কলকাতা, 30 জানুয়ারি: যুদ্ধংদেহী মনোভাব নয়, আইএফএ'র কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলা নয় বরং রাজ্য ফুটবল নিয়ামক সংস্থার কড়া মনোভাবের সামনে যুদ্ধ বিরতির ডাক এটিকে মোহনবাগানের। আইএফএ পরিচালিত ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি নার্সারি লিগের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানাল এটিকে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। এককথায় সোমবার মুচলেকা দিয়ে শাস্তি এড়াল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan avoids IFA punishment by giving bond)। দু'বছর কলকাতা লিগ না-খেলায় সবুজ-মেরুনের ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল আইএফএ শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। সেই বৈঠকের আগে মনে করা হয়েছিল, শাস্তি পেতে পারে সবুজ-মেরুন ক্লাব।
এটিকে মোহনবাগানের পক্ষে এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ক্লাবের সিইও বিনয় চোপড়া। আলোচনার পর ঠিক হয়, আগামী মরশুম থেকে কলকাতা লিগে ও আইএফএ শিল্ডে অংশ নেবে এটিকে মোহনবাগান। কেবল মৌখিক প্রতিশ্রুতি নয়, আগামী 48 ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে আইএফএ'র শর্ত মেনে নেওয়ার কথা জানাবে তারা। শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের এই নরম অবস্থানে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিও কড়া মনোভাব থেকে সরে আসে। কারণ সবুজ-মেরুনের মত ঐতিহ্যশালী দলের পা থেকে বল কেড়ে নেওয়া নয়, বরং তাদের রেখেই বাংলার ফুটবলের আগামীর রূপরেখা গঠনের সিদ্ধান্ত আইএফএ'র।
এখন প্রশ্ন হল নিয়মে কী রয়েছে। যা প্রয়োগ হলে ক্লাবের পা থেকে বল সরে যেতে পারে। আইএফএ-এর সংবিধানে বলা রয়েছে, টানা দু'বছর কলকাতা লিগে না-খেললে কোনও দলকে বহিষ্কার করতে পারে বাংলার ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। মোহনবাগান গত দু'বছর কলকাতা লিগ বা আইএফএ শিল্ড কোনওটাই খেলেনি। তবুও তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনও ব্যবস্থাই নিতে পারল না আইএফএ। বরং সবুজ-মেরুনের আশ্বাসে আস্থা রাখতে আগ্রহী হল বাংলা ফুটবলের গভর্নিং বডি।
আরও পড়ুন: জোড়া গোলে নায়ক পেত্রাতোস, ওড়িশাকে হারিয়ে তিনে উঠে এল বাগান
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত (IFA Secretary Anirban Dutta) বলেন, "কলকাতা লিগে তিন বড় প্রধানের কোনও একটা দল না-খেললে লিগের জৌলুস কমে যায়। এটা আমরা সকলেই মানি। ওরা আমাদের যে যুক্তি দিয়েছেন তা একেবারে ফেলে দেওয়ার মত নয়। তাদের কাছে 25 জন ফুটবলার ছিল না। ডুরান্ড, কলকাতা লিগ পরপর হয়েছে। সঙ্গে তাদের এএফসি কাপের ম্যাচও ছিল। ফলে তাঁরা দল গড়তে পারেনি।"
সচিব আরও বলেন, ''এটিকে মোহনবাগান কর্তারা আমাদের জানিয়েছেন, ঠিক কী কারণে তাঁরা কলকাতা লিগ খেলতে পারেননি। আমরাও বলেছি আমাদের সংবিধান অনুসারে এটা অপরাধ। তবে তাঁরা কথা দিয়েছেন, পরের মরশুম থেকে তাঁরা দল নামাবেন। এই প্রতিশ্রুতি আমরা লিখিত আকারে চেয়েছি।"