কলকাতা, 20 মে : চোটের ধাক্কায় জেরবার এটিকে মোহনবাগান ৷ হার দিয়ে শুরু করার পর এএফসি'র দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী একাদশ গড়তে হিমশিম সবুজ-মেরুন কোচ জুয়ান ফেরান্দো। এর মধ্যে আবার শিবিরে তাল কাটল দলবদলের খবরে। নির্ভরযোগ্য অজি স্ট্রাইকার ডেভিড উইলিয়ামসকে আগামী মরশুমের জন্য দলে নিল মুম্বই সিটি এফসি ৷ প্রবীর দাস আবার সোয়াপ ডিলে যাচ্ছেন বেঙ্গালুরুতে ৷ এএফসি কাপের মরণ-বাঁচন ম্যাচে নামার আগে এই দুই ফুটবলারের দলবদলের খবর নিশ্চিতভাবে মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাবে বাগানের (ATK Mohun Bagan to face Bashundhara Kings in AFC Cup tomorrow) ।
প্রথম ম্যাচে গোকুলামের কাছে 2-4 পর্যুদস্ত হওয়ার পর এএফসি-র মূলপর্বে মেরিনার্সদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো বেশ চ্যালেঞ্জিং ৷ তবু কার্ল ম্যাকহিউকে পাশে বসিয়ে মরিয়া চেষ্টার কথা শোনালেন কোচ জুয়ান ফেরান্দো ৷ দলের পয়লা নম্বর ডিফেন্ডার তিরি চোটের কারণে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন। পরিবর্ত সন্দেশ ঝিঙ্গান চোট সারিয়ে উঠলেও পুরো ম্যাচ খেলার মত জায়গায় নেই ৷ এমতাবস্থায় প্রীতম কোটালের সঙ্গে কার্ল ম্যাকহিউকে জুড়ে দিয়ে রক্ষণ গোছানোর চেষ্টায় বাগানের স্প্যানিশ কোচ ৷ দুই সাইড-ব্যাক শুভাশিস বসু এবং প্রবীর দাস থাকবেন। মাঝমাঠে লেনি রডরিগেজ গোকুলাম এফসি'র বিরুদ্ধে ব্যর্থ। পরিবর্তে দীপক টাংরিকে খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে ফেরান্দোর ৷
ইউরোকাপার জনি কাউকোর সঙ্গে মাঝমাঠে লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়ার ইঙ্গিত ফেরান্দোর গলায় ৷ কারণ ফরাসি মিডফিল্ডার হুগো বুমোসও চোটের কবলে থাকায় তিনি অনিশ্চিতই বলা চলে ৷ প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙতে যদিও রয় কৃষ্ণা-ডেভিড উইলিয়ামসের উপরেই আস্থা স্প্যানিশ কোচের ৷ ফেরান্দো বলছেন, "চাপ সবসময়ই থাকে। দলের 26জন খেলোয়াড়ের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। সবসময় মনের মত একাদশ পাওয়া যায় না। আমার হাতে যথেষ্ট ভাল দল রয়েছে। দলের প্রত্যেকেই ভীষণ পরিশ্রমী ৷"
আরও পড়ুন : যুবভারতীতে নৌকাডুবি, হেরে এএফসি কাপ অভিযান শুরু বাগানের
বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে গত ম্যাচের ব্যর্থতা মাথায় রাখতে চায় না এটিকে মোহনবাগান। সবমিলিয়ে এএফসি কাপে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বড় ব্যবধানে হারের মানসিক ধাক্কা মেরামত করাই কঠিন চ্যালেঞ্জ এখন সবুজ-মেরুন থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সামনে। গোকুলামের মত বসুন্ধরা কিংসও তাদের প্রথম ম্যাচ জিতেছে। বাংলাদেশের ক্লাবটির কোচ অস্কার ব্রুজো যেমন জানালেন, প্রথম তিরিশ মিনিট প্রতিপক্ষকে সামলে দিলেই ম্যাচের রাশ তাদের পায়ে চলে আসবে।