করছেন বাবা সুরেশ সাউ এবং কোচ সঞ্জয় প্রসাদ । দিনে দু' বেলায় মোট পাঁচ ঘণ্টা অনুশীলন করেন নেহা । সকালে বাবার কাছে শারীরিক কসরত এবং মাঝে মাঝে প্যাডিং করেন । বিকেলে প্রশিক্ষকের কাছে বক্সিং অনুশীলন।

নেহার কোচের বক্তব্য, "মেয়েটার মধ্যে দম রয়েছে। পরিশ্রম করতে ভয় পায় না । রিংয়ের ভেতর শক্তিশালী প্রতিপক্ষ দেখলে দমে যাওয়ার বদলে আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে । আমার কাছে বক্সিং করে বলে নয়, ভালো বক্সার হওয়ার গুণ নেহার মধ্যে রয়েছে," ৷ কোচের প্রশংসায় নতুন লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা নেহার চোখে ।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চান তিনি ৷ স্কুলে পড়ার সময় রিংয়ের বাইরে একজনকে মেরেছিলেন নেহা । তবে ওটাই প্রথম, ওটাই শেষ । যাবতীয় আগ্রাসন নেহা রেখে দিয়েছেন রিংয়ের ভিতর প্রতিপক্ষের জন্য । জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়াও এশিয়ান গেমসে পোডিয়াম ফিনিশ করার জেদ রয়েছে তাঁর । ইতিমধ্যে জুনিয়র পর্যায়ে জাতীয় আসরে ও স্কুল পর্যায়ে ভালো ফল নেহাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে । রাজ্য পর্যায়ে সাম্প্রতিক সাফল্য তাঁর সেই আত্মবিশ্বাসে বাড়তি রসদ জোগাচ্ছে ।

তবে সাহসটা আরও বেড়েছে মেরি কমকে দেখে । মেরি কম তাঁর আদর্শ । ইচ্ছে রয়েছে দেখা হলে পরামর্শ নেওয়ার । তবে এজন্য কোনও শর্টকাট জানা নেই নেহার ।

Intro:সাত সকালে চেতলার রাস্তায় বাবার সাইকেলের পাস ধরে ছুটে চলেছে একটি মেয়ে। আগে এভাবে ওর দৌড় দেখে অনেকেই থমকে যেতেন। এখন ওরা এই ছবিতে সকলে অভ্যস্ত। আপনার চোখে যদি এরকম কোনও ছবি ধরা পড়ে তাহলে বিস্মিত হবেন না। মেয়েটির নাম নেহা সাউ। সাইকেল আরোহী তার বাবা সুরেশ সাউ।
সদ্য শেষ হওয়া এলিট মেন আন্ড ওম্যান রাজ্য চ্যাম্পিয়ন শীপে সোনা জিতেছেন নেহা। বঙ্গবাসী কলেজের সান্ধ্য বিভাগের কলা বিভাগে পাঠরত বছর কুড়ির নেহার বক্সিংয়ে আসার পেছনে পরিবারের অবদান রয়েছে। বাবা সুরেশ সাউ প্রথম জীবনে তিনবার রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। ফুটবলেও তিনি প্রথম ডিভিশন ক্লাবে খেলতেন। দিদি দেবিকা সাউ বাংলার টেবিল টেনিসের উজ্বল মুখ। বাবা দিদির নিয়মিত খেলাধুলা চর্চার মাঝেই একটু অন্য পথে নেহা।
বক্সিংয়ের মত শারীরিক খেলাগুলো যখন মেয়েরা এড়িয়ে যেতে চায়, তখন নেহার পছন্দ বক্সিং রিং। 5 থেকে 7 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হওয়া এলিট মেন আন্ড ওম্যান রাজ্য বক্সিং চ্যাম্পিয়ন শীপে রাজ্যের 100জন বক্সার অংশ নিয়েছিলেন। সফল পুরুষ বক্সাররা জাতীয় চ্যাম্পিয়ন শীপে অংশ নিতে যাচ্ছেন। মেয়েদের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন শীপ কোথায় হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তাই নতুন লক্ষ্যে নিজেকে নিংড়ে দেওয়ার কাজটা এখনও জোর কদমে শুরু করেননি নেহা। রাজ্য আসরে 48 কেজি বিভাগে সোনা জিতেছেন। এবার লক্ষ্য জাতীয় আসরে বাজিমাত। বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে প্রতিনিধিত্ব করার ভাবনা থাকলেও তার আগে নিজেকে গড়ে পিঠে নিতে চান। এব্যাপারে তাকে গাইড করছেন বাবা সুরেশ সাউ এবং কোচ সঞ্জয় প্রসাদ। দিনে দুবেলায় মোট পাচ ঘণ্টা অনুশীলন করে নেহা। সকালে বাবার কাছে ফিজিক্যাল ট্রেনিং এবং মাঝে মাঝে প্যাডিং করে নেহা। বিকেলে কোচের কাচে বক্সিং অনুশীলন। "মেয়েটার মধ্যে দম রয়েছে। পরিশ্রম করতে ভয় পায় না। রিংয়ের ভেতর শক্তিশালী প্রতিপক্ষ দেখলে দমে যাওয়ার বদলে আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে। আমার কাছে বক্সিং করে বলে নয়, ভালো বক্সার হওয়ার গুন নেহার মধ্যে রয়েছে,"বলছিলেন সঞ্জয় প্রসাদ। কোচের প্রশংসায় নতুন লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা নেহার চোখে। মেরি কমকে দেখে সাহসটা আরও বেড়েছে।মেরি কম তার আদর্শ। ইচ্ছে রয়েছে দেখা হলে পরামর্শ নেওয়ার।তবে এজন্য কোন শর্টকাট জানা নেই।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন চোখে। মেরি কমের মত সাহস দুই চোখে। স্কুলে পড়ার সময় রিংয়ের বাইরে একজনকে পিটিয়ে ছিল নেহা। ওটাই প্রথম ওটাই শেষ।যাবতীয় আগ্রাসন নেহা রেখে দেয় রিং এর ভেতর প্রতিপক্ষের জন্য। জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়াও এশিয়ান গেমসে পোডিয়াম ফিনিশ করার লক্ষ রয়েছে। ইতিমধ্যে জুনিয়র পর্যায়ে জাতীয় আসরে ও স্কুল পর্যায়ে ভালো ফল নেহাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। রাজ্য পর্যায়ে সাম্প্রতিক সাফল্য তার সেই আত্মবিশ্বাসে বাড়তি রসদ যোগাচ্ছে। তাই নেহা বাংলার বক্সিং এ একটা আশার নাম।


Body:নেহা


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.